কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ
পোস্ট সূচিপত্রঃ কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ
কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ
আজ আমি এই আর্টিকেলে কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ এ বিষয়ে আপনাদেরকে বিস্তারিত তথ্য দিব। চলুন তাহলে শুরু করা যাক কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। কিডনি আমাদের শরীরের একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এই অঙ্গটি শরীর থেকে বর্জ্য বের করে দেয় এবং আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে।
আমাদের দৈনন্দিন অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা এবং খাদ্যা ভ্যাসের কারণে আমরা অনেক সময় কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ি। কিডনি ইনফেকশন এবং প্রসবের ইনফেকশন কিন্তু এক বিষয় না। আপনি হয়তো জানেন না কিডনি ইনফেকশনের শুরুটা হয় জ্বর, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, তলপেট ব্যথা ইত্যাদি এগুলো প্রথমদিকে চিকিৎসা না হলে আস্তে আস্তে এটি গুরুতর দিকে ধাবিত হয় তখন কোমরে ব্যথা, কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়।
আরো পড়ুনঃ অতিরিক্ত ঋতুস্রাব হওয়ার ১৫ কারণ - অতিরিক্ত মাসিক বন্ধ করার ১০ উপায়
যেহেতু কিডনি আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ তাই কিডনিতে ইনফেকশন হলে শরীরে নানা রকম সমস্যা দেখা দেওয়া শুরু করে। এ কারণেই এই কিডনি ইনফেকশনকে নিঃশব্দ ঘাতক বলা হয়। কিডনি রোগের কোন নির্দিষ্ট উপসর্গ নেই তবে কিছু কিছু লক্ষণ দেখে সতর্ক হওয়া উচিত। কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ গুলো আমি নিচে উল্লেখ করলাম।
- মুখ বা চোখের কোল হঠাৎ করে যদি ফুলে যায় তাহলে আপনাকে অবশ্যই সতর্ক হওয়া উচিত।
- ঘন ঘন প্রসবের বেগ চাপলে আপনাকে সতর্ক হতে হবে।
- আপনার হাত, পা বা পিঠের পেশীতে যদি আপনি ঘন ঘন খিচুনি অনুভব করেন তাহলে আপনাকে সতর্ক হতে হবে।
- আপনার ত্বক যদি হঠাৎ করে শুষ্ক হয়ে যায় তাহলে আপনাকে সতর্ক হতে হবে।
- আপনার পায়ের গোড়ালি বা পায়ের পাতা যদি হঠাৎ করে ফুলে যায় তাহলে আপনাকে সতর্ক হতে হবে।
আমি এখানে কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ গুলো উল্লেখ করলাম আশা করি আপনারা উপকৃত হয়েছেন। উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনি নিশ্চয়ই কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ গুলো বুঝতে পেরেছেন।
কিডনি ইনফেকশনের টেস্ট
আজ আমি এই আর্টিকেলে কিডনি ইনফেকশনের টেস্ট করানোর বিষয়ে আপনাদেরকে কিছু তথ্য দিব। চলুন তাহলে শুরু করা যাক কিডনি ইনফেকশনের টেস্ট করানোর বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। যাদের বয়স ৪০ পেরিয়ে গেছে তাদের মাঝে মাঝে কিডনির টেস্ট করানো উচিত বা যাদের ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদেরকেও মাঝে মাঝে কিডনি টেস্ট করাতে হবে।
- প্রসাবে আমিষ বা অ্যালবোমিন নির্গত হওয়া কিডনি রোগের একটি অন্যতম কারণ। রেগুলার চেকআপেও এটা ধরা পড়ে না অনেক সময় এই আমিষের পরিমাণ এত কম হয় যে তখন মাইক্রো এলবুমিন টেস্ট করাতে হয়।
- কিডনি ভালো আছে কিনা এটা পরীক্ষার জন্য রক্তে ইউরিয়া ও সিরাম ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা করতে হয়। এ দুটি বেড়ে গেলে বুঝতে হবে কিডনির সমস্যা হয়েছে।
- কিডনি কি পরিমান নষ্ট হয়েছে এটি বোঝা যায় সিসিআর বা জিএফআর এ টেস্ট করানোর মাধ্যমে।
- কিডনির আকার, পাথর, টিউমার, সিস্ট, পোস্টেড এগুলোর কোন সমস্যা আছে কিনা সেটা পরীক্ষা করার জন্য আল্ট্রাসাউন্ড করাতে পারেন।
- কিডনি ফেইলর বা অন্যান্য কোন সমস্যা চেক করাতে রক্তের হিমোগ্লোবিন, ইলেকট্রোলাইট, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, ফসফেট ইত্যাদি পরীক্ষা করতে পারেন।
