কমলা লেবুর খোসা দিয়ে রূপচর্চা - কমলা লেবুর খোসা মুখে দিলে কি হয়
ত্বক ফর্সা কিংবা উজ্জ্বল করার জন্য বাজার থেকে কেনা প্রসাধনী ব্যবহার না করে ঘরে তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই এগুলো আপনার ত্বকে নিয়ে আসবে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা। ত্বক নরম ও উজ্জ্বল করতে কমলার খোসার তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন নিয়মিত। এতে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যাসিডিক উপাদান ত্বকের কালচে দাগ দূর করে ও ত্বক রাখে উজ্জ্বল। ফেসপ্যাক তৈরি জন্য কমলার খোসা কড়া রোদে শুকিয়ে গুঁড়া করে নিন। এই গুঁড়া মুখবন্ধ বয়ামে সংরক্ষণ করতে পারবেন। জেনে নিন কীভাবে কমলার খোসার ফেসপ্যাক তৈরি ও ব্যবহার করবেন।
পোস্ট সূচিপত্র:
- কমলার খোসা দিয়ে কি ভিটামিন সি সিরাম তৈরি করা যায়?
- কমলার খোসার ত্বক ঠিক করার উপায়?
- ভিটামিন সি সিরামের পরিবর্তে কমলার রস ব্যবহার করা যাবে কি?
- কমলার খোসা দিয়ে ত্বকের যত্ন
- কমলার খোসা গুড়া করার উপায়
- কমলার খোসা চুলের যত্নে
- রোদে পোড়া সমস্যা দূর করে কমলার খোসা
- ব্রণ দূর করে কমলার খোসা
- মাথার চুলকানির জন্য কমলার খোসা ব্যবহারের উপায়?
- কমলার খোসার অপকারিতা
- কমলার খোসার উপকারিতা
- কমলার খোসার রুম ফ্রেশনার
- শেষ কথা
কমলার খোসা দিয়ে কি ভিটামিন সি সিরাম তৈরি করা যায়?
খোসা খুব শুকনো এবং খাস্তা হতে হবে । একটি মশলা বা কফি পেষকদন্ত দিয়ে একটি সূক্ষ্ম গুঁড়ো মধ্যে তাদের তৈরি. আপনি পাউডারটিকে একটি বায়ুরোধী জারে সংরক্ষণ করতে পারেন যতক্ষণ না আপনি এটি ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুত হন, অথবা একটি ব্যাচ তৈরি করতে পারেন যাতে কেবল সিরাম নয়, কমলা এবং মধু চা এক কাপ গরম জলের সাথে ব্যবহার করা যায়। প্রতিদিন রাতে ত্বক পরিষ্কার করে এই সিরাম লাগান। কিছুক্ষণ পর মুখ ধুয়ে ফেলুন অথবা সারারাত রেখে দিন, তারপর ধুয়ে ফেলুন। এই সিরামটি প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি হওয়া সত্ত্বেও, ত্বকে নতুন কিছু ব্যবহার করার আগে প্যাচ টেস্ট করা ভালো। ত্বকে কোনো অস্বস্তি বা অ্যালার্জি দেখা দিলে ব্যবহার বন্ধ করুন।
কমলার খোসার ত্বক ঠিক করার উপায়?
