কি করে ব্লগিং শুরু করবো ব্লগিং করার উপায়
২০২৪ সালে যে কেউই একটি ব্লগ শুরু করতে পারে এবং ব্লগ থেকে প্রতি মাসে 1000-3000 ইউএস ডলার আয় করতে পারে। এখানে সব কিছু শেয়ার করা হলো কিভাবে আপনি একদম 0 (শুন্য) থেকে শুরু করে একটি সফল ব্লগ তৈরি করবেন। আপনি ব্লগিং নিয়ে খুব আগ্রহী কিন্ত কিভাবে ব্লগিং শুরু করবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না। এই গাইড থেকে আপনি সব কিছু জানতে পারবেন। একদম ছোটখাট প্রত্যেকটি বিষয় কভার করা হয়েছে।
ব্লগ কি?
সাধারণ ভাবে ব্লগ হচ্ছে একটি ওয়েবসাইট যেখানে কোন টপিকে বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করা হয়। যারা ব্লগের মাধ্যমে বিভিন্ন Topic নিয়ে লেখালেখি করে, তারা ব্লগার।
আমার এই ওয়েবসাইটটিও একটি ব্লগ। এখানে আমি ব্লগিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে লেখালেখি করি।
তবে একটি ব্লগ ও ওয়েবসাইটের মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে। ব্লগের ধরণ ও উদ্দেশ্য অনুসারে ব্লগ বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে।
ব্লগিং শুরু করার আগে অবশ্যই আপনাকে এসব বিষয়ে পরিস্কার ধারণা রাখতে হবে। তাই অবশ্যই পড়ুন- ব্লগ কি।
ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায়
মানুষ প্রতিনিয়ত Google Search এ অনেক সমস্যা নিয়ে সার্চ করছে। আপনার ব্লগে যখন ওই সমস্যাগুলোর সমাধান দিবেন বা বিভিন্ন বিষয়ে উপকারী তথ্য দিবেন, মানুষ আপনার ব্লগে এসব লেখা/কনটেন্ট পড়তে আসবে।
যখন আপনার ব্লগ সাইটে অনেক ভিজিটর আসবে, আপনি আপনার সাইটে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে বা কোন Product Promotion করে অনেক আয় করতে পারবেন।
আবার প্রশ্ন হতে পারে, ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়?
ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়
ব্লগিং এমন একটি কাজ যার মাধ্যমে ছোটখাট কোন আয় নয় বরং যেকোন চাকরীর চেয়ে ভালভাবে আপনার জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন।
অন্য পেশাজীবি যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা অন্য উচ্চপদস্থ কোন চাকরিজীবি যেমন আয় করে তেমন আয় কি করা সম্ভব? উত্তর অবশ্যই সম্ভব। বরং তার চেয়ে অনেকগুন বেশি আয় করা সম্ভব।
অন্য কোন উদাহরণ দেয়ার চেয়ে আমি নিজের উদাহরণই দিতে বেশি পছন্দ করব। আমার ২০২১ সালে চালু করা একটি ছোট ব্লগ eservicesbd.com থেকে প্রতি মাসে 1500+ USD আয় হয়। আর মাত্র ১ বছরের ব্যবধানেই এই পরিমাণ আয় করা সম্ভব।
কিভাবে ব্লগিং শুরু করবো
ব্লগিং শুরু করার জন্য প্রথমে ব্লগের একটি বিষয় বা Niche নির্ধারণ করতে হবে। তারপর ব্লগের নাম অনুসারে একটি নাম বাছাই করে একটি ডোমেইন নেইম রেজিস্ট্রেশন করুন। WordPress বা Blogger প্ল্যাটফর্মে একটি ব্লগ সেটআপ করুন। ব্লগ ওয়েবসাইটি কাস্টমাইজ এবং Search Engine এর জন্য অপটিমাইজ করার পর ব্লগে লেখা শুরু করতে পারবেন।
একদম শুন্য থেকে ব্লগিং শুরু করতে আপনাকে যেসব ধাপ অনুসরণ করতে হবে সবগুলো নিচে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা হলো। একটি ব্লগ শুরু করার জন্য সবার আগে আপনার ব্লগিং করার উদ্দেশ্য আপনার কাছে পরিস্কার হতে হবে।
ব্লগিং শুরু করতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন,
ব্লগের টপিক নির্ধারণ
ব্লগের নাম বাছাই
ডোমেইন নেইম বাছাই
ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম নির্ধারণ
ব্লগ সাইট তৈরি ও কাস্টমাইজ করুন
ব্লগের SEO সেটআপ
ব্লগে পোস্ট লিখুন
Google Adsense/ Affiliate মার্কেটিং করে আয় করুন
ব্লগিংয়ের বিষয়/টপিক বা নিশ বাছাই করুন
ব্লগিং করতে হলে আপনাকে কোন না কোন একটি টপিক/আইডিয়া নিয়েই করতে হবে। একটি ব্লগে আপনি চাইলেই যে কোন কয়েকটি টপিক নিয়ে কাজ করতে পারবেন না।
যেমন একটি Cooking ব্লগ চাইলেই Fashion নিয়ে লিখতে পারবেনা। এটা করলে ব্লগের Trust বা Authority বলে কিছু থাকবে না।
ব্লগিং শুরু করতে গেলে আপনার খুব বেশি আইডিয়া/ জ্ঞান প্রয়োজন নেই। যে কোন একটি ছোট Topic নিয়েই আপনি কাজ শুরু করতে পারবেন।
ব্লগিং করার জন্য কোন টপিক/আইডিয়া বাছাই করতে আপনি নিজেকে ২ টি প্রশ্ন করুন।
আপনি কি Topic টি সম্পর্কে শিখতে বা জানতে পছন্দ করেন?
