কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিহাস কি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিহাস কি? না জানা থাকলে জেনে নিন। কারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বর্তমান সময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি নাম। সেক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করার আগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিহাস কি? এ বিষয়ে জেনে নেওয়া জরুরী। আজকের এই আর্টিকেলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিহাস কি? বিষয়টি সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

আপনি যদি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিহাস কি? জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকুন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিহাস কি? জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিতভাবে।

পেজ সূচিপত্রঃ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিহাস কি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কেন আবিষ্কৃত হয়

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সাধারণত মানুষের বুদ্ধিমত্তা এবং চিন্তাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন যন্ত্রের সাহায্যে সেটিকে বাস্তবে রূপ দিয়ে থাকে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিহাস কি? এই বিষয়টি জানার সাথে সাথে আমাদেরকে জেনে নিতে হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কেন আবিষ্কৃত হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আবিষ্কার করার একটি লক্ষ্য রয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সামগ্রিক গবেষণার লক্ষ্য হিসেবে প্রযুক্তি তৈরি করা।

আরো পড়ুনঃ ডেইলি ৫০০ টাকা ইনকাম করার ১৯ টি সেরা উপায়

সাধারণত বেশ কিছু সমস্যা সমাধানের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আবিষ্কার করা হয়েছে। মানুষের বিভিন্ন কাজের সমস্যা যেগুলো মানুষ করতে পারে না অর্থাৎ করতে গেলেও অনেক সময় প্রয়োজনীয় সাধারণত এই কাজগুলো খুব সহজে করার জন্য আবিষ্কার করা হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। বেশ কিছু অ্যালগরিদম রয়েছে যেগুলো কঠিন সমস্যা তৈরি করতে পারে।

মানুষকে প্রাথমিকভাবে দ্রুত এবং আরো বেশি শক্তিশালী করার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আবিষ্কার করা হয়েছে। এমনও কাজ রয়েছে যেগুলো করতে অনেক মানুষের প্রয়োজন হয় কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমতার সাহায্যে মানুষের অনুপস্থিতিতে করা সম্ভব। সাধারণত এই কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য এবং গবেষণার দক্ষতা বৃদ্ধি করার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আবিষ্কার হয়েছে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিহাস কি

আপনি যদি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতি দুর্বল হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিহাস কি? এ সম্পর্কে আগে জেনে নিতে হবে। কারণ বর্তমান সময়ে বেশ কিছু ভালো কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের সাহায্য করে থাকে। সেক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করতে হলে আমাদেরকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিহাস কি? আগে জেনে নিতে হবে।

অনেক প্রাচীনকাল থেকেই যে সকল বিজ্ঞানীরা অনেক বেশি চিন্তা ভাবনা করত সাধারণত তারাই প্রথমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আবিষ্কার করার চিন্তাভাবনা করেছিলেন। কিভাবে একটি যন্ত্র মানুষের কাজ খুব সহজে এবং অল্প সময়ের মধ্যে করে দিতে পারে এই ভাবনাটি সাধারণত তাদের মাথায় এসেছিল। যেভাবে চিন্তা করে সাধারণত এই ভাবেই চিন্তা করার মত একটি যন্ত্র হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।

মানুষের মস্তিষ্কের মতো চিন্তা ভাবনা করতে পারে এরকম যন্ত্র অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আবিষ্কারের কার্যক্রম গুলো শুরু হয় ১৯৪০ এর দশকে। কম্পিউটার আবিষ্কার করা হয় সাধারণত তখন মানুষের কাজগুলোকে আরো সহজ করার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আবিষ্কারের চিন্তাভাবনা মানুষের মধ্যে আসে। সাধারণত তখন থেকেই মানুষ তাদের মত বুদ্ধিসম্পন্ন যন্ত্র তৈরি করার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে।

কিভাবে মানুষের মস্তিষ্কের মত কাজ করে এরকম যন্ত্র তৈরি করা যায় এ বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে আরও এগিয়ে নেওয়ার দিকে মনোযোগী হয়। কিন্তু তখনও মানুষের মাথার ভেতরে এরকম কাজ করতে পারে এ ধরনের যন্ত্র আবিষ্কার করা যায় চিন্তাভাবনার মধ্যে আসেনি। সাধারণত মানুষের মস্তিষ্ক যেভাবে কাজ করে বিজ্ঞানীরা ওই যন্ত্রটিকে সেভাবে কাজ করানোর জন্য অনেক বেশি উঠে পড়ে লাগে।

বিজ্ঞানীরা এই যন্ত্রটিকে সম্পূর্ণরূপে মানুষের মতো কার্যকরী করার জন্য বিভিন্ন ধরনের গবেষণা করতে শুরু করে। ১৯৫০ সালে অ্যালান ম্যাথিসন টুরিং নামে এক ইংরেজ বিজ্ঞানী খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আবিষ্কার করেন যেটি মানবজাতির কাছে Turing’s Test নামেই পরিচিত। সাধারণত এখান থেকেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আবিষ্কারের পথে মানুষেরা এক ধাপ আরও এগিয়ে যায়।

