ঢাকা থেকে সাজেক যাওয়ার সমস্ত তথ্য

সাজেক ভ্যালী এর ভৌগলিক অবস্থান রাঙ্গামাটি জেলার সর্বউত্তরে মিজোরাম সিমান্তে। সাজেক ভ্যালী মেঘের জন্য বিখ্যাত বলে এটাকে মেঘের রাজ্যও বলা হয়, আবার অনেকে এটাকে বাংলা ভূস্বর্গ হিসেবেও অবিহিত করেন। বর্তমানে ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের কাছে সবচাইতে জনপ্রিয় স্থান এটি। রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সব চাইতে বড় ইউনিয়নের নাম সাজেক। সাজেকের উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮০০ ফিট। রাঙ্গামাটি জেলায় সাজেকের অবস্থান হলেও ভৌগলিক কারণে সাজেক ভ্রমণ করতে খাগড়াছড়ির দিঘীনালা দিয়ে। সড়ক পথে সাজেকে যাওয়ার এটিই সহজ রাস্তা। খাগড়াছড়ি জেলা শহর থেকে সাজেকের দুরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার। আর দীঘীনালা / বোয়ালখালী বাজার থেকে প্রায় ৪৯ কিলোমিটার, বাঘাইহাট বাজার থেকে ৩৪ কিলোমিটার। সাজেকের উত্তরে রয়েছে ভারতের ত্রিপুরা, দক্ষিনে রাঙামাটির লংগদু, পূর্বে রয়েছে ভারতের মিজোরাম, পশ্চিমে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা।

ঢাকা থেকে সাজেক যাওয়ার উপায়


সাজেক আসতে হলে আপনাকে শুরুতে আসতে হবে খাগড়াছড়ি। বর্তমানে ঢাকা থেকে প্রায় সব ধরণের বাসই খাগড়ছড়িতে আসে। এসি বাসের মধ্যে রয়েছে গ্রীন লাইন, দেশ ট্রাভেলস, হানিফ, সেন্টমার্টিন হুন্দাই, সেন্টমার্টিন পরিবহন, শান্তি পরিবহন, ঈগল, শ্যামলী পরিবহন ইত্যাদি। আর নন এসির মধ্যে রয়েছে শ্যামলী এন আর, শ্যামলী এস পি, শান্তি পরিবহন, এস আলম পরিবহন, ইকোনো পরিবহন, সেন্টমার্টিন পরিবহন, ঈগল পরিবহন ইত্যাদি। ঢাকার গাবতলী, কল্যানপুর, শ্যামলী, কলাবাগান, ফকিরাপুল, কমলাপুর, আরামবাগ, সায়দাবাদ, টিটি পাড়া বালুর মাঠ, আব্দুলাহপুর থেকে এই সকল গাড়ির টিকেট সগ্রহ করতে পারবেন।

ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি আসার বাস ভাড়া

বাস কোয়ালিটি

ভাড়ার পরিমান

এসি বাস বিজনেস ক্লাস

১৬০০৳

এসি বাস ইকোনমি ক্লাস

১২০০৳

নন এসি বাস বিজনেস ক্লাস

৮৫০৳

নন এসি বাস ইকোনমি ক্লাস

৭৫০৳


সাজেক আসার উপযুক্ত সময়


চিরযৌবণা সাজেক ভ্যালী ( Sajek Valley ) সারা বছরই বিভিন্ন রকম বর্নিল সাজে সেজে থাকে আপনার জন্য। বছরের যেকোন সময়ে আপনি ভ্রমন করতে পারেন মেঘের রাজ্য সাজেক। তবে বর্ষা, শরৎ, হেমন্তে মেঘের আধিক্য বেশী দেখা যায়। হঠাৎ হঠাৎ মেঘের সাগরে হারাতে চাইলে এই সময়ে ভ্রমণ করতে পারেন।


সাজেক-এ আসলে আপনি যা যা দেখবেন


সাজেকে রয়েছে প্রকৃতির অপরূপ মায়াবী সৌন্দর্য্য। সাজেক আসলে আপনার দেহ, মন, প্রাণ পুলকিত হবে এক বিশুদ্ধ চিন্তা আর অনুভূতিতে। মেঘের রাজ্য সাজেক – এ সাদা তুলোর মত শুভ্র মেঘ আপনাকে মুগ্ধ করবেই। সাজেক এমন একটি স্থান যেখানে একই দিনে কয়েক রকম রূপের সান্নিদ্য পাবনে আপনি। সাজেকে কখোনো আপনার কাছে খুব গরম অনুভূত হবে তারপর দেখবেন হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে গেছেন আপনি, এরই ফাঁকে দেখবেন মেঘের চাদরে ঢেকে গেছে আপনার চারপাশ। সাজেকে সূর্যোদয় দেখার সুখানূভূতি তা আপনি কখনো ভূলতে পারবেন না। সূর্যোদয়ের সাথেই শুরু হয় মেঘ পাহাড়ের লুকোচুরি খেলা। প্রিয়জনকে সাথে নিয়ে রিসোর্টে বসে মেঘের খেলা দেখার আদর্শ জায়গা হল সাজেক ভ্যালী।