কোন বিষয়ে লেখালেখি করতে হলে আপনাকে সেই বিষয়ে এক্সপার্ট লেভেলের নলেজ থাকতে হবে তা কিন্তু নয়। তবে আপনার সেই বিষয়ের প্রতি অনেক আগ্রহ আর ঝোঁক থাকতে হবে। তাহলে আপনি তা সম্পর্কে শিখতে ভাল লাগবে অন্যকে জানাতে ভাল লাগবে।
তাই এমন একটি টপিক বের করুন যেটি সম্পর্কে কিছুটা জানেন এবং এই সম্পর্কে নতুন কিছু জানতে আপনার অনেক আগ্রহ আছে।
Topic টি নিয়ে অন্য মানুষের আগ্রহ কেমন?
আপনি যে টপিক নিয়ে ব্লগ শুরু করতে চান, সেই টপিক নিয়ে মানুষের যদি কোন আগ্রহ না থাকে আপনি কোন ভিজিটরই পাবেন না। আপনার ব্লগি করার কোন মানেই হয় না।
তাই এমন আইডিয়া/ টপিক বাছাই করুন যেটা নিয়ে মানুষ গুগলে সার্চ করছে। যেটা নিয়ে মানুষেরও জানার অনেক আগ্রহ আছে।
এমন কোন টপিক হলেই আপনি ব্লগে অনেক ভিজিটর পাবেন।
কিভাবে ব্লগিং নিশ বা টপিক বাছাই করবেন
ব্লগিংয়ের টপিক বাছাই করতে হলে প্রথমেই ৪ টি বিষয় আপনার মাথায় রাখতে হবে। তা হলো,
Knowledge
Interest
High Search and Low Competition
Keyword Value
Knowledge
আপনি কোন বিষয়ে ব্লগিং শুরু করলেন, সেই বিষয়ে যদি আপনার পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকে আপনি খুব বেশি হলে ১০/১২ টি পোষ্ট লিখে আর লিখতে পারবেন না। তাই, ব্লগিংয়ের বিষয় ঠিক করার সময় সবার আগে আপনার মাথায় রাখতে হবে এই বিষয়ে আপনার বিশেষ জ্ঞান আছে কিনা।
Interest
এর পর যা খেয়াল করতে হবে তা হলো ঐ বিষয়ে আপনার আগ্রহ বা পছন্দ কেমন। যে জিনিস আপনি মন থেকে পছন্দ করেন না, তা নিয়ে কখনোই আপনি ভাল করতে পারবেন না। যে কোন কিছুতেই আমরা ভাল করতে হলে আমাদের সেই বিষয়ের প্রতি আগ্রহ ও আবেগ থাকতে হবে।
তাই ব্লগিংয়ের নিশ বা টপিক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে খুজে দেখুন কোন বিষয়ের প্রতি আপনার খুব আগ্রহ ও আবেগ রয়েছে।
অন্য যে কোন কাজ থেকে ব্লগিংয়ে অনেক বেশি সময়, মেধা ও শ্রম দিতে হয়। যদি আপনার আগ্রহই না থাকে আপনি কিভাবে সময়, মেধা ও শ্রম দিবেন।
Keyword Value
যদি ব্লগিং করে আপনার আয় করার ইচ্ছা থাকে, তাহলে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আপনি যে টপিক নিয়ে ব্লগিং করতে যাচ্ছেন তার মার্কেট ভ্যালু কতটুকু। যদি কোন বিষয়ের ভ্যালুই না থাকে সেটা নিয়ে ব্লগিং করতে পারেন কিন্তু আপনি ভাল আয় করতে পারবেন না।
খেয়াল করে দেখুন আমার এই ব্লগটি হচ্ছে ২ টি টপিক নিয়ে- 1) Blogging 2) Digital Marketing.
