আমরা কিভাবে মিষ্টির স্বাদ পাই - আমরা স্বাদ বুঝি কীভাবে

আমরা কিভাবে মিষ্টির স্বাদ পাই সে বিষয়ে কি আমরা জানি, আমরা আমাদের শরীরে শক্তি অর্জনের জন্য বিভিন্ন সময় নানা রকম সুস্বাদু খাবার খেয়ে থাকি। আমরা কিভাবে মিষ্টির স্বাদ পাই এই বিষয়ে আমরা এখানে আলোচনা করব। আমরা কিভাবে মিষ্টির স্বাদ পাই সেটি বুঝতে হলে আপনাকে জিহ্বার কাঠামো সম্পর্কে জানতে হবে।
দেহের পুষ্টি বৃদ্ধি করার জন্য আমরা যে খাবার খাই সেই খাবার যদি মিষ্টি জাতীয় হয় তাহলে যারা মিষ্টি পছন্দ করেন তাদের জন্য এটি খুবই আনন্দের হয়। আমরা স্বাদ বুঝি কীভাবে এটি বুঝতে হলে আপনাকে জিহ্বা সম্পর্কে ধারণা নেওয়া প্রয়োজন। কারণ জিহ্বা এর মাধ্যমে নিঃসৃত লালারস থেকে আমরা এই স্বাদ নিয়ে থাকি যা দ্বারা আমরা তৃপ্ত হই। 

পেইজ সূচিপত্র

স্বাদ কি

স্বাদ হচ্ছে এমন একটি অনুভূতি যা সনাতন অনুভূতিকে উপলব্ধি করায়। মুখের মধ্যে যদি কোন কিছু প্রবেশ করানো হয় আর সেটি যদি রাসায়নিকভাবে বিক্রিয়ায় উৎপাদিত হয়ে স্বাদ কুঁড়ি মাধ্যমে রাসন হয়ে জিহ্বার উপর এই স্বাদকে অনুভব করায়। আপনি কি জানেন, আমরা কিভাবে মিষ্টির স্বাদ পাই? স্বাদ সংবেদনশীল হওয়ায় স্নায়ুকে উদ্রেক করে স্বাদ গন্ধ নির্ধারিত হয়‌।
স্বাদ নামের বিশেষ অর্থ হচ্ছে মিষ্টি লাগা। এটাকে অনেক নামেই ডাকা যায় যেমন মধুর লাগা, আস্বাদ, রসাল অথবা সুস্বাদু। খাবারের সম্পূর্ণ স্বাদটি নেওয়ার জন্য মস্তিষ্ক ও জিহ্বা সব সময়ই তারা করে বেড়ায়। ভাবে স্বাদ নেওয়ার জন্য জিহ্বা করে থাকে সাহায্য করে থাকে। মুখের ভিতরে বিভিন্ন কোষ বিভিন্ন ধরনের সাধের প্রতি আগ্রহ দেখায় সেগুলো হল লবণাক্ততা, অম্লতা, তিক্ততা, মিষ্টতা এবং মাংসলতা ইত্যাদি।

আমরা কিভাবে মিষ্টির স্বাদ পাই

প্রতিনিয়ত আমরা যে মিষ্টি জাতীয় খাবার খেয়ে থাকি তার জন্য মিষ্টির স্বাদকে গ্রহণ করতে হলে মিষ্টির স্বাদের যে অনুগুলো রয়েছে সেগুলো স্বাদের কুঁড়িতে স্থানান্তর হয়ে যায়। আমরা কিভাবে মিষ্টির স্বাদ পাই এবং আমরা স্বাদ বুঝি কীভাবে? যদি আপনি জানতে চান তাহলে মিষ্টি স্বাদের যে অনুগুলি রয়েছে তাদের স্থানান্তরের বিষয়টি খেয়াল করবেন। 

মিষ্টি স্বাদের যে অনুগুলি রয়েছে তারা বিভিন্ন পথের মাধ্যমে সিএনএস এবং বিভিন্ন অন্ত্রে প্রবেশ করে। মাঝে মাঝে হাইপোথ্যালামাসের যেই কেন্দ্র রয়েছে সেখানে মিষ্টির স্বাদ গ্রহণ করার বিভিন্ন পথ থাকে। এখানে একটি বিষয় খেয়াল করলে দেখতে পারবেন যে মিষ্টি স্বাদের জন্য গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টের এর জন্য হাইপোথ্যালামাস আমাদের দেহের সব জায়গায়ই বিরাজমান। 

