গায়ের রং ফর্সা করবেন কিভাবে - গায়ের রং স্থায়ীভাবে ফর্সা
পেজ সূচিপত্র
- গায়ের রং ফর্সা করবেন কিভাবে
- গায়ের রং স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়
- গায়ের রং ফর্সা করার খাবার
- গায়ের রং ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম
- ছেলেদের তৈলাক্ত গায়ের রং ফর্সা করার উপায়
- কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়
- গায়ের রং ফর্সা করার ঘরোয়া উপায়
- শেষকথা
গায়ের রং ফর্সা করবেন কিভাবে
একজন মানুষ জন্মের পর থেকে সৃষ্টিগতভাবে যেই গায়ের রং পেয়ে থাকে তার মধ্যে কেউ ফর্সা বা শ্যামলা হয়। কিন্তু যে যেই রকম গায়ের রং নিয়েই জন্ম হোক না কেন তাদের প্রকৃতিগতভাবেই আরও বেশি উজ্জ্বল হতে ইচ্ছে করে। ত্বকের উজ্জ্বলতা পাওয়ার জন্য বাজারের কেমিক্যালযুক্ত বাজে ক্রিম ব্যবহারের ফলে ত্বকের উর্বরতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুনঃ কোন ভিটামিন খেলে কি কাজ করে
অনেকেই গায়ের রং স্থায়ীভাবে ফর্সা করার জন্য পেঁপে আর ডিমের মাস্ক ব্যবহার করে। আপনি যদি প্রতিদিন এক গ্লাস হালকা গরম দুধ পান করেন এর সাথে কাচা হলুদ বাটা করে যদি পান করেন তাহলে আপনার গায়ের রং ধীরে ধীরে উজ্জ্বল হতে থাকবে। এর সাথে আপনি মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন যা আপনাকে একদম ভেতর থেকে ফর্সা ও উজ্জ্বল করে তুলবে।
গায়ের রং স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়
প্রতিনিয়ত সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে যদি আপনি আপনার গায়ের রং ফর্সা করবেন কিভাবে তা জেনে গায়ের রং স্থায়ীভাবে ফর্সা করতে চান তাহলে নিয়মিত ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়া উচিত। কারন আমাদের আশেপাশের পরিবেশ অনেক বেশি দূষিত থাকার ফলে খুব সহজেই ধুলাবালি ময়লা আমাদের ত্বকে জমে যায়।
যার ফলে অতি অল্পতেই আমাদের গায়ের রং রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে অথবা শারীরিক কোন অসুস্থতা এবং আপনি যদি খুব দীর্ঘ সময় ধরে রান্নাঘরে কাজ করতেই থাকেন ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে আপনার ত্বকের ফর্সা রং ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে থাকে অনেক সময় কালচে ও বিবর্ণ হয়ে যেতে থাকে।
- আপনি যদি গায়ের রং কে স্থায়ীভাবে ফর্সা করতে চান তাহলে কাঁচা হলুদের সাথে দুধ মিশিয়ে প্রতিদিন খেতে পারেন।
- এর জন্য আপনি এক টুকরো হলুদ নিতে পারেন এবং এর সাথে হলুদ এক টুকরো করে কেটে দুধে ভালোভাবে ভিজিয়ে নিয়ে গাঢ় হলুদ রং ধারণ করলে উঠিয়ে উষ্ণ গরমে পান করতে পারেন।
- নিয়মিত যদি আপনি একবার করে পান করেন তাহলে আপনার গায়ের রং ধীরে ধীরে স্থায়ীভাবে ফর্সা হবে। তবে কালচে ভাব ধীরে ধীরে দূর হয়ে যেতে থাকবে।
- অথবা আপনি দুধ এবং হলুদ বাটার সাথে লেবুর রসও মিক্স করতে পারেন। এই মিশ্রণটি ভালোভাবে ত্বকে লাগিয়ে না পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারেন। শুকিয়ে যাওয়ার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ভালোভাবে মুছে ফেলুন।
- মুছে ফেলার পর থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে রোদে যাওয়া যাবে না এবং গরম কোন পানিতেও ত্বক ধোয়া যাবে না।
- এভাবে ধীরে ধীরে প্যাকগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার ত্বক স্থায়ীভাবে ফর্সা, কোমল ও দাগ মুক্ত হয়ে উঠবে।
গায়ের রং ফর্সা করার খাবার
গায়ের রং ফর্সা করবেন কিভাবে তা জেনে গায়ের রং ফর্সা করতে হলে অবশ্যই আমাদের খাবারের তালিকার ওপর নজর দিতে হবে। তাই আপনার গায়ের রং ফর্সা করার জন্য যে খাবারগুলো খাওয়া প্রয়োজন তা নিচে দেওয়া হলো -
- গায়ের রং স্থায়ীভাবে ফর্সা আপনাকে বেশি পরিমাণে ফাইবার ভিটামিন মিনারেল ও প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