আমি এই আর্টিকেলে কিডনি ইনফেকশনের টেস্ট গুলোর নাম উল্লেখ করেছি আশা করি এটি আপনাদের উপকারে আসবে। উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনি নিশ্চয়ই কিডনি ইনফেকশনের টেস্ট এ বিষয়টি পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পেরেছেন।
কিডনি টেস্ট খরচ কত
আজ আমি এই আর্টিকেলে কিডনি টেস্ট খরচ কত এ বিষয়ে আপনাদেরকে কিছু তথ্য দিব আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন। চলুন তাহলে শুরু করা যাক কিডনি টেস্ট খরচ কত এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। আপনি যদি কিডনির সিরাম ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা করান তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার কিডনিটি কেমন আছে। এ পরীক্ষাটি বিভিন্ন হসপিটালে বিভিন্ন রেটে করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ বড়দের খিঁচুনি হওয়ার ০৫টি কারণ - খিঁচুনি হওয়ার ০৯টি লক্ষণ
তবে এই পরীক্ষাটি করাতে সাধারণত ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা খরচ হয়ে থাকে। যেহেতু কিডনি ভালো আছে কিনা সেটির পরীক্ষা খরচ খুব একটা বেশি নয় এটা আমাদের সাধ্যের মধ্যেই তাই আমাদের উচিত বছরে অন্তত দুই একবার এই পরীক্ষাটি করানো। উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কিডনি টেস্ট খরচ কত।
কিডনি টেস্ট নাম লিস্ট
সম্মানিত পাঠক আজ আমি এই আর্টিকেলে আপনাদের সুবিধার্থে কিডনি টেস্ট নাম লিস্ট এ বিষয়ে তথ্য প্রদান করব আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন। চলুন তাহলে শুরু করা যাক কিডনি টেস্ট নাম লিস্ট এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য। যাদের বয়স ৪০ পেরিয়ে গেছে বা যারা ডায়াবেটিস রোগে এবং উচ্চ রক্তচাপ রোগে ভুগছেন।
আরো পড়ুনঃ সকালে ব্যায়াম করার ১০টি উপকারিতা - সকালে ব্যায়াম করার ১০ নিয়ম
তাদেরকে বছরে অন্তত দুই একবার এই পরীক্ষাগুলো করানো উচিত, তাহলে আপনি আপনার কিডনির পরিস্থিতি কেমন আছে সেটা পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পারবেন এবং আগে থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করতে পারবেন। আমি নিম্নে কিডনি টেস্ট নাম লিস্ট প্রদান করলাম আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে।
- প্রসবের রুটিন চেকআপের মধ্যে মাইক্রোস্কোপিক চেকআপ টি করাতে পারেন।
- কিডনির অবস্থা বুঝতে রক্তের ইউরিয়া ও সিরাম ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষাটি করাতে পারেন।
- কিডনি কতখানি ক্ষতিগ্রস্ত আছে সেটা বোঝার জন্য জিএফআর পরীক্ষাটি করাতে পারেন।
- কিডনিতে পাথর আছে কিনা বা কিডনির অন্যান্য সমস্যার জন্য আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষাটি করাতে পারেন।
- কিডনি ফেইলর বা অন্যান্য কোন সমস্যা হয়েছে কিনা সেটা দেখার জন্য রক্তের হিমোগ্লোবিন, ইলেকট্রোলাইট, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, ফসফেট ইত্যাদি পরীক্ষা করতে পারেন।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনি নিশ্চয়ই কিডনি টেস্ট নাম লিস্ট পেয়েছেন।
উপসংহার
পরিশেষে এ কথা বলে শেষ করবো যে শরীর ঠিক রাখতে আমাদের জীবনযাত্রার মান এবং খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে সঙ্গে সঙ্গে শরীরচর্চা করতে হবে এবং প্রতিনিয়ত আমাদের রুটিন চেকআপ করতে হবে। আমি এই আর্টিকেলে কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ ও কিডনি রোগের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিয়ে আলোচনা করেছি আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।
আর্টিকেলটি পড়ে আপনার যদি ভালো লেগে থাকে এবং আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ।24079
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url