পুষ্টি ক্ষমতা বাড়াতে এবং শক্তি উৎপন্ন করতে মিষ্টির এই স্বাদ শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখে। যার ফলে ডায়াবেটিস মেলিটাস এর মত রোগ যেমন প্যাথোজেনেসিস এর রাস্তাগুলো কর্মহীন হয়ে উঠতে পারে না। আমরা কিভাবে মিষ্টির স্বাদ পাই তা জানলে বুঝতে পারবেন যে, মিষ্টি স্বাদে সব সময়ই শর্করা যেমন গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, মল্টোজ এবং সুক্রোজ বিদ্যমান থাকে।

মিষ্টি ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিডের ফলে এবং কৃত্রিম সুইটনারস রাসায়নিকভাবে শরীরের বিভিন্ন পরিসরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। মিষ্টি স্বাদ শরীরে যখন প্রবেশ করে তখন হেটেরো ট্রাইমেরিক জি প্রোটিন শক্তি উৎপন্ন করে এবং বিভিন্ন কেন্দ্রগুলিতে এর সংকেত পাঠিয়ে দেয়। যার ফলে আমরা যখনই কোন মিষ্টি জাতীয় খাবার খাই তখন মিষ্টির স্বাদকে অনুভব করতে পারি।

আরও পড়ুনঃ পিঠা নিয়ে স্ট্যাটাস কবিতাগুলি দেখে নিন

আপনি যদি আপনার মুখে মিষ্টি স্বাদকে নির্ধারণ করতে চান তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে আপনার মধ্যে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল নালীর মাধ্যমে মিষ্টি স্বাদ আসা যাওয়া করছে। মিষ্টি মূলত খাওয়ার পরে আপনাকে একটা সংকেত দেয় যে সে একটা স্বাদকে গ্রহণ করল। মুখের মধ্যে যে মিষ্টির স্বাদকে অনুভূতিতে পাবেন তা আপনার পাচনতন্ত্রের প্রথমে অধিকাংশ ক্ষেত্রে অনুভব হবে। 

আপনি যদি নিয়মিত অম্বলের কারণে ওষুধ খেয়ে থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে, আমরা কিভাবে মিষ্টির স্বাদ পাই? মিষ্টি পেট থেকে পাওয়া যায় সেটি অ্যান্টিবায়োটিক এর মাধ্যমে খারাপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। আবার আপনি যদি মুখে মিষ্টি জাতীয় কোন কিছু শ্বাসযন্ত্রের মাধ্যমে যায় তাহলে বুঝতে পারবেন এটি মিষ্টি কোন স্বাদকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।

মুখে মিষ্টি স্বাদের কারণ কি

আমাদের মস্তিষ্কে সব ধরনের স্বাদ নেওয়ার জন্য শ্বাসনালীকে ব্যবহার করে ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে জিহ্বাতে সিগনাল পাঠায়। যদি কোন কারনে সর্দি হয় তাহলে সেটি সংক্রমনের ফলে এক ধরনের লালা যেমন, গ্লুকোজ থাকে যা মানুষের জিহ্বার স্বাদকে মিষ্টি করে রাখে। আমরা কিভাবে মিষ্টির স্বাদ পাই এবং জিহ্বা মিষ্টি হওয়ার কারণগুলো আলোচনা করা হলো -

