ব্লাড ক্যান্সার কি ভাল হয় - ব্লাড ক্যান্সারে প্রতিরোধ ব্যবস্থা
জটিল রোগ হিসেবে ব্লাড ক্যান্সার কি ভাল হয় অর্থাৎ রক্তে ক্যান্সার সংক্রমণ কি কমানো যায়। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি ব্লাড ক্যান্সার কি ভাল হয় সেই বিষয়ে জানতে পারবেন। রক্তের লোহিত কণিকা থেকে হয় বলে যেকোন বয়সেই হতে পারে। ব্লাড ক্যান্সার কি ভাল হয় এই সম্পর্কে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চলুন জেনে আসি।
অস্থিমজ্জার ভেতর দিয়ে এই রক্ত কণিকাগুলো তৈরি হয় এবং শিরা উপশিরার মাধ্যমে প্রবেশ করতে পারে। এই অস্থিমজ্জার ভেতর শ্বেত রক্ত কণিকার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হয় বলে রক্তের কোষে ক্যান্সার উৎপাদন বেড়ে যায়। যা ধীরে ধীরে ব্লাড ক্যান্সার ছড়িয়ে দিতে থাকে এবং ক্রোমোজোমের ভেতরে থাকা মিউটেশন সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না।
পেজ সূচিপত্র
- ব্লাড ক্যান্সার কিভাবে ভালো হয়
- ব্লাড ক্যান্সার কিভাবে নির্ণয় করা হয়
- ব্লাড ক্যান্সার হলে কি কি পরীক্ষা করা হয়
- ব্লাড ক্যান্সার কি ভাল হয়
- ব্লাড ক্যান্সার ভালো করতে প্রতিরোধ ব্যবস্থা
- ব্লাড ক্যান্সার ভালো করার চিকিৎসা
- শেষকথা
ব্লাড ক্যান্সার কিভাবে ভালো হয়
ব্লাড ক্যান্সার একটি মারাত্মক দুরারোগ্য ব্যাধি হলেও আপনি প্রাথমিক অবস্থা থেকে ব্লাড ক্যান্সার কি ভাল হয়? যদি চিকিৎসা করাতে পারেন নিয়ম অনুযায়ী, তাহলে ধীরে ধীরে এটিকে ভালো করা সম্ভব হতে পারে। কারণ এই ব্লাড ক্যান্সার আপনার শরীরে যখন ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করে জটিল পর্যায়ে চলে যায়।তখন ব্লাড ক্যান্সার কি ভাল হয় তা না জানলে এটি আপনার চিকিৎসারও নাগালের বাহিরে চলে যেতে পারে। তাই নিয়মিত ব্লাড ক্যান্সার চেকআপের মাধ্যমে নিশ্চিতকরণ হয়ে এই রোগকে শনাক্ত করতে হবে। বিশেষ করে ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। এমনভাবে আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ জন্ডিসের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন
কেমোথেরাপির মাধ্যমে উচ্চডোজ প্রয়োগ করে প্রাথমিক পর্যায়ে ভালো করার জন্য ব্লাড ক্যান্সারে প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। এছাড়াও জৈবিক থেরাপি এবং উচ্চডোজ কেমোথেরাপি দেয়া যেতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রুটিন করে নিয়মিত চলতে হবে। এভাবে কিছুদিন চলার পর আপনি ধীরে ধীরে নিজেই বুঝতে পারবেন।
আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ব্লাড ক্যান্সার ভালো হওয়ার দিকে যাচ্ছে। এছাড়াও শিরার মাধ্যমে কিছু ওষুধ দিতে পারে যা রক্ত প্রবাহে প্রবেশ করে আপনার শরীরে থাকা ক্যান্সার কোষগুলোকে মেরে ফেলতে সাহায্য করতে পারে। ব্লাড ক্যান্সারে প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে কেমোথেরাপির মধ্যে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন দেয়া হতে পারে।
ব্লাড ক্যান্সার কিভাবে নির্ণয় করা হয়
আপনার শরীরের ব্লাড ক্যান্সার নির্ণয় করার জন্য প্রাথমিকভাবে আপনাকে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। অথবা আপনি হাসপাতাল থেকেও ডায়াগনস্টিক পরীক্ষাগুলো করাতে পারেন। শরীরের লিম্ফ নোডগুলো ঠিক আছে কিনা এবং আপনার শরীরের সংক্রমণের কোন লক্ষণ দেখা যায় কিনা সেগুলো এই পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করা যেতে পারে যেমন,
- ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার মধ্যে রক্ত পরীক্ষা ও অস্থিমজ্জা পরীক্ষা দিতে পারেন।
- এছাড়াও রেডিওলজিক্যাল পরীক্ষার মধ্যে যেমন সিটি স্ক্যান, এক্সরে এবং পিইটি স্ক্যান করা লাগতে পারে।