রেটিনল ক্রিম ব্যবহার করুন - ওভার-দ্য-কাউন্টার রেটিনল সময়ের সাথে সাথে মসৃণ ত্বকের জন্য নতুন কোলাজেন বৃদ্ধি এবং কোষের টার্নওভার বাড়ায়। কম শতাংশ দিয়ে শুরু করুন। সূর্য থেকে রক্ষা করুন - ইউভি রশ্মি বিদ্যমান কোলাজেনকে ভেঙে দেয়। প্রতিদিন সানস্ক্রিন পরুন এবং আরও ক্ষতি এড়াতে ঢেকে রাখুন। আরো দেখুন
১. কমলার খোসার প্যাক
উপকরণ:
১টি কমলার খোসা
১ চা চামচ মধু
১ চা চামচ দই
প্রস্তুত প্রণালী:
খোসা প্রস্তুত করা: কমলার খোসাগুলো শুকিয়ে পাউডার বানিয়ে নিন। আপনি চাইলে তাজা খোসা ব্যবহার করতে পারেন, তবে শুকানো পাউডার বেশি কার্যকরী।
প্যাক তৈরি করা: এক চা চামচ খোসার পাউডার, মধু এবং দই মিশিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন।
মুখে লাগানো: এই পেস্টটি মুখে লাগান এবং ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন।
ধোয়া: ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
২. কমলার খোসার স্ক্রাব
উপকরণ:
১টি কমলার খোসা
২ চা চামচ চিনি
১ চা চামচ অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল
প্রস্তুত প্রণালী:
খোসা প্রস্তুত করা: কমলার খোসাগুলো শুকিয়ে পাউডার বানিয়ে নিন।
স্ক্রাব তৈরি করা: খোসার পাউডার, চিনি এবং তেল মিশিয়ে একটি স্ক্রাব তৈরি করুন।
ব্যবহার: এই স্ক্রাবটি মুখে এবং শরীরে হালকা করে ঘষুন। ৫-১০ মিনিট পরে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৩. কমলার খোসার টোনার
উপকরণ:
১টি কমলার খোসা
১ কাপ জল
১ চা চামচ লেবুর রস (ঐচ্ছিক)
প্রস্তুত প্রণালী:
খোসা প্রস্তুত করা: কমলার খোসাগুলো ছোট টুকরো করে জল দিয়ে ফুটিয়ে নিন।
ছেঁকে ফেলা: ফুটে যাওয়া জলটি ছেঁকে নিন এবং ঠান্ডা হতে দিন।
টোনার তৈরি করা: যদি চান, আপনি এক চা চামচ লেবুর রস যোগ করতে পারেন।
ব্যবহার: একটি কটন প্যাডে নিয়ে মুখে টোনার লাগান।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:
প্যাচ টেস্ট: নতুন কোনো প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের আগে ত্বকে প্যাচ টেস্ট করা উচিত।
অ্যালার্জি: যদি ত্বকে কোনো অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তবে ব্যবহার বন্ধ করুন।
সতর্কতা: কমলার খোসার টোনার ব্যবহারের পর ত্বক সানস্ক্রিন ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ত্বককে সূর্যের UV রশ্মি থেকে বেশি সংবেদনশীল করতে পারে।
ভিটামিন সি সিরামের পরিবর্তে কমলার রস ব্যবহার করা যাবে কি?
কমলার রসে ভিটামিন সি এর প্রায় 1% ঘনত্ব রয়েছে, তাই কোনও অনুপ্রবেশ নেই । ভিটামিন ই এবং ফেরুলিক যোগ সিরামে অতিরিক্ত শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যোগ করে।
কমলার রস ত্বকের জন্য অনেক ভালো হতে পারে, কিন্তু ভিটামিন সি সিরামের সাথে এর কিছু পার্থক্য আছে। চলুন দেখি কমলার রসের সুবিধা এবং সীমাবদ্ধতা:
কমলার রসের উপকারিতা:
ভিটামিন সি: কমলার রসে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে, যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।
চকচকে ত্বক: নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক উজ্জ্বল এবং তাজা দেখতে পারে।
প্রাকৃতিক উপাদান: এটি প্রাকৃতিক এবং কোন কেমিক্যাল নেই, তাই ত্বকের জন্য সাধারণত নিরাপদ।
কমলার রসের সীমাবদ্ধতা:
প্রভাবের স্থায়িত্ব: ভিটামিন সি সিরাম সাধারণত টার্গেটেড ডেলিভারি মেথডে তৈরি হয়, যা ত্বকে দ্রুত এবং গভীরভাবে কাজ করে। কমলার রসের ক্ষেত্রে এই স্থায়িত্ব বা গভীরতা কম হতে পারে।
অ্যাসিডিটি: কমলার রসে সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে, যা কিছু মানুষের ত্বকে সংবেদনশীলতার সৃষ্টি করতে পারে। এটি ত্বকের প্রাকৃতিক ব্যারিয়ারকে প্রভাবিত করতে পারে।