Blogging শব্দটির সার্চের পরিমান ও ভ্যালু দেখুন
এখানে খেয়াল করে দেখুন, Blogging শব্দটি প্রতি মাসে প্রায় ২৪৬০০০ বার সার্চ করা হয় এবং গুগলের বিজ্ঞাপনে এই শব্দের প্রতি ক্লিকে ব্যয় (Cost Per Click) ৪.৩৬ ইউএস ডলার।
অর্থাৎ, আপনি যদি গুগল এ্যাডসেন্সের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে আয় করতে চান, এই Blogging শব্দটি দিয়ে সার্চ করা কোন ভিজিটরের প্রতিটি এড ক্লিকের জন্য আপনি 4.36 USD এর 68% আয় করতে পারবেন।
তাহলে অনুমান করতে পারছেন, এই টপিক নিয়ে মানুষ কেমন আগ্রহী এবং কেমন আয় করা সম্ভব। তাই, আপনার ব্লগিং নিশ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সেই কিওয়ার্ডের সার্চের পরিমাণ ও ভ্যালু যাচাই করুন।
Digital Marketing শব্দটির সার্চের পরিমান ও ভ্যালু দেখুন
এবার খেয়াল করে দেখুন, Digital Marketing শব্দটি প্রতি মাসে প্রায় 60500 বার সার্চ করা হয় এবং গুগলের বিজ্ঞাপনে এই শব্দের প্রতি ক্লিকে ব্যয় (Cost Per Click) 17.92 ইউএস ডলার। এই বিষয় নিয়েও মানুষ প্রতিনিয়ত অনেক সার্চ করছে এবং এর বিজ্ঞাপন ভ্যালু ও অনেক বেশি।
সহজেই, আপনি কিওয়ার্ডের সার্চের পরিমান, কম্পিটিশন ও ভ্যালু জানতে পারবেন। এই জন্য Neilpatel এর জনপ্রিয় কিওয়ার্ড টুল Ubersuggest Addon টি আপনার ক্রোম বাউজারে ইনস্টল করে নিন।
High Search and Low Competition
সবশেষে আপনার খেয়াল রাখতে হবে, Low Competition. আপনার বাছাইকরা টপিক নিয়ে হয়তো ইতোমধ্যে অনেকেই ব্লগিং করছে। একই টপিক নিয়ে যদি খুব বেশি পরিমাণ ব্লগ/ওয়েবসাইট কম্পিটিশন করে, সেই টপিক নিয়ে আপনার কাজ করা মোটেও সহজ হবেনা। আপনি খুব সহজে প্রতিষ্ঠিত ব্লগ/ওয়েবসাইটগুলোর সাথে প্রতিযোগিতায় পেরে উঠবেন না।
তাই, আপনাকে এমন একটি বিষয় বাছাই করতে হবে যে বিষয়ের সার্চ বেশি কিন্তু প্রতিযোগিতা কম। অর্থাৎ High Search and Low Competition. কিভাবে High Search and Low Competition Keyword খুঁজে বের করবেন তা নিয়ে আমার আলাদা একটি পোষ্ট আছে। পড়তে পারেন- কিভাবে বিনামূল্যে কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন
ব্লগের নাম বাছাই
যেকোন ব্লগ বা ওয়েবসাইটের একটি নাম প্রয়োজন হয়। একটি নাম হচ্ছে একটি ব্র্যান্ড। আপনার ব্লগের টপিক বা কিওয়ার্ড অনুসারে একটি নাম হলে খুব ভাল হয়।
মনে রাখবেন ব্লগিং বা যে কোন ব্যবসায়ে সফল হতে হলে অবশ্যই আপনার ব্র্যান্ড পরিচিতি ও অথরিটি তৈরি করতে হবে।
আপনার এমন নাম বাছাই করতে হবে যা সহজেই মানুষের কাছে পরিচিতি করানো সম্ভব। তাই নাম বাছাইয়ে আপনাকে কিছুটা চিন্তা ও মেধা খাটাতে হবে।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট বা ব্লগ নিজ নাম দিয়েও খুলতে পারেন। আপনার ব্লগ ও আপনার ব্যক্তিগত নামে তৈরি করতে পারেন।
এছাড়া, আপনার ব্লগের টপিক অনুসারেও একটি নাম দিতে পারেন। কয়েকটি ওয়েবসাইটের নাম যেমন, My Blogger Tricks, Shout Me Loud, 10 Minute School, BDclass ইত্যাদি।
কিভাবে আপনি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের নাম বাছাই করবেন?