- ব্লাড ক্যান্সারে প্রতিরোধ ব্যবস্থা এর জন্য লিম্ফ নোড নির্ণয় করার পাশাপাশি শারীরিক পরীক্ষাও দিতে পারে।
- রক্তের কোষকে পরিমাপ করার জন্য শ্বেত রক্তকণিকা এবং লোহিত রক্তকণিকার পরিমাপ করা লাগতে পারে।
- রক্তের গণনা পরিষ্কার না করা হলে ব্লাড স্মিয়ার টেস্ট দেয়া হয় যার মাধ্যমে কোষগুলির উপস্থিতি ও পরিমাপ জানা যায়।
- ব্লাড ক্যান্সার কি ভাল হয় তা জেনে নিয়ে রক্তের মধ্যে বিদ্যমান সুগার, কোলেস্টেরল, প্রোটিন এবং হরমোনের মাত্রা বুঝার জন্য পরিমাপ করা লাগতে পারে।
ব্লাড ক্যান্সার হলে কি কি পরীক্ষা করা হয়
ব্লাড ক্যান্সার হলে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করা হয় যার মধ্যে রয়েছে ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা, রেডিওলজিক্যাল পরীক্ষা এবং ব্লাড ক্যান্সারে প্রতিরোধ ব্যবস্থা এর জন্য কোষে রক্তের কোষকে পরিমাপ করা জন্য রক্ত পরীক্ষা দেওয়া হয়। চলুন ব্লাড ক্যান্সার হলে কি কি পরীক্ষা দেওয়া হয় তার বিস্তারিত জেনে আসি।
১। সিবিসি এমন একটি পরীক্ষা যেটা করার মাধ্যমে ব্লাড ক্যান্সার শনাক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারন এটি পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তে কোন ধরনের সমস্যা আছে কিনা সেই রকম কিছু সন্দেহজনক মনে হলে চিকিৎসকরা এই পরীক্ষাটি দিতে পারেন।
২। কোষের মধ্যে রক্তকণিকা কোনভাবে সংক্রমিত হয়েছে কিনা সেটি বুঝার জন্য অথবা রক্তকণিকা স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে কিনা এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক কত রয়েছে সেগুলো বুঝার জন্য এই পরীক্ষাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৩। বোন ম্যারো পরীক্ষার মাধ্যমে ব্লাড ক্যান্সারকে শনাক্ত করা যেতে পারে কারণ এই পরীক্ষাটির মাধ্যমে ব্লাড ক্যান্সারের কোষের পরিমাণ কতটুকু শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে সেটি খুব সহজেই ধরা যেতে পারে।
৪। এছাড়াও আপনার শরীরে রোগ নির্ণয় করার জন্য ব্লাড ক্যান্সার কি ভাল হয় সেটি পরীক্ষা করতে পারেন। কোন অংশটি থেকে টিস্যু অপসারণ করে নেয়া হয়েছে সেটি দেখার জন্য এই পরীক্ষাগুলো করা যেতে পারে।
৫। গ্ল্যান্ডের বায়োপসি পরীক্ষা নামে এক ধরনের পরীক্ষা রয়েছে যেই পরীক্ষার মাধ্যমে ব্লাড ক্যান্সারকে শনাক্ত করা যায় খুব সহজেই যা আপনার জন্য খুবই ভালো হবে। এই পরীক্ষাটি করার মাধ্যমে শরীরের যেকোনো অংশ থেকে টিস্যুকে অপসারণ করে নেয়া হয়।
৬। গ্ল্যান্ডের বায়োপসি ও বোন ম্যারো বায়োপসি পরীক্ষা করানোর পরেও যদি ধরা না পড়ে তাহলে রোগীর বিভিন্ন মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করতে দেশে ও বিদেশে আরও অনেক ধরনের পরীক্ষা করা লাগতে পারে। এই পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমে ব্লাড ক্যান্সারের ধরনকে শনাক্ত করা যায়।
৭। যখন আপনার বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষ হয়ে যায় তখন আপনার ব্লাড ক্যান্সারের ধরন বুঝে কোন ধরনের চিকিৎসা করতে হবে বা ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে সেই ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা বিবেচনার মাধ্যমে দেয়া হয়।
৮। আরও অনেক ধরনের পরীক্ষা যেমন রেডিওলজিক্যাল পরীক্ষা, সিটি স্ক্যান, এক্সরে, পিইটি স্ক্যান ইত্যাদি করা লাগতে পারে। পাশাপাশি অস্থিমজ্জা পরীক্ষা, লিম্ফ নোড নির্ণয় এবং শারীরিক পরীক্ষাও করা হয়।
৯। শ্বেত রক্তকণিকা এবং লোহিত রক্তকণিকা পরিমাপ করার জন্য চিকিৎসক রক্ত পরীক্ষাও দিতে পারে। এছাড়াও রক্তে সুগার, প্রোটিন, কোলেস্টেরল এবং হরমোন পরিমাপের জন্যেও এই রক্ত পরীক্ষা দিয়ে থাকে।
