শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায়

গবেষণায় দেখা গেছে, আজীবন সুস্বাস্থ্যের গোপণ চাবিকাঠি হল ‘লাইফস্টাইল মেডিসিন’। যা খুবই সহজ। কেবলমাত্র আপনার ডায়েটে কিছু স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন আনুন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন। সেই সঙ্গে কীভাবে নিজেকে স্ট্রেস ফ্রি রাখতে পারবেন সেটা শিখুন। 

আপনার সুস্বাস্থ্য (Healthy lifestyle) কীভাবে বজায় রাখবেন তার সঠিক পদ্ধতি বেছে নেওয়া জরুরি। সেটা আদর্শগতভাবে আত্ম-আবিষ্কার এবং শেখার যাত্রা হওয়া উচিত। পড়ুন এবং দেখুন কোনটি আপনার জন্য কার্যকরী।


পোস্ট সূচিপত্র:


  • শারীরিক সুস্থতার জন্য কি কি করতে হবে?
  • স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কি করা উচিত?
  • শরীর ফিট রাখার জন্য কি করতে হবে?
  • মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় কি কি?
  • ফিট থাকার জন্য সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম কি?
  • শরীর ও মনের যত্নের জন্য কি থাকা প্রয়োজন?
  • শারীরিক স্বাস্থ্য বলতে কি বুঝায়?
  • শরীর সুস্থ রাখার খাবার তালিকা


শারীরিক সুস্থতার জন্য কি কি করতে হবে?


শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্য কিছু মূল বিষয় অনুসরণ করতে পারেন:


সঠিক খাদ্যাভ্যাস: পুষ্টিকর খাবার খান, যেমন ফল, সবজি, পূর্ণ শস্য, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও চিনির পরিমাণ কমান।

নিয়মিত ব্যায়াম: সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট মাঝারি থেকে তীব্র ব্যায়াম করুন। হাঁটা, দৌড়ানো, সাইকেল চালানো, যোগব্যায়াম ইত্যাদি ভালো বিকল্প হতে পারে।

পর্যাপ্ত পানি পান: দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করার চেষ্টা করুন, যা শরীরের হাইড্রেশন বজায় রাখতে সাহায্য করে।

পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতিরাত ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। ঘুম আপনার শরীর ও মস্তিষ্কের পুনরুজ্জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

মানসিক সুস্থতা: স্ট্রেস কমানোর জন্য মেডিটেশন, গভীর শ্বাস প্রশ্বাস, অথবা অন্যান্য রিলাক্সেশন টেকনিক ব্যবহার করুন। সামাজিক যোগাযোগ এবং শখের মধ্যে সময় কাটানোও সহায়ক হতে পারে।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষণ: প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষণ করান এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলুন।

অ্যাডিকশন এড়ানো: ধূমপান ও মদ্যপান এড়ানোর চেষ্টা করুন, যেগুলি শারীরিক সুস্থতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

সঠিক ওজন বজায় রাখা: অতিরিক্ত ওজন এড়ানোর জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।


স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কি করা উচিত?

স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কিছু মৌলিক বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন। এখানে কিছু মূল বিষয় তুলে ধরা হলো:

পুষ্টিকর খাবার খান:

ফলমূল ও সবজি: প্রতিদিন বিভিন্ন রকমের ফল ও সবজি খান। এগুলি ভিটামিন, মিনারেলস, ও ফাইবারে সমৃদ্ধ।

পূর্ণ শস্য: সাদা চালের পরিবর্তে ব্রাউন রাইস, ওটস, এবং অন্যান্য পূর্ণ শস্য খাবার খান।

প্রোটিন: মাংস, মাছ, ডাল, বাদাম, এবং ডিম প্রোটিনের ভালো উৎস।

স্বাস্থ্যকর চর্বি: আভোকাডো, জলপাই তেল, এবং বাদাম থেকে স্বাস্থ্যকর চর্বি গ্রহণ করুন।

নিয়মিত ব্যায়াম:

প্রতি সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট মাঝারি তীব্রতার বা ৭৫ মিনিট উচ্চ তীব্রতার শারীরিক কার্যকলাপ করুন।

যোগব্যায়াম, দৌড়ানো, সাইকেল চালানো, অথবা সুইমিং মতো বিভিন্ন ব্যায়াম চর্চা করুন।

পর্যাপ্ত পানি পান:

দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন, এটি শরীরের হাইড্রেশন বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং বিপাকীয় প্রক্রিয়া উন্নত করে।

মানসিক স্বাস্থ্য:

স্ট্রেস কমানোর জন্য মেডিটেশন, গভীর শ্বাস প্রশ্বাস, এবং মানসিক শান্তি বজায় রাখার কৌশলগুলি ব্যবহার করুন।

সামাজিক সম্পর্ক এবং শখের মধ্যে সময় কাটানোও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।

পর্যাপ্ত ঘুম

প্রতিরাতে ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন, যাতে শরীর এবং মন পুনরুজ্জীবিত হয়।

স্বাস্থ্য পরীক্ষা:

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষণ করান এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন।

অ্যাডিকশন এড়ানো:

ধূমপান, মদ্যপান এবং অন্যান্য নেশার দ্রব্য থেকে দূরে থাকুন।

ওজন নিয়ন্ত্রণ:

সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়ামের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন।

হাইজিন মেনে চলা:

নিয়মিত হাত ধোয়া এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিন।

শরীর ফিট রাখার জন্য কি করতে হবে?


শারীরিকভাবে ফিট থাকার অর্থ কেবল পেশিবহুল শরীর নয়। এর অর্থ রোগমুক্ত থাকা, সতেজ-সবল থাকা ও রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ঠিক রাখা। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি বা স্থূলতাজাতীয় রোগের ঝুঁকি বাড়ে। না হাঁটলে বা ব্যায়াম না করলে সমস্যা আরও বাড়ে। তাই শারীরিকভাবে সচল থাকতে হবে। কিন্তু কীভাবে সচল থাকবেন বা কী ধরনের ব্যায়াম করবেন।

ব্যায়াম বলতে আমরা বেশির ভাগ বুঝি, নিয়মিত একটু জোরকদমে হাঁটা। কেউ কেউ যোগাসন করে। এর বাইরে কী করলে শরীরের প্রয়োজনীয় ওয়ার্কআউট হয়, তা জানতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আমেরিকান কলেজ অব স্পোর্টস মেডিসিন বলছে, ১৮ থেকে ৬৪ বছর বয়সী সুস্থ মানুষের সপ্তাহে ১৫০ মিনিট মাঝারি গতিতে বা ৭৫ মিনিট জোর গতিতে শারীরিক ব্যায়াম করা দরকার। নিয়ম করে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন করতে হবে পেশির শক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম।

শারীরিক ব্যায়াম বলতে হাঁটা, জগিং, সাইকেল চালানো, স্কিপিং, সাঁতার কাটা ইত্যাদিকে বোঝায়। তাই সময় বের করে ট্রেডমিলে বা ছাদে হাঁটুন, স্পট জগিং করুন, স্পট স্কিপিং করুন বা স্ট্যাটিক সাইকেল চালান। সাধ্যমতো জোরে হাঁটলে হার্ট ও ফুসফুসের বেশি উপকার হয়। টানা ২০-৩০ মিনিট। টানা না পারলে সকালে ২০ মিনিট ও বিকেলে ২০ মিনিট হাঁটুন। হার্ট-ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কম থাকলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যায়াম করুন। হাঁটা বা জগিংয়ের আগে ভালো মানের জুতা পরুন।


মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় কি কি?


শরীর চর্চাকে যেমন অনেকে বিশেষ ‍গুরুত্ব দেন, মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও ব্যায়ামের মত নিয়মিত কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

শরীরে অসুখ বাঁধলে যত সহজে উপসর্গ ধরা পড়ে, মনের অসুখ ততটাই আড়ালে থেকে যায়। মানসিক স্বাস্থ্যের সুস্থতা জীবন ও জীবিকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। একটি চাপহীন ও রোগহীন সুখী জীবনের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার বিকল্প নেই।

কোনো কোনো মানসিক সমস্যা জিনগত হতে পারে। আবার জীবন যাপনে চাপ, ঘুম, ব্যায়াম, পর্যাপ্ত আলো ও যত্নের অভাব থেকেও মানসিক অসুস্থতা দেখা দেয়। মানসিক ফিটনেস হল একটি মানসিক স্বাস্থ্য আন্দোলন যা বন্ধুত্ব, নিয়মিত মানুষের যোগাযোগ এবং ধ্যান, শান্ত ব্যায়াম, বায়বীয় ব্যায়াম, মননশীলতা, একটি রুটিন থাকা এবং পর্যাপ্ত ঘুম বজায় রাখার ক্রিয়াকলাপগুলির মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের মানসিক সুস্থতা নিয়ন্ত্রণ এবং বজায় রাখতে উত্সাহিত করে।


ফিট থাকার জন্য সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম কি?