প্রথমেই কিছু নামের আইডিয়া নিন বা আপনার বন্ধু বান্ধবদের সাথে আপনার ব্লগিংয়ের বিষয়টি শেয়ার করুন। তাদের বলুন সেই টপিক অনুসারে কোন নাম আপনার জন্য সাজেস্ট করতে। অনেকজনের মাথায় অনেক আইডিয়া আসতে পারে। সবগুলো নোট করুন।
আপনি, সহজেই ওয়েবসাইটের বিভিন্ন নামের আইডিয়া পেতে পারেন Lean Domain Search থেকে
ব্লগ বা ওয়েবসাইটের নাম বাছাই করতে, অবশ্যই নিচের বিষয়গুলো খেয়াল করবেন।
Short Domain Name – আপনার ওয়েবসাইটের নামটি যেন ছোট ও ইউনিক হয়। ছোট নামের সুবিধা হচ্ছে, এটি মানুষ সহজে মনে রাখতে পারবে ও টাইপ করে আপনার সাইট ভিজিট করতে সমস্যা হবেনা।
Keyword Based – আপনার ব্লগের প্রধান কিওয়ার্ডটি ওয়েবসাইটের নামের মধ্যে রাখার চেষ্টা করবেন। ধরুন আপনি বেবি ফুড বা ড্রেস নিয়ে ব্লগ তৈরি করছেন, তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের নামে baby শব্দটি অবশ্যই ব্যবহার করবেন। আপনার ব্লগ যদি Cooking নিয়ে হয়, আপনি Cooking শব্দটি আপনার ডোমেইন নামের মধ্যে রাখবেন। এতে খুব সহজেই আপনার ব্লগ র্যাংক করতে পারবে।
Top Level Domain– ব্লগের নাম অনুসারে একটি টপ লেভেল ডোমেইন কিনবেন। সবচেয়ে ভাল হয়- .com বা .info ডোমেইন। কোন ফ্রি বা সাব ডোমেইন ব্যবহার করতে যাবেন না। এগুলোর অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
Avoid Numbers– আপনার ব্লগের নামের মধ্যে সংখ্যা যেমন, 24/ 360 এমন সংখ্যা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। সংখ্যা আপনার ডোমেইন নেইমকে কিছুটা কঠিন করে দেয়।
নাম বাছাই হলে, এবার একটি ডোমেইন রেজিষ্টার করতে হবে। যদি আপনার ইউএসডি বা ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট করার মত ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড থাকে, যে কোন পপুলার রেজিষ্ট্রার থেকে আপনার ডোমেইন কিনতে পারেন।
পপুলার ইন্টারন্যাশনাল ডোমেইন রেজিষ্ট্রারগুলো হচ্ছে:
Godaddy
Namecheap
আপনি বাংলাদেশেই অনেক ভাল ডোমেইন রিসেলার আছে, তাদের থেকেও ডোমেইনটি কিনতে পারেন। আপনি যেখান থেকেই ডোমেইন কিনেন, সুযোগ সুবিধা প্রায় সমান।
আপনি বাংলাদেশ থেকে হলে, খুবই কম মূল্যে ডোমেইন কিনতে পারেন Putul Host থেকে। ডোমেইন রেজিষ্ট্রেশন সংক্রান্ত কোন সাহায্য প্রয়োজন হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন- odinaryit
ধাপ ৩- ডোমেইন নেইম বাছাই করুন
ওয়েবসাইটের শেষে। dot (.) এর পর যে অংশটি থাকে তাই ডোমেইন। যেমন – .com, .net, org, info, online, এগুলো প্রত্যেকটাই এক একটি ডোমেইন। যেমন- আমার এই ওয়েবসাইটের abdulahwal.com এর ডোমেইন হলো .com।
আপনি কোনটি নিবেন? ওয়েবসাইটের ধরণ অনুসারে বিভিন্ন ধরণের ডোমেইন রয়েছে। সাধারণত, বানিজ্যিক (Commercial) সাইটের জন্য .com, নেটওয়ার্কিং (Networking) সাইটের জন্য .net, সংগঠন (Organization) সাইটের জন্য .org, নিউজ ও ইনফরমেশনাল সাইটের জন্য রয়েছে .news ও .info ইত্যাদি। এভাবে কার্যক্রম ও ধরণ অনুসারে বিভিন্ন ডোমেইন রয়েছে।
তবে এদের মধ্যে বেশি পছন্দনীয় ও টপ লেভেলের ডোমেইন হচ্ছে, .com, .net, .info ও .org।
আপনি ডোমেইন কেনার পূর্বে আপনার ব্লগের টপিক অনুসারে ব্লগ ওয়েবসাইটের একটি নাম ঠিক করতে হবে। নাম ঠিক করার পরই সেই নাম দিয়ে একটি ডোমেইন রেজিষ্টার করতে হবে।
ব্লগিং করতে ডিভাইস সংক্রান্ত তথ্য
এটা অনেক গুরুত্ব পূর্ণ একটি বিষয়। আপনি একটি ভালো ডিভাইস ব্যবহার করলে আপনার কাজের সময় কম লাগবে, কাজে স্পৃহা থাকবে।
ধরেন, আপনি চাচ্ছেন মোবাইল থেকে ব্লগিং করবেন। হ্যাঁ সম্ভব। অনেকেও করছে বহুদিন ধরে। কিন্তু এটা অনেক কষ্টসাধ্য এবং প্যারাদায়ক।