  • আপনার শরীরে যদি বিভিন্ন ধরনের বিপাকীয় সমস্যা, থাইরয়েড রোগ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি সমস্যা গুলো বিদ্যমান থাকে তাহলে আপনার মুখের স্বাদ মিষ্টি হয়ে আপনাকে খাবারের দিকে ধাবিত করে।
  • আপনার নাকও গলায় যদি কোন সংক্রমণ থাকে কিছু ব্যাকটেরিয়ার জন্য যেমন সিউডোমোনাস এর ফলে মুখে মিষ্টি স্বাদের সৃষ্টি হয়।
  • আপনার যদি স্নায়ুবিক দিক থেকে কোন সমস্যা থাকে তাহলে এটি মুখে মিষ্টি স্বাদের কারণ হতে পারে।
  • মহিলাদের গর্ভাবস্থায় প্রথম দিকে মুখে মিষ্টির স্বাদের মতো এক ধরনের স্বাদ অনুভব করতে পারে।
  • দেহে আমরা কিভাবে মিষ্টির স্বাদ পাই? পাকস্থলীতে যে অ্যাসিড রয়েছে সেটি যদি মুখ এবং গলা দিয়ে চলে আসে তাহলে মুখে এক ধরনের মিষ্টি স্বাদ অনুভব হতে পারে, এটি মূলত গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজের ফলে হয়।
  • এমন এক ধরনের ভাইরাস রয়েছে যা আপনার শরীরের ঘ্রাণ শক্তিকে আক্রমণ করতে পারে এর ফলে আপনার ঘ্রাণশক্তির সমস্যা হতে পারে এবং আপনার মুখে মিষ্টি স্বাদ অনুভব হতে পারে।
  • আপনার দেহে যে ফুসফুস রয়েছে সেখানের ছোট কোন কোষের ফুসফুসে যদি ক্যান্সার হয় তাহলে মিষ্টি স্বাদ প্রথম অবস্থায় অনুভব হতে পারে।

আমরা স্বাদ বুঝি কীভাবে

আপনি যদি খাদ্য গ্রহণ করার সময় খেয়াল করেন শরীরের কাঠামো অনুযায়ী আপনার বিশেষ রসনা তৃপ্তিকে পাওয়ার জন্য আমরা স্বাদ নিয়ে থাকি। কখনো কি আপনার মনে প্রশ্ন এসেছে? আমরা স্বাদ বুঝি কীভাবে যা আমাদের তৃপ্তি দেয়। আমরা অনেক সময়ই বিভিন্ন রকমের সুস্বাদু খাবার খেয়ে থাকি।

আবার যদি আমাদের কাছে খাবার ভালো লাগে তাহলে আমরা খাই আর খাবার যদি ভালো না লাগে তাহলে আমরা সেটিকে বর্জন করি। খাবার আমাদের শক্তিকে বাড়িয়ে থাকে সেই ধরনের খাবারগুলো বেশিরভাগই মিষ্টি জাতীয় খাবার হয়ে থাকে। তেতো খাবার কিন্তু আমরা খুব সহজেই খেতে চাই না।

স্বাদের এক ধরনের বিশেষ অনুভূতি তার নাম হচ্ছে গাস্টেশন কিন্তু আমরা কিভাবে মিষ্টির স্বাদ পাই? আর এর কারণে আমরা অনেক ধরনের খাদ্য ও মিষ্টি জাতীয় পানীয় এর স্বাদ অনুভব করতে পারি। ভালো এবং মন্দ জাতীয় খাবারের স্বাদও নিতে পারি। আমরা খাবারের স্বাদকে মূলত আমাদের জিহ্বা এর দ্বারা নিয়ে থাকি। 

কারণ আমাদের জিহ্বা মিউকাস পর্দা দ্বারা আবৃত থাকার ফলে জিহ্বার স্বাদকে গ্রহণের জন্য ছোট ছোট জিহ্বার উপরে উঁচু উঁচু গুটি বিদ্যমান। মাঝে মাঝে খালি চোখে আপনি এই প্যাপিলিদের দেখতে পাবেন। এইসব প্যাপিলিদের মধ্যে স্বাদকোরক থাকার ফলে মানুষজন আস্বাদন স্বাদ নিতে পারে। 

মিষ্টি স্বাদ একটি তৃপ্তিকর স্বাদ হওয়ার কারণে এতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে তার উপস্থিতিতে স্বাদটি মিষ্টি হয়। এছাড়া কৃত্রিম রাসায়নিক মিষ্টি পদার্থ যেমন স্যাকারিন এর মিষ্টি জাতীয় ভাব এতটাই বেশি থাকে যে প্রাকৃতিকভাবে যে আখের রস থাকে তার থেকেও অনেক বেশি মিষ্টিগুন এর মধ্য রয়েছে।