বলা হয় কোন একজন মানুষ যদি কোন যন্ত্রের সাহায্যে কথা অথবা চ্যাট করতে শুরু করে তখন যদি এই মানুষটি বুঝতে না পারে যে অপর প্রান্তে যে তার সাথে কথা বলছে সেটি কোন যন্ত্র তাহলে বুঝতে হবে এই যন্ত্রটির মধ্যে বুদ্ধি রয়েছে। সাধারণত টেস্ট করার মাধ্যমে মানুষেরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আবিষ্কারের পথে আর অনেকটা এগিয়ে যায়।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার

বর্তমান সময়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হয়। আমাদের শরীরে রোগ নির্ণয় থেকে শুরু করে আরো বেশ কিছু কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেহেতু আমরা ইতিমধ্যেই সংক্ষিপ্তভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিহাস কি? এই বিষয়টি সম্পর্কে একটা ধারণা পেয়েছি সেহেতু আমাদের উচিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নেওয়া।

আরো পড়ুনঃ অনলাইন ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট - অনলাইন ইনকাম সাইট

১। মানব শরীরের রোগ নির্ণয় থেকে শুরু করে সে রোগের চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অনেক বেশি অবদান রয়েছে।

২। বিভিন্ন ধরনের গবেষণার কাজে বর্তমান সময়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হয়।

৩। অনেকগুলো মানুষের কাজ অল্প সময়ের মধ্যে করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হয়।

৪। এছাড়া একাডেমিক শিক্ষা দিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সাধারণত এখানে শেখানো হয় কিভাবে কম্পিউটার এবং সফটওয়্যার তৈরি করা হয়।

৫। যেকোনো ধরনের কনটেন্ট লেখা থেকে শুরু করে ছবি তৈরি এবং এডিট করার ক্ষেত্রেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা অসুবিধা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের অনেকগুলো সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। যারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সঠিকভাবে ব্যবহার করবে তারা এর সঠিক সুবিধা গুলো পাবে কিন্তু যারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঠিক ব্যবহার করবে না সাধারণত তারা এ ক্ষতিকর দিকগুলো পাবে। এক্ষেত্রে চলুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা অসুবিধা গুলো জেনে নেওয়া যাক।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধাঃ

১। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে আপনি মোবাইল ফোন অথবা গাড়িতে থাকা জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুব সহজে একই স্থান থেকে অন্য কোন স্থানে যেতে পারবেন।

২। এখনকার সময় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে ফুটবল থেকে শুরু করে ক্রিকেট খেলা এছাড়া অন্যান্য খেলার ছবি তোলা এবং খেলার বিভিন্ন ধরনের ভুল ত্রুটি গুলোকে সংশোধন করা হয়।

৩। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে এমন কাজগুলো করা যেতে পারে যেগুলো মানুষের জন্য করা অনেক বিপদজনক। যেমন আপনি সমুদ্রের একেবারে তলদেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে পাঠাতে পারবেন।

৪। চিকিৎসা ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অনেক বেশি অবদান রয়েছে। যে কোন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা অপারেশন করা এছাড়া ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অনেক সুবিধা জনক।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অসুবিধাঃ

১। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করার ফলে সমাজে বেকারত্ব এর পরিমাণ আরো বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ বর্তমান সময়ে যেকোনো ধরনের কোম্পানিতে মানুষের বদলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজ করছে যার ফলে হাজার হাজার মানুষ বেকার হয়ে যাচ্ছে।

২। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করার ফলে খরচ অনেক বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ এখন বর্তমান সময়ে সব জায়গাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার হয় যার ফলে এর খরচ আরো বেশি বৃদ্ধি পায়।

৩। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ফলে মানুষের সৃজনশীলতা অনেকটা কমে যাচ্ছে। যেহেতু কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা সঠিকভাবে কাজ করছে, সেও তো মানুষ চিন্তা ভাবনা করা অনেকটাই কমিয়ে দিচ্ছে।

৪। যখন মানুষ কোন কাজ করে তখন অভিজ্ঞতা অর্জন হয়। যার ফলে পরবর্তীতে সেই মানুষটি আরো বেশি ভালো কাজ করতে সক্ষম হয়। কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এই সুযোগটি মানুষের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিহাস কিঃ শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুগণ আজকের এই আর্টিকেলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কেন আবিষ্কৃত হয়? কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিহাস কি? কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা অসুবিধা গুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যেহেতু আমরা প্রতিদিন আমাদের প্রয়োজনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে থাকি। সেহেতু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে এ বিষয়গুলো জেনে নেওয়া উচিত।

আরো পড়ুনঃ বাড়িতে বসে ২০টি অনলাইনে কাজ - বাড়িতে বসে ২০ উপায় ইনকাম

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।২৫৪২৭


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url