আরো পড়ুন: ডিজিটাল মার্কেটিং কি ও কেন প্রয়োজন A TO Z বিস্তারিত

সাজেক ভ্রমণে প্রধান আকর্ষন গুলো হল, সাপের মত আঁকাবাঁকা রাস্তা দিয়ে সাজেক আসা যা আপনাকে অন্যরকম রোলার কোষ্টারের অনূভূতি দিবে, সাজেকের সর্বোচ্ছ চূড়া কংলাক পাহাড়, সাজেকের সকাল, মেঘের খেলা, রংধনু ইত্যাদি। শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছরির মতই সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি সাজেক ভ্যালী। সাজেকের আসলে যা যা দেখবেন, রুইলুই পাড়া, কংলাক পাড়া, হ্যালীপ্যাড, কমলক ঝর্ণা, ষ্টোন গার্ডেন, শিব মন্দির, ঝাড়ভোজ, সূর্য ঘড়ি।


সাজেক ভ্যালি যেতে কত টাকা লাগে?


খাগড়াছড়ি শহরের শাপলা চত্বরের কাছ থেকে জীপগাড়ি/চাঁন্দের গাড়ি রিজার্ভ নিয়ে সাজেক ভ্যালি ঘুরে আসতে পারবেন। যাওয়া আসা সহ দুইদিনের জন্যে ভাড়া নিবে ৯,০০০-১০,৫০০ টাকা। এক গাড়িতে করে ১২-১৫ জন যেতে পারবেন। তবে লোক কম থাকলে অন্য কোন ছোট গ্রুপের সাথে কথা বলে শেয়ার করে গাড়ি নিলে খরচ কম হবে।

সাজেক রুমের ভাড়া কত?


ছুটির দিনে প্রিমিয়াম কটেজের ভাড়া ৪০০০ টাকা, ছুটির দিন ছাড়া ৩৫০০ টাকা। আর ছুটির দিন ব্যতিত ইকোনমি কটেজের রুম ভাড়া ৩৫০০ টাকা এবং ছুটিরদিন বাদে ৩০০০ টাকা। যোগাযোগঃ 01862-643860, ফেইসবুক পেইজ।


দীঘিনালা থেকে সাজেক ভাড়া


দীঘিনালা থেকে সাজেক জীপ গাড়ির ( চান্দের গাড়ি ) ভাড়ার তালিকা নিম্নে উল্লেখ করা হল

স্থান ও সময়

ভাড়ার পরিমান

এক রাত্রি যাপন ( দীঘিনালা – সাজেক – দীঘিনালা)

৭,৫০০৳

এক রাত্রি যাপন (দীঘিনালা – সাজেক – খাগড়াছড়ি – আলুটিলা – রিসাং ঝর্ণা, তারেং, জেলা পরিষদ পার্ক)

৯,৪০০৳

দুই রাত্রি যাপন (দীঘিনালা – সাজেক – দীঘিনালা)

৯,৭০০৳



সাজেক কি ট্রেনে যাওয়া যায়?


মূলত সাজেক ভ্যালি রাঙ্গামাটি জেলার সর্ব উত্তরে মিজোরাম সীমান্তে অবস্থিত। যেখানে আপনি বাস এবং ট্রেনে পৌঁছাতে পারবেন। যেমন আপনার বাসা যদি খাগড়াছড়ি হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক ভ্যালিতে পৌঁছতে মোটামুটি সময় লাগবে 6 ঘন্টা।


ঢাকা থেকে সাজেক যেতে বাস ভাড়া কত টাকা লাগে? 