কেন আমরা মিষ্টি জিনিস খেতে পছন্দ করি

জানেন কি? আপনার কেন মিষ্টি জিনিসের প্রতি এত বেশি আকর্ষণ কাজ করে। কিছু মানুষের কাছে মিষ্টি খুবই ভালো লাগে আবার কিছু কিছু মানুষের জন্য মিষ্টি অপছন্দের একটি খাবার। কিন্তু যারা মিষ্টি খেতে খুবই পছন্দ করে তারা বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন আইটেম, ফিরনি, ঘরোয়া মিষ্টান্ন খাবার, ক্যান্ডি জাতীয় চকলেট, মিষ্টিফল এবং বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি জাতীয় পানীয় খুবই প্রিয়। 

আমাদের এই মিষ্টি স্বাদকে অনুভব করার জন্য আমরা স্বাদ বুঝি কীভাবে? আমরা জিহ্বাকে ব্যবহার করে থাকি এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার অনেক সময় বংশগতভাবে পছন্দনীয় হয়। মাঝে মাঝে আপনি একটু খেয়াল করলে দেখতে পাবেন, মিষ্টি জাতীয় কিছু খাওয়ার পর শরীরে একটু অন্যরকম এনার্জি অনুভব করছেন। 

কিন্তু তা কেন হয়? তার কারণ হলো মিষ্টি জাতীয় খাবার আমাদের মস্তিষ্কে জৈব রাসায়নিক সিস্টেমের মাধ্যমে পুষ্টি যোগায়। আমরা যে খাদ্য থেকে শক্তি অর্জন করি তা আমাদের বেঁচে থাকার জন্যই, কিন্তু আমরা কিভাবে মিষ্টির স্বাদ পাই তা আমাদের জানতে হবে। দেহের শক্তির প্রধান কাঠামোর মধ্যে একটি হল কার্বোহাইড্রেট যা আমাদের শর্করার চাহিদাকে পূরণ করে।
আমাদের দেহের শক্তি অনেক বেশি বাড়ানোর জন্য, মিষ্টি আমাদের খাবারের প্রতি আগ্রহকে বাড়িয়ে দেয়। মানুষ ব্যতীত অন্যান্য মাংসাশী প্রাণী অথবা উদ্ভিদ যারা সরাসরি কার্বোহাইড্রেট এর ওপর নির্ভরশীল হয় না তাই বিশেষ করে মানুষের জন্য মিষ্টির স্বাদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

আর বিশেষ করে আপনাদের মধ্যে অধিকাংশই মিষ্টি ব্যতীত খাবারের চেয়ে মিষ্টি জাতীয় খাবার খুব পছন্দ করে। যেমন মিষ্টি চকলেট বিট, মালাই স্যান্ডউইচ মিষ্টি ইত্যাদি। মানুষের মস্তিষ্ক মিষ্টি খাবার খাওয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মুখের লালাগ্রন্থি থেকে নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে এই মিষ্টির স্বাদকে উপলব্ধি করায়। 

বিশেষ করে থ্যালামাস সেরোটোনিনকে নিঃসরণ করে জিহ্বাকে তৃপ্তি যোগায়। তাই অনেক সময় তৃপ্তি না আসা পর্যন্ত আমরা মিষ্টি খেতেই থাকি। আর এই থ্যালামাস সেরোটোনিন এর জন্যই মিষ্টি আপনারা এতটা পছন্দ করেন। আর মস্তিষ্ক এভাবেই আপনাদেরকে জিহ্বার মিষ্টি স্বাদকে অনুভব করায়। 

মানুষের জিহ্বা কত ধরনের স্বাদ গ্রহণ করতে পারে

আমরা স্বাদ বুঝি কীভাবে? আপনি যদি খাবারের স্বাদকে গ্রহণ করার কোন মাধ্যম না পেতেন তাহলে এই বিশেষ পাঁচ ধরনের স্বাদকে অনুভব করতে পারতেন না। তাই মানুষের জিহ্বা পাঁচ ধরনের স্বাদকে গ্রহণ করার ক্ষমতা রাখে যার মধ্যে হলো -

১। মিষ্টি জাতীয় স্বাদঃ 
আমরা যে খাবারগুলো খাই তার মধ্যে যে মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলো রয়েছে সেটির মিষ্টি হবার পিছনে কার্বোহাইড্রেটের অবদান সবচেয়ে বেশি যেমন, আমরা যে চিনি খাই তা খুব মিষ্টি হয়। মিষ্টি স্বাদের যে অণুগুলি রয়েছে সেগুলো নির্দিষ্ট পরিমাপের হয়ে আসে বলেই আমরা মিষ্টি স্বাদ অনুভব করতে পারি।