ফিট থাকার জন্য কোন ব্যায়াম সবচেয়ে ভালো, তা নির্ভর করে আপনার লক্ষ্য, শারীরিক অবস্থান এবং পছন্দের উপর। তবে, কিছু ব্যায়াম আছে যা সাধারণভাবে শারীরিক ফিটনেস উন্নত করতে সহায়ক:

সর্বোপরি, একটি কার্যকর ফিটনেস পরিকল্পনা বিভিন্ন ধরনের ব্যায়ামকে অন্তর্ভুক্ত করে যা আপনার শারীরিক ক্ষমতা এবং লক্ষ্য অনুযায়ী কাস্টমাইজ করা উচিত। ব্যায়ামের রুটিন বজায় রাখার পাশাপাশি সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং পর্যাপ্ত বিশ্রামও গুরুত্বপূর্ণ।

কার্ডিওভাসকুলার ব্যায়াম:

দৌড়ানো বা হাঁটা: এই ব্যায়ামটি হৃদরোগের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং ওজন কমাতে সহায়ক।

সাইকেল চালানো: এটি পায়ের পেশী শক্তিশালী করে এবং কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য উন্নত করে।

সাঁতার: এটি সম্পূর্ণ শরীরের ব্যায়াম যা হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং যৌথগুলির উপর চাপ কমায়।


ওজন প্রশিক্ষণ:

বারবেল ও ডাম্বল: পেশী শক্তিশালী করতে এবং পেশীর আয়তন বাড়াতে কার্যকর। যেমন, স্কোয়াট, বেঞ্চ প্রেস, এবং ডেডলিফট।

রেসিস্ট্যান্স ব্যান্ড: এটি পেশী শক্তিশালী করার পাশাপাশি শরীরের ফ্লেক্সিবিলিটি উন্নত করে।


ফ্লেক্সিবিলিটি ও ভারসাম্য:

যোগব্যায়াম: এটি শরীরের ফ্লেক্সিবিলিটি, ভারসাম্য, এবং মানসিক শান্তি উন্নত করে।

পিলেটস: এটি মূল পেশী গোষ্ঠী শক্তিশালী করতে এবং শরীরের স্থিতিশীলতা উন্নত করতে সাহায্য করে।


ইন্টারভ্যাল ট্রেনিং:

HIIT (High-Intensity Interval Training): এটি উচ্চ তীব্রতার ওজন প্রশিক্ষণ এবং কার্ডিও কার্যকলাপের সংমিশ্রণ। দ্রুত শক্তি খরচের ফলে দ্রুত ক্যালোরি বার্ন হয় এবং শারীরিক ফিটনেস দ্রুত উন্নত হয়।


কোর ট্রেনিং:

প্লাঙ্ক: এটি মূল পেশী গোষ্ঠী শক্তিশালী করতে সহায়ক।

ক্রাঞ্চস এবং লেগ রেইজেস: কোর শক্তিশালী করতে সহায়ক ব্যায়াম।


সামগ্রিক শরীরের ব্যায়াম:

বডিওয়েট এক্সারসাইজ: যেমন, পুশ-আপস, পুল-আপস, এবং লাংজেস, যা সম্পূর্ণ শরীরের পেশী গোষ্ঠীকে শক্তিশালী করে।

শরীর ও মনের যত্নের জন্য কি থাকা প্রয়োজন?


যে ৫ কাজ শরীর ও মনকে সুস্থ রাখে


  1. স্বাস্থ্যকর খাবার খান সুস্বাস্থ্যের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার বিকল্প নেই। ...

  2. মানসিক চাপ নেবেন না জীবন সব সময় একইভাবে মসৃণ চলবে না। ...

  3. নিয়মিত শরীরচর্চা করুন স্বাস্থ্যকর খাবারের মতোই আরেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নিয়ম মেনে শরীরচর্চা করা। ...

  4. মন ভালো রাখুন ...

  5. প্রার্থনা করুন ...

  6. পরোপকারিতা ...

  7. এবং ভালো ঘুম

এই পদক্ষেপগুলো মেনে চললে আপনার শরীর ও মন সুস্থ ও ভালো থাকবে এবং আপনাকে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে সহায়তা করবে।


শারীরিক স্বাস্থ্য বলতে কি বুঝায়?