ঢাকা থেকে ডাইরেক্ট বাস আছে। ভাড়া প্রায় ৭০০ হবে। খাগড়াছড়ি বাস স্ট্যান্ড থেকে শুধু মাত্র সকালে ৭-৮ টার মধ্যে একবারের জন্য আর্মির অনুমতিক্রমে সাজেক ভ্যালি যাওয়ার গাড়ী ছাড়ে। একসাথে ১০০-১৫০ জীপ গাড়ী, মোটর সাইকেল আর সিএনজি তার আগে পিছে আর্মি পাহারা দিয়ে নিয়ে যায়।

আরো পড়ুন: TIK TOK থেকে কিভাবে আয় করা যায় 

ঢাকা টু সাজেক খাগড়াছড়ি বাস সার্ভিস পরিবহন:

  • শান্তি পরিবহন 

  • শ্যামলী পরিবহন 

  • হানিফ পরিবহন

  • GreenLine পরিবহন 

  • ইকোনো ট্রান্সপোর্ট

  • খাদিজা পরিবহন 

  • দেশ ট্রাভেলস পরিবহন 

এই সকল সকল পরিবহনের মাধ্যমে আপনারা ঢাকায় যেতে পারবেন এবং সকল পরিবহনের ac bus এবং নন এসি বাস দুটোরি সুবিধা রয়েছে  এসি বাসগুলোর ভাড়া একটু বেশি হয়  তুলনামূলক।


সাজেক ভ্যালিতে কোন নেটওয়ার্ক ভালো?


সাজেকে মোবাইল নেটওয়ার্ক খুব একটা ভালো না। সেখানে শুধুমাত্র টেলিটক এবং রবি কাজ করে, এবং কখনও কখনও গ্রামীণ। ম্যালেরিয়া থেকে নিরাপদ থাকার জন্য আপনাকে অবশ্যই মশা/পোকা তাড়ানোর ওষুধ ব্যবহার করতে হবে।


রিসোর্ট সাজেক ভ্যালি ছবি



হোটেল / রিসোর্ট


সাজেকে রাত্রীযাপনের জন্য বর্তমানে প্রায় শতাধিক হোটেল / রিসোর্ট আছে। রিসোর্ট শতাধিক হলেও প্রতিটি রিসোর্টে রুম সংখ্যা ২-৮ টি। কিছু কিছু রিসোর্টে বেশী থাকলেও সেটা হাতে গোনা খুব কম। তাই সাজেক আসার আগে অবশ্যই রিসোর্ট বুকিং করে আসবেন। নিচে কিছু প্রিমিয়াম এবং ইকোনোমি রিসোর্টের নাম দিচ্ছি।

আরো পড়ুন:  google এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় 


রিসোর্ট বুকিং নাম্বার +8801841862600

➞ সারানীল কুটির রিসোর্ট

সারানীল কুটির ( Saranill Kutir Resort ) -এ রুম সংখ্যা চারটি। দুইটি রুম উপরে এবং দুইটি রুম নিচে। এই রিসোর্ট থেকে সাজেকের মেইন ভিউ মিজোরাম ভিউ / ইন্ডিয়া ভিউ দেখতে পাবেন। বর্তমানে কাপলদের বেশ পছন্দের রিসোর্ট সারা নীল কুটির। প্রিয়জনের সাথে একান্তে নিরিবিলি সময় কাটানোর জন্য এ রিসোর্ট অনন্য। সূর্যোদয় দেখার জন্য কষ্ট করে আপনাকে হ্যালীপ্যাড যেতে হবে না। রিসোর্টের বারান্দায় বসেই নতুন দিনের সূর্য্যকে আলিঙ্গন করতে পারবেন। এই রিসোর্টে সকল রুম সেইম কোয়ালিটি। প্রতিটি রুমে বড় বড় দুইটি খাট রয়েছে। প্রতিটি ওয়াশ রুমে আছে কমোড (হাই কমোড)। রুমের সাথে আছে বিশাল আকারের বারান্দা।


➞ নীল পাহাড়ি ইকো রিসোর্ট

নীল পাহাড়ি ইকো রিসোর্ট ( Nill Pahari Eco Resort ) –এ রুম সংখ্যা ৬ টি। ৪ টি দোতলায় আর দুইটি আছে নিচ তলায়। নিচে। এই রিসোর্ট থেকে সাজেকের মেইন ভিউ মিজোরাম ভিউ / ইন্ডিয়া ভিউ দেখতে পাবেন। পরিবার সহ থাকার জন্য এই রিসোর্ট বেষ্ট। এই রিসোর্টের ছাদ থেকে আপনি সূর্যোদয় দেখতে পাবেন। এই রিসোর্টে সকল রুম সেইম কোয়ালিটি। প্রতিটি রুমে বড় বড় দুইটি খাট রয়েছে। প্রতিটি ওয়াশ রুমে আছে কমোড (হাই কমোড)। রুমের সাথে আছে বিশাল আকারের বারান্দা। আরো আছে বিশাল একটি ছাদ, ছাদে আছে কয়েকটি আরাম কেদারা ও দোলনা। ছাদের উপরে আছে ফটোগ্রাফি করার জন্য সুন্দর একটি মাচাং।