ব্যবহারের উপায়: কমলার রসের ত্বক থেকে দ্রুত শুকিয়ে যেতে পারে এবং এর অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ব্যবহার করার উপায়:
প্যাচ টেস্ট: নতুন কিছু ব্যবহার করার আগে ত্বকে প্যাচ টেস্ট করা গুরুত্বপূর্ণ। এটা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে যে আপনার ত্বক এই উপাদানটির প্রতি সংবেদনশীল নয়।
ব্যবহার: একটি কটন প্যাডে কিছু কমলার রস নিন এবং মুখে লাগান। ১০-১৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ: প্রথম কয়েকবার ব্যবহার করার পর ত্বকে কোন অস্বস্তি বা অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে ব্যবহার বন্ধ করুন।
কমলার রস বনাম ভিটামিন সি সিরাম:
ভিটামিন সি সিরাম: এটি উচ্চ গুণমানের ভিটামিন সি উপাদান ব্যবহার করে তৈরি করা হয়, যা ত্বকের গভীরে প্রবাহিত হতে পারে এবং প্রায়শই দীর্ঘস্থায়ী ফলাফল প্রদান করে।
কমলার রস: এটি একটি প্রাকৃতিক উপায় যা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য সহায়ক হতে পারে, কিন্তু সম্ভবত সিরামের মত গভীর এবং টেকসই ফলাফল নাও দিতে পারে।
কমলার রস একটি ভাল প্রাকৃতিক বিকল্প হতে পারে, তবে আপনি যদি বিশেষভাবে ভিটামিন সি সিরামের ফলাফল পেতে চান, তাহলে একটি ভাল গুণমানের সিরাম ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়
কমলার খোসা দিয়ে ত্বকের যত্ন
কমলালেবুর খোসাতে থাকে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান। যা আপনার মুখে হওয়া ব্রণর বিরুদ্ধে কাজ করে মুখকে ব্রণ মুক্ত করে তোলে। একটি গোটা কমলার খোসা ১ কাপ জলে সিদ্ধ করে নিয়ে সেই জল মুখ ধোয়ার কাজে ব্যবহার করুন। ত্বককে মসৃণ, নরম করে তুলতে কমলালেবুর খোসার কোনও বিকল্প নেই
কমলার খোসা গুড়া করার উপায়
এর জন্য বেশ কয়েকটি কমলালেবুর খোসা আপনাক বাড়িতে ছাড়িয়ে নিতে হবে। এবার সেই কমলালেবুর খোসাগুলো শুকনো তাওয়ায় হালকা আঁচে নাড়িয়ে নিতে হবে। তারপর রোদে দিয়ে শুকিয়ে নিন কয়েকদিন। এবার সেই খোসা শুকনো হয়ে এলে তা আপনি গ্রাইন্ডারে গুঁড়ো করে নিন
কমলার খোসা চুলের যত্নে
আপনার হেয়ার অয়েলে কমলার রস বা কমলার খোসার গুঁড়া মিশিয়ে চুল ও স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন। চুলের বৃদ্ধি করে: কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। আর, এই সব উপাদানই চুলের বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা পালন করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের ক্ষতি আটকায় এবং চুলের বৃদ্ধি ঘটায়।
রোদে পোড়া সমস্যা দূর করে কমলার খোসা
রোদের কারণে ত্বকে সৃষ্ট ট্যানিং দূর করতে সাহায্য করে কমলার খোসা। কমলা খেলে এর খোসাগুলো সংরক্ষণ করুন। কমলার খোসা রোদে ভালো করে শুকানোর পর গুঁড়া করে নিন। এবার সেখান থেকে সামান্য গুঁড়া নিয়ে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন মিনিট দশেক। শুকিয়ে এলে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিন। নিয়মিত এভাবে ব্যবহার করলে রোদে পোড়া ভাব দূর হবে।
ব্রণ দূর করে কমলার খোসা
ব্রণ নিয়ে মুশকিলে পড়েছেন? ব্রণের সমস্যা দূর করতেও সমান কার্যকরী কমলার খোসা। কমলার খোসার গুঁড়া নিয়ে তার সঙ্গে সামান্য গোলাপজল মিশিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণটি মুখে ব্যবহার করুন। মিনিট পনেরো রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণের সমস্যা থাকলে তা খুব সহজেই দূর হবে। ত্বকের দাগ দূর করতে চাইলে কমলার খোসার গুঁড়া ও মসুর ডালের পেস্ট একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
মাথার চুলকানির জন্য কমলার খোসা ব্যবহারের উপায়?