- প্রতিদিনের খাবারে অবশ্যই বেশি করে ফল এবং শাকসবজি রাখতে হবে।
- জাঙ্ক ফুড জাতীয় খাবার বাদ দিয়ে এর পরিবর্তে সবজি এবং ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
- সবজির মধ্যে আপনি মিষ্টি আলু, টমেটো, পালংশাক, ব্রকলি ইত্যাদি খেতে পারেন। কারণ এগুলো আপনার গায়ের রং ফর্সা করতে সাহায্য করবে।
- গায়ের রং স্থায়ীভাবে ফর্সার জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুধ, ডিম, মাছ, মাংস, টক দই ও চিজ এগুলো খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
- যে সমস্ত ফলগুলো আপনার গায়ের রং ফর্সা করতে পারে তার মধ্যে আঙ্গুর, পেঁপে, কমলা, আম, তরমুজ, স্ট্রবেরি, কলা ও আপেল ইত্যাদি ফল খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন।
- এছাড়াও আপনি মাঝে মাঝে ডার্ক চকলেট খেতে পারেন, যা আপনার ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং পোড়া ত্বকের ড্যামেজ দূর করে দেয়।
- নিয়মিত যদি আপনি এভাবে চলার চেষ্টা করেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি আপনার গায়ের রং ফর্সা হওয়া শুরু হয়ে যাবে।
গায়ের রং ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম
আপনি যদি গায়ের রং স্থায়ীভাবে ফর্সা করার জন্য ডাক্তারি ক্রিম ব্যবহার করতে চান আপনাকে খুব ভালোভাবে দাম দেখে ব্র্যান্ড যাচাই করে তারপর কিনতে হবে। আপনি ইসপিএফ টুয়েন্টি পা নামে একটি স্কিন সাইন্স ফেয়ারনেস ক্রিম রয়েছে যা ভারতের তৈরি অত্যন্ত গুণগতমান প্রোডাক্ট এটি ব্যবহার করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ মসুর ডালের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
শুষ্ক ত্বকের জন্য এটি খুবই ভালো এবং কার্যকরী একটি ডাক্তারি ক্রিম। আপনার গায়ের ভিতর থেকে স্থায়ীভাবে ফর্সা করে আপনার গায়ের রং কে করে তুলবে উজ্জ্বল ও মোলায়েম। তবে কোন ধরনের আহত বা ক্ষতস্থানে এই ক্রিম ব্যবহার না করাই ভালো। ত্বকের পিগমেন্টেশন অথবা ডার্ক স্পট হালকা করতে এই ক্রিমের অবদান অপরিহার্য।
এছাড়াও গায়ের রং ফর্সা করবেন কিভাবে তা জেনে আপনি স্কিন ব্রাইটনিং ডে ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন যেখানে বাদাম তেল এবং অ্যালোভেরার সাথে মিশ্রিত একটি ময়েশ্চারাইজার গায়ের জন্য খুবই কার্যকরী একটি ক্রিম। এটি আপনার ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে আপনার ত্বকে মোটা এবং মোলায়েম নরম করে তুলে।
ছেলেদের তৈলাক্ত গায়ের রং ফর্সা করার উপায়
মেয়েদের ত্বকের চেয়ে ছেলেদের ত্বক যেহেতু একটু আলাদা হয়ে থাকে তাই তাদের সমস্যাগুলি অত্যন্ত কাজের চাপে হয়ে যায়। তারা যদি গায়ের রং স্থায়ীভাবে ফর্সার জন্য সঠিক যত্ন নিতে না পারে তাহলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভুগতে পারে। ছেলেরা অনেক বেশি মানসিক চাপ এবং অতিরিক্ত কষ্ট করার ফলে এরকম হয়।
বিশেষ করে বিশ্রাম কম করলে পর্যাপ্ত না ঘুমাতে পারলে ছেলেদের ত্বক তৈলাক্ত হতে পারে। ছেলেরা যদি নির্দিষ্ট পরিমাণে পানি না পান করে তাহলে অনেক সময় তাদের অল্প বয়সেই গায়ের চামড়া কুঁচকে যায়। ছেলেদের তৈলাক্ত গায়ের রং ফর্সা করবেন কিভাবে তা জেনে গায়ের রং ফর্সা করার জন্য কিছু উপায় রয়েছে চলুন জেনে আসি উপায়গুলো।
- চিনি ও লেবুর রস মিক্স করে ঘরোয়া উপায়ে ব্যবহার করতে পারে কারণ লেবুতে অনেক বেশি পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে যা গায়ের মধ্যে ব্রণের ফুসকুড়ি সহজে উঠতে দেয় না।
- ছেলেদের ফর্সা হওয়ার জন্য টক দইয়ের সাথে বেসন যুক্ত করে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারে।
- হলুদের গুরুর সাথে অ্যালোভেরা জেল মিক্স করে একটি পেস্ট তৈরি করতে পারেন পেজটি গায়ে লাগিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে পারেন বিশেষ করে একটি শীতকালের ব্যবহার করলে খুব ভালো উপকার পাবেন।