কারণ, আপনি যদি ১ থেকে ২ হাজার শব্দের একটি ব্লগ লিখতে চান, সেটি কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপে লিখতে আপনার ২ থেকে ৩ ঘণ্টা সময় রাখতে পারে।
অন্যদিকে ওই ব্লগ মোবাইল দিয়ে লেখার জন্য আপনাকে খরচ করতে হবে ২ দিন বা তারও বেশী।
এছাড়া কিওয়ারদ রিসার্চ, ফটোশপ থেকে আরও কিছু টুলস এবং রিসার্চ করার জন্য কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ দরকার।
তবে, প্রাথমিক অবস্থায় আপনি ৫ থেকে ৮ হাজার টাকায় একটি কম্পিউটার কিনে নিলে তাতেই সুন্দর ভাবে ব্লগিং করতে পারবেন।
একই সাথে ভালো স্পিডের ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবেহ। থাকতে হবে কাজ করার একটি ভালো পরিবেশ।
কারণ, আপনি যদি চান জোড় করে অসাস্থকর পরিবেশে দীর্ঘক্ষণ কাজ করতে তাও একটা সময় আপনার কাজের বাধা হয়ে দারাবে।
ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম বাছাই করুন
আপনার ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষনের জন্য একটি সিস্টেম ব্যবহার করতে হবে এটাই হচ্ছে ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম। সবচেয়ে জনপ্রিয় ২টি ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress) ও ব্লগার (Blogger)।
এর মধ্যে ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress) ব্যবহারের জন্য আপনাকে ব্যয় করতে হবে কিন্তু (Blogger) গুগলের একটি সম্পূর্ণ ফ্রি সার্ভিস। এই ২টি নিয়ে একটু বিস্তারিত আলোচনা করছি।
ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress)
সারা পৃথিবীতে জব বড় বড় ব্লগাররা, ব্লগিং ওয়েবসাইটের জন্য ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে থাকে। অন্য যে কোন ব্লগিং প্ল্যাটফর্মের চেয়ে ওয়ার্ডপ্রেসের অনেকগুলো বাড়তি সুবিধা থাকার কারণে সবাই ওয়ার্ডপ্রেস পছন্দ করে।
যদিও ওয়ার্ডপ্রেস সফটওয়্যারটি সম্পূর্ণ ফ্রি, এটি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে ওয়েব সার্ভার বা ওয়েব হোস্টিং ক্রয় করতে হবে। এজন্য আপনাকে সামান্য ব্যয় করতে হবে। ওয়েব সার্ভারে ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করেই আপনি আপনার ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।
WordPress দিয়ে সাইট তৈরি করার জন্য কম খরচে সেরা হোস্টিং হচ্ছে Hostinger। এছাড়া Hostinger এ এখন চলছে Hostinger Black Friday Offer আমাদের Hostinger প্রোমোশন লিংক থেকে অর্ডার করলে পাবেন আরও ২০% ডিসকাউন্ট।
হোস্টিং কেনার জন্য International Card না থাকলে, আমাদের সহযোগিতা নিতে পারেন। বাড়তি কোন ফি ছাড়াই, হোস্টিং কিনে দিবো আপনাকে।
ওয়ার্ডপ্রেসে আপনি যে সুবিধাগুলো পাবেনঃ
আপনার নিজস্ব সার্ভারে ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করে ওয়েবসাইট তৈরি করা হয় বলে, সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
আপনার পছন্দমত ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পরিবর্তন, কাস্টমাইজেশন করার জন্য আপনার সম্পূর্ণ সুযোগ রয়েছে।
ওয়ার্ডপ্রেস অনেক জনপ্রিয় হওয়ায়, ডেভেলপাররা বিভিন্ন থিম ও প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট করার কাজে লেগে থাকেন। যার ফলে নতুন নতুন ফিচার ও সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়।
ওয়ার্ডপ্রেসে বিভিন্ন ফিচার, সুযোগ সুবিধা যোগ করার জন্য রয়েছে ৫০ হাজারেরও বেশি ফ্রি প্লাগিন।
অসংখ্য ফ্রি ও পেইড প্রফেশনাল থিম পাওয়া যায়। ফলে আপনি নিজেই কোন ডেভলপার ছাড়া এসব থিম ইন্সটল করে একটি প্রফেশনাল মানের ব্লগ তৈরি করে ফেলতে পারেন।
কাস্টম ইউআরএল (URL) স্টাইল- ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে URL আপনার ইচ্ছামত সেট করতে পারবেন। যেটা ব্লগারে করা যায় না।
ব্লগার (Blogger)