১০। সাদা রক্ত কোষের সংখ্যা, আকার, আকৃতি এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য দেখার জন্যেও ফ্লো সাইটোমেট্রি এর মাধ্যমে পরিমাপ করে দেখা যেতে পারে।
১১। যদি কোন কারণে রক্তের গণনা পরিষ্কার না হয়ে থাকে তাহলে এমন একটি পরীক্ষা দেওয়া হয় যার মাধ্যমে কোষের উপস্থিতি ও পরিমাপ জানা যায় সেই পরীক্ষাটির নাম হল ব্লাড স্মিয়ার টেস্ট।
ব্লাড ক্যান্সার কি ভাল হয়
সঠিক চিকিৎসা পেলে একজন রোগী ব্লাড ক্যান্সার থেকে ধীরে ধীরে ভালো হয়ে উঠতে পারে। কারণ আপনি যদি ব্লাড ক্যান্সারের ধরন একবার নির্ণয় করে ফেলতে পারেন, তাহলে ধাপে ধাপে চিকিৎসা পদ্ধতি চালিয়ে যেতে থাকতে পারবেন। চিকিৎসার এই বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতিকে পর্যায়ক্রমে নিতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ব্যায়াম এর কার্যকর পদ্ধতি
যেমন বিভিন্ন ধরনের কেমোথেরাপি রয়েছে, এছাড়াও ইমিউনোথেরাপি, রেডিয়োথেরাপি ইত্যাদি বেশ কিছু থেরাপি রয়েছে। এই থেরাপিগুলো আপনার রোগকে নিরাময় করার জন্য ভালো কাজ করে থাকে। এছাড়াও রোগের সমস্যাকে সারিয়ে তুলতে অস্থিমজ্জাও প্রতিস্থাপন করা হয়।
তাই ব্লাড ক্যান্সার কি ভাল হয় তার বিস্তারিত জেনে ধীরে ধীরে সঠিক চিকিৎসা দিয়ে ব্লাড ক্যান্সারে প্রতিরোধ ব্যবস্থা জেনে একজন ব্লাড ক্যান্সার রোগীকে এইভাবে সারিয়ে তুলতে পারেন, যার মাধ্যমে ব্লাড ক্যান্সার রোগী ধীরে ধীরে ভালো হয়ে উঠতে পারে।
ব্লাড ক্যান্সার ভালো করতে প্রতিরোধ ব্যবস্থা
ব্লাড ক্যান্সারে প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়াটা খুবই জরুরী। প্রত্যেক ব্লাড ক্যান্সার রোগীর জন্য যা আপনাকে সুস্থতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। কারণ ব্লাড ক্যান্সারের যে অস্থিমজ্জা রয়েছে তার রক্তের কোষ দ্বারা যখন অস্বাভাবিকভাবে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।তখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিসাধন করে থাকে ব্লাড ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করতে কিছু ব্যবস্থা নিতে পারেন যেমন,
১। তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ও উচ্চতর তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের কোন বিকিরণ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারেন। কারণ এটি রক্তের কোষে ডিএনএ তৈরি করে অস্বাভাবিকভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে যা ব্লাড ক্যান্সার তৈরিতে সাহায্য করে।
২। ব্লাড ক্যান্সার অনেক সময় জিনগত রোগের কারণেও হতে পারে যেমন বিভিন্ন অ্যানিমিয়ার সংক্রমণ যখন রক্ত কণিকায় ডিএনএ অস্বাভাবিকভাবে সৃষ্টি করে ফেলে তখন রক্তে ব্লাড ক্যান্সারের সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে প্রতিরোধ করতে পারেন।
৩। নিজেকে বিভিন্ন ধরনের ধূমপান এবং তামাক থেকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। কারন ধূমপানের ফলে আপনার রক্তের কোষে ব্লাড ক্যান্সার অস্বাভাবিকভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে যা আপনার শরীরকে ধীরে ধীরে দুর্বল করে দিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে।
৪। ব্লাড ক্যান্সার কি ভাল হয় তা জেনে মাঝে মাঝে ব্যায়াম করতে পারেন যা আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করতে পারে এবং আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে আপনাকে শক্তিশালী করে তুলবে।
৫। আপনাকে নিয়মিত সুষম স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। খাবার গুলো খেলে আপনার শরীরে ব্লাড ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। কিছু পুষ্টিকর ফাইবার জাতীয় খাবার এবং প্রোটিন খেতে হবে যা আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারবে।