আরো পড়ুন: ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কাজের চাহিদা ও ইনকাম বেশি

➞ তরুছায়া ইকো রিসোর্ট

তরুছায়া ইকো রিসোর্ট (Toruchaya Eco Resort) -এ রুম সংখ্যা চারটি। দুইটি রুম উপরে এবং দুইটি রুম নিচে। এই রিসোর্ট থেকে সাজেকের মেইন ভিউ মিজোরাম ভিউ / ইন্ডিয়া ভিউ দেখতে পাবেন। বর্তমানে কাপলদের বেশ পছন্দের রিসোর্ট এটি। প্রিয়জনের সাথে একান্তে নিরিবিলি সময় কাটানোর জন্য এ রিসোর্ট অনন্য। সূর্যোদয় দেখার জন্য কষ্ট করে আপনাকে হ্যালীপ্যাড যেতে হবে না। রিসোর্টের বারান্দায় বসেই নতুন দিনের সূর্য্যকে আলিঙ্গন করতে পারবেন। এই রিসোর্টে সকল রুম সেইম কোয়ালিটি। প্রতিটি রুমে একটা কাপল বেড রয়েছে। প্রতিটি ওয়াশ রুমে আছে কমোড (হাই কমোড)। রুমের সাথে আছে বিশাল আকারের বারান্দা।


সাজেক ভ্রমণে যে বিষয় গুলো অবশ্যই মনে রাখবেন

  • সাজেক আসা এবং যাওয়ার সময় চলন্ত গাড়ি থেকে স্থানীয় শিশুদের চকলেট, বিস্কুট, টাকা ও অন্যান্য জিনিসপত্র ছুঁড়ে মারবেন না।

  • স্থানীয় আদিবাসীদের সাথে ছবি তোলার জন্য অবশ্যই অনুমতি নিয়ে নিবেন।

  • স্থানীয় আদিবাসীরা অনেক সহজ সরল তাদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ ব্যবহার করবেন।

  • বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা কিছু বললে সেটা মনযোগ সহকারে শুনবেন। কারণ উনারা যা বলবেন তা পর্যটকদের ভালোর জন্যই বলবেন।

  • স্থানীয় আদিবাসীদের সংস্কৃতির প্রতি অসন্মান করবেন না।

  • এসকর্টের নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বাঘাইহাট আর্মি ক্যাম্পে চলে আসবেন।

  • আর্মিদের এরিয়ায় ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষেধ, তাই সকল ক্যান্টনমেন্ট এবং ক্যাম্পে ছবি তোলা থেক বিরত থাকুন।

  • সাজেকের রাস্তা অনেক আঁকাবাঁকা ও অনেক উঁচু নিচু তাই ভ্রমণে গাড়ির ছাদে ভ্রমণ না করাই উওম।

  • সাজেকে শুধুমাত্র রবি, এয়ারটেলের এবং টেলিটকের নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়, তাই ভ্রমণের সময় এইগূলোর যেকোন একটা সঙ্গে রাখুন।

  • আসার আগে অবশ্যই হোটেল / রিসোর্ট বুকিং দিয়ে আসবেন।

  • জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি সঙ্গে রাখবেন।

  • ভ্রমণে গ্যাজেট সমূহ চার্জের জন্য পাওয়ার ব্যাংক সঙ্গে রাখুন।

  • সাজেক ভ্যালীর সৌন্দর্য্য এবং পরিবেশ রক্ষায় আবর্জনা যেখানে সেখানে ফেলা থেকে বিরত থাকুন।


শেষ কথা 


সাজেক মূলত বাংলাদেশের একটি নিদর্শন। যেখানে প্রায় বাংলাদেশের সব অঞ্চলের মানুষ বা পর্যটক সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ করতে  যাই । ঘুরার পাশাপাশি নিজেদের কেউ সচেতন রাখা উচিত অনেক পর্যটকের অনেক কিছু হারিয়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেদিকেও খেয়াল রাখা উচিত যাতে নিজেদের কোন ক্ষতি না হয় ।তাই সবাই সাবধানের সাথে ঘোরাঘুরি করবেন আপনাদের যাত্রা শুভ হোক ।  আমার ওয়েবসাইটে তথ্যমূলক সকল ধরনের  আর্টিকেল বা কনটেন্ট পোস্ট করা হয় । নিয়মিত এ ধরনের কনটেন্ট পেতে আমার ওয়েবসাইটকে ফলো করে রাখুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url