ব্লগার হচ্ছে গুগলের সম্পূর্ণ ফ্রি ব্লগিং সেবা। এখানে আপনাকে কোন প্রকার খরচ করতে হবেনা। আপনার কোন প্রকার ওয়েবসার্ভার নিয়ে চিন্তা করতে হবেনা। শুধুমাত্র একটি ডোমেইন কিনেই আপনি আপনার ব্লগ চালু করতে পারেন।
যারা কম্পিউটার বা ওয়েব সম্পর্কে খুব বেশি জ্ঞান নেই এবং ব্লগিংয়ে আপনার আরো দক্ষতা বাড়ানোর জন্য চান, তাদের জন্য সবচেয়ে উত্তম হলো ফ্রি ব্লগার। কারণ আপনি ব্লগার এ কোনরকম টেকনিক্যাল জ্ঞান ছাড়াই একটি ব্লগ বানাতে পারবেন।
যেহেতু আপনি একদম নতুন এবং আপনার এই বিষয়ে টেকনিক্যাল জ্ঞান নেই, আপনার এই মুহুর্তে হোস্টিং, থিম ও ডেভেলপারের জন্য টাকা ইনভেস্ট করা উচিত হবেনা। আপনার জন্য ব্লগার (Blogger) ই বেস্ট।
পরে আপনি চাইলে আপনার Blogger ব্লগ কে WordPress এ মাইগ্রেট করে নিয়ে আসতে পারবেন।
ব্লগারের কিছু সুবিধাঃ
সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার
গুগলের ফ্রি সেবা তাই শুধুমাত্র আপনার জিমেইল একাউন্ট দিয়েই এই সেবা নিতে পারবেন
টেকনিক্যাল জ্ঞান ছাড়াই এটি ব্যবহার করতে পারবেন।
বিস্বস্ত, নিরাপদ ও হ্যাকিং হবার কোন সম্ভাবনাই নেই
সম্পূর্ণ ক্লাউড সার্ভার হওয়ায়, আপনার ওয়েবসাইট অনেক দ্রুতগতির হবে।
আপনি যদি ব্লগিং নিয়ে আয় করার জন্য দৃঢ়সংকল্প হন এবং সামান্য কিছু টাকাও ব্যয় করার ইচ্ছা ও সামর্থ্য থাকে, আমি বলব আপনি ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress) দিয়ে শুরু করুন। এর ফলে আপনার অনেক কিছু সহজ হয়ে যাবে এবং আপনি অনেকটা তাড়াতাড়ি আপনার সফলতা দেখতে পাবেন।
ওয়ার্ডপ্রেস বা ব্লগার যা দিয়েই আপনি সাইট তৈরি করেন না কেন, গুগল সার্চে র্যাংকিংয়ে এটা খুব একটা প্রভাব ফেলবেনা। তবে ওয়ার্ডপ্রেসে এসইও করা সহজ।
ব্লগ সাইট খোলার নিয়ম
আপনি ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress) বা ব্লগার (Blogger) যে কোন একটি প্ল্যাটফর্ম দিয়ে আপনার ব্লগ সাইট তৈরি করতে পারেন।
একজন প্রফেশনাল ব্লগার হিসেবে বলব, যদি ব্লগিং করে ভাল আয় করতে চান, ব্লগকে অনেক দুর নিয়ে যেতে চান বা ব্লগ নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা থাকে, অবশ্যই WordPress দিয়েই শুরু করুন।
কিভাবে আপনার ব্লগ সাইট নিজেই তৈরি করবেন তা নিয়ে নিচে বিস্তারিত বলছি।
ওয়ার্ডপ্রেস – WordPress দিয়ে কিভাবে ব্লগ তৈরি করবেন
আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে আপনার ব্লগ তৈরি করেন, ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টলের জন্য আপনাকে ওয়েব সার্ভার বা হোস্টিং কিনতে হবে। সার্ভার বলতে সার্বক্ষণিক অনলাইনে থাকা একটি কম্পিউটার ও স্টোরেজ যেখানে আপনার ওয়েবসাইটটি রাখা হবে। পৃথিবীর যে কোন দেশ থেকে ভিজিটররা ইন্টানেটের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ দেখতে পারবে।
যত ভাল মানের হোস্টি আপনি নিবেন, তত ভাল পারফর্মেন্স আপনার ওয়েবসাইট দিতে পারবে। তাই মোটামুটি একটি ভাল হোস্টিং নেয়া জরুরী। বিভিন্ন ধরণের হোস্টিং
ব্লগার-Blogger থেকে কিভাবে একটি ব্লগ তৈরি করবেন
ব্লগার এ ব্লগ তৈরি করতে কোন ওয়েব সার্ভার প্রয়োজন হয় না। আপনার ওয়েবসাইট গুগলের নিজস্ব সার্ভারে থাকবে। এখানে আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্লগ তৈরি করতে পারবেন।
ব্লগারের সবচেয়ে ভাল সুবিধা হচ্ছে, এটি বিনামূল্যে এবং হোস্টিংয়ের জন্য কোন পেমেন্ট করতে হয়না। একটি ব্লগ তৈরি করতে শুধুমাত্র কয়েক মিনিট প্রয়োজন।
আপনার ডোমেইনটি ক্রয় করেই কয়েক মিনিটের মধ্যে আপনি নিজেই আপনার ব্লগ তৈরি করে ফেলতে পারবেন।
ব্লগের এসইও (SEO) সেটআপ করুন
অনেক ভাল কনটেন্ট লিখলেন কিন্তু কোন ভিজিটর/ পাঠক নাই, কেমন হবে? কোথা থেকে আসবে আপনার ভিজিটর?