২। তিক্ত স্বাদঃ 
এই স্বাদটি খুবই অসহনীয় ও সংবেদনশীল একটি স্বাদ যা সহজে আমাদের খেতে ইচ্ছে করে না। বিশেষ ধরনের কিছু পানীয় রয়েছে যেমন চিরতার রস, নিমপাতার রস, কফি ইত্যাদি। তিক্ততার মাঝে খাবারের যে অনুগুলো রয়েছে এগুলো কার্বন চেইন এর দৈর্ঘ্যের সাথে ধীরে ধীরে তিক্ততা স্বাদও বাড়ে।

৩। লবণাক্ত স্বাদঃ 
যদি কখনো লবণ খেয়ে থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে লবণে অনেকটা লবণাক্ত স্বাদ রয়েছে। বিশেষ করে এখানে সোডিয়াম আয়ন অনেক বেশি পরিমাণে থাকে বলে লবণাক্ত হয় এবং এবং তার সাথে ক্ষার ধাতুর কিছু লবণাক্ত আয়নও রয়েছে। যেমন, পারদে ধাতব স্বাদ পাওয়া যায় এখানে আণবিক গুরুত্বের উপর বিচার বিবেচনা করে কিছু বেশি লবণাক্ত হয় এবং কিছু কম লবণাক্ত হয়।

৪। উমামি স্বাদঃ
এক ধরনের ক্ষুদাজনিত স্বাদ এখানে পাওয়া যায় যেমন আপনার বাসায় যদি কখনো মাংস রান্না করা হয় আপনি একটু খেয়াল করলে দেখতে পাবেন এক ধরনের স্বাদের গন্ধ আপনি পাচ্ছেন। খাবারে অ্যামিনো এসিড এবং প্রোটিন থাকার কারণে স্বাদকে আপনি এইভাবে উপলব্ধি করতে পারেন।

৫। অম্লঃ 
খাদ্যের স্বাদকে অনুভব করানোর জন্যই লঘু হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের সমন্বয়ে আপনি অম্ল স্বাদটি পেয়ে থাকেন যা আপনার মধ্যে অম্লত্ব স্বাদ নিতে সাহায্য করে।

মুখে মিষ্টি স্বাদকে কিভাবে প্রতিরোধ করবেন 

আপনি যদি নিজের শরীরকে সুস্থ রাখতে পারেন তাহলে এই সমস্যাকে আপনি খুব সহজেই প্রতিরোধ করতে পারবেন। আমরা স্বাদ বুঝি কীভাবে? অনেকের ক্ষেত্রে মুখে মিষ্টি স্বাদ খুব কমই পাওয়া যায়। আপনি যদি নিয়মিত প্রতিদিন চর্বিহীন খাবার খান, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, শাকসবজি, ফলমূল এবং সব সময় তাজা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করেন।
 
আমরা কিভাবে মিষ্টির স্বাদ পাই তা যদি আপনি সঠিকভাবে জানেন তাহলে অবশ্যই আপনি এই মিষ্টি স্বাদের সমস্যাকে প্রতিরোধ করতে পারবেন। যাতে খুব বেশি মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তারা নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন বিশেষ করে চিনি যুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা থেকে বিরত থাকুন। 

কারণ এটি আপনার শরীরের বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিতে বাড়িয়ে দেয় যেমন ডায়াবেটিস যা আপনার মুখের মিষ্টি স্বাদের সাথে সাথে খুবই সম্পর্কযুক্ত। আপনি অনেক কিছুর পরেও যদি এই মুখের মিষ্টি স্বাদকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন তাহলে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে তারা নির্দেশ মেনে চলার চেষ্টা করুন।

শেষকথা

এখানে আপনি জানতে পারলেন, আমরা কিভাবে মিষ্টির স্বাদ পাই এবং আমরা স্বাদ বুঝি কীভাবে এইরকম কিছু মজাদার টপিক নিয়ে আপনাদের জন্য আলোচনা করা হয়েছে। আপনাদের কাছে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে নিচের অংশে মন্তব্য করুন এবং আমাদের সাথেই থাকুন। ২৫২৭৫


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url