শারীরিক স্বাস্থ্য বলতে সাধারণভাবে সেই শারীরিক অবস্থাকে বোঝায় যেখানে একজন ব্যক্তি সম্পূর্ণ সুস্থ থাকে এবং তার শরীরের সমস্ত সিস্টেম ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করছে। এটি শুধু রোগ বা অসুস্থতার অভাবই নয়, বরং সাধারণভাবে স্বাভাবিক শারীরিক কার্যক্ষমতা, শক্তি, ও ক্ষমতার অবস্থাও অন্তর্ভুক্ত করে।

শারীরিক স্বাস্থ্য কেমন হওয়া উচিত:

  1. রোগমুক্ত অবস্থা:

    • কোনো প্রদাহ, সংক্রমণ, বা দীর্ঘস্থায়ী রোগ না থাকা।

  2. সুস্থ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ:

    • হৃদপিণ্ড, লাংস, যকৃত, কিডনি, এবং অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করছে।

  3. শক্তি ও সক্ষমতা:

    • দৈনন্দিন কাজকর্ম ও শারীরিক কার্যকলাপ নির্বিঘ্নে সম্পাদন করার ক্ষমতা।

  4. সুষম ওজন:

    • বয়স, উচ্চতা, ও শারীরিক গঠন অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা।

  5. পুষ্টির গ্রহণ:

    • সঠিক পুষ্টির অভাব বা অতিরিক্ততা না থাকা এবং একটি সুষম খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করা।

  6. স্বাভাবিক বিপাক:

    • শরীরের বিপাকীয় প্রক্রিয়া সঠিকভাবে কাজ করছে এবং খাদ্য সঠিকভাবে বিপাকিত হচ্ছে।

  7. শারীরিক কার্যক্রম:

    • পর্যাপ্ত ব্যায়াম, শরীরের কার্যক্ষমতা বজায় রাখা এবং পেশীর শক্তি ও ফ্লেক্সিবিলিটি ঠিক থাকা।

  8. উত্তম মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্যের সাথে সমন্বয়:

    • শারীরিক স্বাস্থ্য শুধুমাত্র শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে না, মানসিক এবং সামাজিক স্বাস্থ্যের সঙ্গেও সম্পর্কিত।

শারীরিক স্বাস্থ্য বজায় রাখার উপায়:

  1. নিয়মিত ব্যায়াম: কার্ডিও, শক্তি প্রশিক্ষণ, এবং ফ্লেক্সিবিলিটি ব্যায়াম।

  2. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: সুষম খাবার গ্রহণ ও জলপান।

  3. পর্যাপ্ত বিশ্রাম: পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম।

  4. স্বাস্থ্য পরীক্ষা: নিয়মিত মেডিক্যাল চেক-আপ ও স্ক্রীনিং।

  5. অ্যাডিকশন এড়ানো: ধূমপান, অতিরিক্ত মদ্যপান ও অন্যান্য নেশা থেকে বিরত থাকা।

শরীর সুস্থ রাখার খাবার তালিকা


মাছ, মাংস, ডাল, বাদাম, পাউরুটি এবং খাসির মাংসে পেয়ে এসব ভিটামিন। ভিটামিন বি বয়স্ক, শিশু এবং গর্ভবতী নারীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। আমাদের শরীরের জন্য সবচেয়ে জরুরি ভিটামিনের একটি হলো ভিটামিন সি। এটি শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তৈরি করার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।

সাধারণ টিপস:

  • চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার: কম করুন। চিনির পরিবর্তে প্রাকৃতিক মিষ্টি যেমন ফল ব্যবহার করুন।

  • চর্বি: স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাট কমিয়ে, স্বাস্থ্যকর চর্বি (জলপাই তেল, অ্যাভোকাডো) ব্যবহার করুন।

  • মশলা: আদা, রসুন, হলুদ, ও গরম মশলা খাবারে যোগ করুন যা পুষ্টির গুণাবলি বাড়াতে সাহায্য করে।

এই খাবারের তালিকা অনুসরণ করে আপনি শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে এবং একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে পারবেন।

শেষ কথা

শেষ কথা হিসেবে, শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে একটি সুষম জীবনযাপন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত ঘুম, এবং মানসিক শান্তি নিশ্চিত করা এসব বিষয় একসঙ্গে আপনার শরীর ও মনকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

নিজের যত্ন নেওয়া শুধু শারীরিক সুস্থতার জন্যই নয়, মানসিক শান্তি এবং দীর্ঘমেয়াদী সুখের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন একটু একটু করে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা, নিজেদের প্রতি সদয় থাকা, এবং সঠিক জীবনযাপন নিশ্চিত করা আপনার জীবনকে আরও সুন্দর ও সম্পূর্ণ করতে পারে।

আপনার যাত্রা সুস্থতার পথে শুভকামনা! 😊



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url