- অথবা আপনি চালের গুড়া ও লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত চালের গুড়া ও লেবুর রস মিক্স করে প্যাকটি ব্যবহার করলে তৈলাক্ত ত্বক ধীরে ধীরে ফর্সা হতে থাকবে।
কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়
আপনি যদি গায়ের রং ফর্সা করবেন কিভাবে তা জেনে কালো থেকে যদি গায়ের রং স্থায়ীভাবে ফর্সা হতে চান তাহলে আপনাকে নিয়মিত কাঁচা হলুদের সাথে দুধ মিক্স করে ব্যবহার করতে হবে। আপনি প্রতিদিন এক গ্লাস হালকা গরম দুধে আদা চা চামচ কাঁচা বাটা মিক্স করে খেতে পারেন। যদি আপনার এইভাবে খেতে ভালো না লাগে তাহলে মধু মিশিয়ে দুধ খেতে পারেন।
এতে আপনার গায়ের রং ফর্সা হয়ে উঠবে। আপনার বাহিরের গায়ের রং কেউ হলুদ অনেক আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে। গায়ের রং এর কালচে ছোপ ছোপ দাগ দূর করতে এটি খুবই কার্যকরী হয়। কালো থেকে ফর্সা হওয়ার জন্য আপনি নিয়মিত মধু ও দারুচিনির মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
গায়ের রং ফর্সা করবেন কিভাবে তা জেনে টমেটোর রসের সাথে চন্দনের গুড়া, দুধের সাথে শুকনা কমলার খোসা, কাঁচা দুধ, আলুর সাথে লেবুর রস, অ্যালোভেরা ও শসার রস, পাকা পেঁপে, অলিভ অয়েল ও বেসনের মাস্ক ইত্যাদি ব্যবহার করার মাধ্যমে নিজের গায়ের কালো রং কে স্থায়ীভাবে ফর্সা করতে পারেন।
গায়ের রং ফর্সা করার ঘরোয়া উপায়
গায়ের রং স্থায়ীভাবে ফর্সা করার জন্য ঘরোয়া উপায়কে বেছে নিতে পারেন যা আপনার ত্বকের জন্য খুবই নিরাপদ হতে পারে। আপনি যদি ঘরে থাকা লেবুর রস দিয়ে পানিতে মিশিয়ে তার সঙ্গে মধু মিক্স করে একটা মিশ্রণ তৈরি করেন, তাহলে সেই মিশ্রণটি আপনার ত্বকে লাগিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করতে পারেন।
লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা ত্বকের সব ধরনের ছোপছোপ দাগগুলোকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। আপনার রোদে পোড়া দাগগুলোও দূর হয়ে যায়। আপনি কাঁচা হলুদ বেটে ত্বকে লাগাতে পারেন। তার সাথে লেবু মিক্স করে নিতে পারেন দুটি একসাথে মিক্স করে ত্বকে লাগাতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ ভিটামিন সি জাতীয় লেবু খাওয়ার উপকারিতা
শুকিয়ে যাওয়ার পর পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে পারেন। সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন তাহলে খুব ভালো ফলাফল পাবেন। আপনি দুধ ও মধু মিশিয়েও একটা মিশ্রণ তৈরি করে ত্বকে লাগাতে পারেন। ফলে আপনার গায়ের রং অনেক তাড়াতাড়ি উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
পাশাপাশি আপনি গায়ের রং ফর্সা করবেন কিভাবে তা জেনে টমেটো ও লেবু একসাথে ব্লেন্ড করে একটি প্যাক বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও আপনি টক দই এবং মধু মিশিয়ে একসাথে ব্যবহার করতে পারেন। লাগানোর কিছু সময় পরে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন।
একটি ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বকের যেই লোমকূপ রয়েছে, সেখানে জমে থাকা যেই ময়লাগুলো সেগুলো খুব সহজেই দূর করে ফেলে। বিশেষ করে ত্বকের গভীর থেকেও পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। গায়ের রং ফর্সা করার জন্য আপনি যদি এই ঘরোয়া উপায়গুলো মেনে চলেন তাহলে খুব দ্রুত সময়েই আপনি এর ফলাফল পাবেন।
শেষকথা
এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি গায়ের রং ফর্সা করবেন কিভাবে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারলেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিস্তারিত জেনে যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আমাদের পোস্টের নিচের অংশে মন্তব্য করুন। আপনার আশেপাশের বন্ধুদের গায়ের রং ফর্সা করার উপায়গুলো জানাতে পারেন। ২৫২৭৫
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url