আপনি যখন কোন কিছু খোজেন কি করেন? গুগলে সার্চ করেন। আর সার্চ পৃষ্ঠায় দেখানো, ওয়েবসাইটগুলো আপনি ভিজিট করে আপনার তথ্য খুঁজে নেন।
এভাবে, আপনার ব্লগকে গুগলের বা অন্য সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্টের একদম প্রথম পাতায় আনতে হবে। এজন্য আপনাকে যা যা করতে হবে এ সকল কাজের সমষ্টি হচ্ছে Search Enging Optimization (SEO)। সঠিক SEO Techniques ব্যবহার করে Google, Bing সহ অন্যান্য Search Engines থেকে প্রচুর Organic Traffic/ Visitors পাবেন।
ব্লগিংয়ে খুব ভাল পরিমান আয় করতে হলে আপনাকে অবশ্যই মোটামুটি এসইও (SEO) জানতেই হবে। কোন চিন্তা নয় এসবের জন্য আমি তো আছি। আপাতত আপনাকে মৌলিক ধারণা দেই।
SEO প্রধানত দু ধরণের-
On Page SEO
Off Page SEO
অন পেজ এসইও কি – On Page SEO
ব্লগের ভেতরে, ওয়েব সাইটের গঠন ও আপনার আর্টিকেলের মধ্যে যে এসইও কাজগুলো করেন, যেমন- Title, Description, Heading, Keyword, Image Optimization ইত্যাদি। নিচে এগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম।
Page Title
ওয়েবসাইটের প্রত্যেকটি পেইজের একটি নাম বা Title থাকে। আপনার পেইজের টাইটেলগুলো এমন হতে হবে যেন সহজেই সার্চ ইঞ্জিনে সবার উপরে Rank করে এবং ভিজিটরকে আকৃষ্ট করে।
Description
ব্লগের প্রতিটি Page এবং Post এর একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা Description দিতে হয় যেটি গুগল সার্চে Snippet হিসেবে দেখানো হয়। এটিকে SEO এর ভাষায় Meta Description বলা হয়।
Headings
ব্লগ পোস্টের লেখাগুলো বিভিন্ন Subheadings এর মাধ্যমে সাজাতে (Organize) হবে। ভিজিটর কিন্তু আপনার ২০০০ হাজার শব্দের লেখা পুরোটা পড়বে না। তাই পুরো কনটেন্টটি Subheadings অর্গানাইজ করা থাকলে, ভিজিটর তার প্রয়োজন মত অংশটি পড়তে পারবেন।
Subheadings গুলোতে অবশ্যই আপনার ব্লগ পোস্টের Main Keyword এর Long Tail ও Relevant Keyword দিয়ে করা উচিত।
HTML এ Heading মোট ৬ টি আছে, H1, H2, H3,…… H6 ।
ব্লগ পোস্টের Main Title টি Heading 1 হয়ে থাকে এবং একটি পেইজে শুধু একবার ই Heading 1 (H1) ব্যবহার করতে হবে। একাধিক H1 Tag আপনার ব্লগ পোস্টের Readability/ Quality/ Ranking নস্ট করবে।
Heading 1 এর মধ্যে যেসব Headings গুলো দিবেন এগুলো Heading 2 হবে। আবার একটি Heading 2 এর মধ্যে যে Headings দিবেন এগুলো Heading 3 হবে। এভাবে মোট Heading 6 পর্যন্ত দেয়া যা।
Heading দেয়ার ক্ষেত্রে কখনোই এলোমেলো হেডিং ব্যবহার করা যাবে না। যেমন, Heading 2 এর মধ্যে, H3 না দিয়ে H4/H5 দেয়া। আবার একই পেইজে একাধিক H1 ব্যবহার করা।
Keyword
যেসব কিওয়ার্ডের জন্য আপনার ব্লগ/ ব্লগ পোস্ট Search Engine এ Rank করাতে চান, সবগুলো কিওয়ার্ডই আপনার Page/Post এ দিতে হবে।
Keyword Research এর জন্য অনেকেই Paid Keyword Tool ব্যবহার করে। কিন্তু আমি আপনাকে Free Keyword Tool ব্যবহার করতে বলব। মনে রাখবেন, Google এ সার্চ করা কিওয়ার্ড গুলো Google এর কাছেই আছে। আর Google আপনাকে এসব Free দিচ্ছে।
আমি এই ব্লগেই শেখাবো কিভাবে বিনামূল্যে কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন।
Image Optimization
On page SEO তে একটি গুরুত্বপূণ অংশ হলে Image Optimization। Image optimization এর ২টি অংশ আছে Image Size Optimization ও Image Alt Tag ব্যবহার।
ব্লগে ব্যবহার করা কনটেন্টের মধ্যে সবচেয়ে Heavy হচ্ছে Image। ইমেজের সাইজ বেশি হলে, আপনার সাইট অনেক হেভি হয়ে যাবে এবং সাইট লোড হতে সময় বেশি নিবে।
আর সাইট লোড হতে টাইম বেশি নেয়া মানে আপনার সব কস্ট বৃথা। তাই Image Size প্রয়োজন মত Optimize করে ব্যবহার করতে হবে।
Image Alt Tag হচ্ছে image সম্পর্কে Information যেটা Google Search Crawler কে ছবিটি কি তা বুঝতে সহায়তা করে। Search Ranking এর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি Factor এর মধ্যে এটি অন্যতম।