৬। ব্লাড ক্যান্সার কি ভাল হয় তার বিস্তারিত বুঝে বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়াজাত খাবার, লাল মাংস, টিনজাত খাবার, পরিশোধিত চিনি, হাইড্রোজেনেটেড তেল এগুলো খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে।
৭। ব্লাড ক্যান্সারে প্রতিরোধ ব্যবস্থা এর মধ্যে রাসায়নিক বিভিন্ন দ্রব্যাদির সংস্পর্শ থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। যদি কখনো কাজের প্রয়োজনে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করতে হয় তাহলেও নিজেকে যথাসম্ভব দূরে রাখতে হবে।
৮। এক্সরে করার সময় এবং নিউক্লিয়ার বিভাগের যদি কাজ করে থাকেন। সেইক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, কোনভাবেই যেন কোন সমস্যার মধ্যে না পড়েন।
৯। আপনার ওজনকে যথেষ্ট পরিমাণে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে। কোনভাবেই অতিরিক্ত ওজন আপনার শরীরের জন্য ভালো হবে না। কারণ নীরব ঘাতকের মত আপনার খাদ্যনালী দিয়ে গলব্লাডার ও লিভারের অন্ত্রে লসিকাগ্রন্থি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ব্লাড ক্যান্সারের দিকে নিয়ে যাবে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে সচেতন থাকুন।
১০। খাবার রান্না করার সময় সব সময় অল্প আঁচে সিদ্ধ করে রান্না করার চেষ্টা করুন। কারণ আপনি যখন উচ্চ আমিষ জাতীয় যেই খাবার রয়েছে সেগুলো যখন রান্না করতে যাবেন। তখন রাসায়নিক উপাদানের সৃষ্টি হয়, যেইগুলো ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও অতিরিক্ত ভাজাপোড়া ও বারবিকিউ করে মাংস খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
১১। ব্লাড ক্যান্সারে প্রতিরোধ ব্যবস্থা এর জন্য নিয়মিত আপনাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। কারণ যদি বংশাবলি ক্রমে আপনার পরিবারের কারও ব্লাড ক্যান্সার হয়ে থাকে, তাহলে আপনারও হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। সেইক্ষেত্রে নিয়মিত নিজেকে চেকআপে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত হয়ে ধরা পড়লে চিকিৎসার মাধ্যমে আরোগ্য হওয়ার চেষ্টা করতে পারেন।
ব্লাড ক্যান্সার ভালো করার চিকিৎসা
ব্লাড ক্যান্সারে প্রতিরোধ ব্যবস্থা এর জন্য সবচাইতে ভালো চিকিৎসা হলো কেমোথেরাপি। যেটি সারা বিশ্বের সকল জায়গায় ব্লাড ক্যান্সারের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই কেমোথেরাপি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করার ফলে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী খুব সহজেই সুস্থ হয়ে উঠতে পারে।আরও পড়ুনঃ প্রেশার লো হলে করণীয় কাজ কি
মাঝে মাঝে কিছু ওষুধ মৌখিকভাবে বা শিরাতে দেয়া হয়। এই ওষুধগুলো যখন রক্তে প্রবেশ করে, তখন রক্তের মধ্যে থাকা ক্যান্সার কোষগুলোকে মারতে সাহায্য করে থাকে। যেহেতু এই কেমোথেরাপি গুলো শুধু এমনিতেই ব্যবহার করা হয় না অন্য ধরনের থেরাপের সাথেও ব্যবহার করা হয়।
ব্লাড ক্যান্সার কি ভাল হয় তা জেনে নিয়ে যেমন, অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের সময়ও এই কেমোথেরাপি ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও ওষুধের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্যেও নতুন সংমিশন পদ্ধতিতে ওষুধ দেয়া হয়। কেমো থেরাপির ওষুধগুলো সেল প্রতিরোধ করার জন্য মোকাবেলা করতে সাহায্য করে এবং এর কার্যকারিতা খুবই ভালো কাজ করে থাকে।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url