আপনাকে যা করতে হবে তা হল কিছু কমলার খোসা নিন এবং কিছু লেবুর রসের সাথে মিশ্রিত করুন, এটি জল না হওয়া পর্যন্ত পিষে নিন। এবং তারপর এটি আপনার মাথার ত্বকে লাগান। এটি 30 মিনিটের জন্য শুকাতে দিন এবং তারপরে একটি অ্যান্টি-ড্যান্ড্রাফ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ।
কমলার খোসার অপকারিতা
কমলার খোসা সাধারণভাবে সুস্থতার জন্য উপকারী, কিন্তু কিছু পরিস্থিতিতে এটি অপকারী হতে পারে। এখানে কিছু সম্ভাব্য অপকারিতা:
অ্যালার্জি: কিছু মানুষের কমলার খোসার প্রতি অ্যালার্জি হতে পারে, যা ত্বক ফুসকুড়ি, চুলকানি বা অস্বস্তির সৃষ্টি করতে পারে।
পেটের সমস্যা: অতিরিক্ত কমলার খোসা খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে, যেমন গ্যাস্ট্রিক, গ্যাস বা পাচনতন্ত্রের অসুবিধা।
অপচয় এবং অমেধা: বাজারে বিক্রি হওয়া কমলার খোসা অনেক সময় কীটনাশক বা রাসায়নিক পদার্থে আচ্ছাদিত থাকতে পারে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
ক্ষতিকারক রাসায়নিক: কমলার খোসায় মাঝে মাঝে টারপেন বা এফিডিনের মতো রাসায়নিক থাকতে পারে যা অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
যদি আপনি কমলার খোসা ব্যবহার করেন, তবে এটি ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া উচিত এবং মৃদু পরিমাণে ব্যবহার করা উচিত। যদি কোনো অস্বস্তি অনুভব করেন, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
কমলার খোসার উপকারিতা
একটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল হিসেবে কমলা সবার কাছে সুপরিচিত তবে খুব কম মানুষই এ বিষয়ে সচেতন যে, ভেতরের নরম শাঁসটির পাশাপাশি খোসাও ভিটামিন সির একটি চমৎকার উৎস। পলিফেনল নামের একপ্রকার উদ্ভিজ্জ উপাদানসমৃদ্ধ কমলার খোসা ডায়াবেটিস ও স্থূলতার মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগ মোকাবেলা এবং সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য উপকারী। একটি গবেষণা থেকে জানা যায়, খোসায় পলিফেনলের উপস্থিতি এতো বেশি, এর পরিমাণ মূল ফলটির চেয়ে অনেক বেশি। খোসার মধ্যে যে এসেনশিয়াল অয়েল আছে, তা লাইমোনেন দ্বারা সমৃদ্ধ এবং এটি চামড়ার ক্যান্সার মোকাবেলায় সহায়তা করে। সুস্বাদু ফলটির খোসায় অত্যন্ত উচ্চমানের আঁশ আছে, যা পরিপাক ক্রিয়া সঠিকভাবে বাড়াতে সহায়তা করে।
কমলার খোসার রুম ফ্রেশনার
উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমলার খোসা ফুটন্ত পানিতে সেদ্ধ করুন এবং এর সাথে কিছু সুগন্ধি মসলা মিশিয়ে নিন। আপনার রান্নাঘরে যদি ভ্যানিলা থাকে, তাহলে এর চেয়ে ভালো আর কিছুই হতে পারে না। মিশ্রণটিকে কিছুক্ষণ রাখুন এবং ভালোভাবে মেশান। তাড়াতাড়িই আপনার রান্নাঘরে সেদ্ধ করা মিশ্রণটি ঘরময় ছড়িয়ে পড়বে এবং সারা ঘরকে সুগন্ধ দিয়ে তরতাজা করে তুলবে। একই ধরনের ফলাফল চাইলে কেউ কিচেনের স্টোভে কিছু শুকনো কমলার খোসা পুড়িয়ে দেখতে পারেন।
শেষ কথা
কমলার খোসা সাধারণভাবে নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর হতে পারে যদি আপনি এটি সঠিকভাবে ব্যবহার করেন। তবে, অ্যালার্জি, অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া, এবং রাসায়নিকের উপস্থিতির মতো কিছু বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন। কোনো সমস্যা হলে বা অস্বস্তি অনুভব করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সবসময় সতর্কতা অবলম্বন করে এবং ভারসাম্যপূর্ণভাবে খোসার ব্যবহার করলে এটি আপনার খাদ্যাভ্যাসে ভালোভাবে উপকারী হতে পারে।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url