On Page SEO নিয়ে বিস্তারিত আরেকটি পোস্ট থাকবে। সেখানে খুঁটি নাটি সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
Off Page SEO
ব্লগের বাইরে, যে এসইও কাজগুলো রয়েছে যেমন- Backlink Building, Search Console ও Google Analytics সেটআপ, Social Share ইত্যাদি।
গুগল সার্চ কনসোল ও গুগল এ্যানালিটিক্স সেটআপ
আপনার ব্লগের আর্টিকেলগুলো Google Search এ দেখানোর জন্য আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটকে Google Search Console এ Submit করতে হবে। এছাড়া আপনার ব্লগের ভিজিটরদের সম্পর্কে জানতে, Keyword Analysis, Content Performance ইত্যাদি দেখার জন্য Google Analytics সেটআপ করতে হবে।
ব্লগ পোস্ট বা আর্টিকেল লিখুন
অনেক কষ্ট আর সময় ব্যয় করে ওয়েবসাইট করলেন, এখন আসল কাজ শুরু। ব্লগে আপনার টপিক অনুযায়ী ভাল ভাল কনটেন্ট দিতে হবে। ভাল ও উপকারী কনটেন্ট আপনার ব্লগে না থাকলে, আপনার পূর্বের সব পরিশ্রম মাটি।
একটি ব্লগের কনটেন্ট বা আর্টিকেলই হচ্ছে প্রধান বিষয়। কনটেন্ট ভাল তো আপনার সফলতা খুব বেশি দুরে নয়।
যদি ব্লগের কনটেন্ট ভাল না হয়, কোন ভিজিটর একবার আসলে সে ২য় বার আর আসবেনা। আপনাকে অবশ্যই আন্তরিকভাবে ব্লগ লিখতে হবে এবং পরিপূর্ণ তথ্য শেয়ার করতে হবে।
আর্টিকেল বা ব্লগ পোস্ট লিখতে সবার আগে মাথায় রাখতে হবে, আপনার পাঠক কারা। তাদের প্রয়োজন অনুসারে আপনাকে লিখতে হবে। খুব সহজে সার্চে র্যাংক পাওয়ার জন্য ব্লগ লেখার সময় ৮০% কাজ করতে হয়।
কিভাবে ব্লগিং শুরু করব?
অনলাইনে মানুষ সার্চ করে জানতে চায়, শিখতে চায় এমন কোন টপিক বাছাই করুন। এবার আপনার ব্লগের জন্য একটি ডোমেইন কিনুন এবং Blogger বা WordPress এর মাধ্যমে একটি ব্লগ তৈরি করে সেই টপিকে ব্লগ লিখা শুরু করুন।
ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়?
ব্লগিং করে অন্য ট্র্যাডিশনাল যে কোন পেশাজীবি যেমন, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, উকিলের চেয়ে অনেক বেশি আয় করা যায়। FounderJar.com এর তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয় করা ব্লগার Tim Sykes তার timothysykes.com থেকে প্রতি মাসে $1 million (৮,৪৭,৭৩,৫২০ টাকা প্রায়) আয় করেন।
ব্লগিং এর কাজ কি?
ব্লগ হচ্ছে একটি ওয়েবসাইট যেখানে আপনি কোন বিষয়ে নিয়মিত লেখালেখি বা তথ্য শেয়ার করবেন। ভিজিটররা আপনার লেখা/জ্ঞান বা তথ্য পেয়ে উপকৃত হতে পারে এবং কমেন্ট করতে পারে।
ব্লগের মূল চালিকাশক্তি কি?
১। আকর্ষণীয় বিষয়বস্তু ব্লগের সফলতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো আকর্ষণীয় বিষয়বস্তু। ...
২। নিয়মিত আপডেট নিয়মিত নতুন পোস্ট প্রকাশ করা ব্লগের সফলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ...
৩। পাঠকদের সাথে সংযোগ ...
৪। সোশ্যাল মিডিয়া প্রচার ...
৫। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)
শেষকথা
আমার মনে হয়, ব্লগিং শুরু করার জন্য যা যা জানা দরকার সব তথ্য আমি আপনাকে দিতে পেরেছি। এই বিষয়ে আপনার যদি আরো কোন প্রশ্ন থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। খুব দ্রুত উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবে।
আপনি নতুন হিসেবে ভাবতে পারেন, এত কিছু করা লাগে ব্লগিংয়ে। এটাতো খুব কঠিন। আসলে, একমাত্র ব্লগিংই অনলাইনে ভাল ও নির্ভরযোগ্য আয়ের জন্য সবচাইতে সহজ কাজ যদি আপনার জ্ঞান ও ইচ্ছা থাকে।
আপনি শুধুমাত্র আমার এই ব্লগ থেকেই, ব্লগিং ও এসইও বিষয়ক সকল টিউটোরিয়াল বিনামূল্যে পাবেন। একইসাথে হেল্প।
কেন আমি আপনাকে বিনামূল্যে এসব শেয়ার করছি? আমি চাই বাংলাদেশে ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রটি আরো বড় হোক। তখনই, আমার নিজের ও লাভ আপনাদের ও লাভ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url