ওয়ার্ডপ্রেস কী? কত দ্রুত ওয়ার্ডপ্রেসে ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়?

ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করার কথা ভাবছেন? কিন্ত কোডিং-পোগ্রামিং না জানার কারণে ওয়েবসাইট তৈরি ,বর্তমানে বিশ্বে যত গুলো ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে তার মধ্যে ৬৫% ওয়েবসাইট তৈরি করা হয় ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে। তাছাড়া ওয়েবসাইট তৈরি করার দিক থেকে সকলের পছন্দ WordPress.

ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে আপনি কোনো ধরনের কোডিং ছাড়াই elementor দিয়ে ওয়েবসাইট সুন্দর ডিজাইন এবং Plugin এর মাধ্যমে যেকোনো কাজ করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে ওয়েবসাইট তৈরির সবচেয়ে সহজ সমাধান হলো ওয়ার্ডপ্রেস। যদিও এটির যাত্রা শুরু হয়েছিল ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য। কিন্তু ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে এখন যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইটই তৈরি করা সম্ভব খুব সহজে, কম সময়ে এবং কম খরচে।

তাহলে চলুন ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি করার আগে প্রথমে আমরা জেনে আসি WordPress কী?


WordPress অর্থ কি?


ওয়ার্ডপ্রেস (ইংরেজি: WordPress) ওয়ার্ডপ্রেস হচ্ছে বর্তমানে সর্বাধিক জনপ্রিয় ব্লগ পাবলিশিং অ্যাপলিকেশনস এবং শক্তিশালী কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS), যা পিএইচপি এবং মাইএসকিউএল দ্বারা তৈরিকৃত ওপেন সোর্স ব্লগিং সফটওয়্যার।

What is WordPress in Bangla. সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ওয়ার্ডপ্রেস হলো ওয়েবসাইট ও ব্লগ তৈরীর সবচেয়ে সহজ ও বহুল জনপ্রিয় মাধ্যম। ওয়ার্ডপ্রেস একটি ওপেন-সোর্স সিএমএস বা কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, যা পিএইচপি (PHP) প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।


ওয়ার্ডপ্রেস কি ধরনের প্লাটফর্ম ও এক নজরে ওয়ার্ডপ্রেসের ইতিহাস -?


ওয়ার্ডপ্রেস প্রথম পর্যায়ে একটি ফ্রি প্লাটফর্ম ছিল যা পরবর্তীকালে একটি ইঞ্জিন তৈরি করে এবং বিনামূল্যে তা ডাউনলোড করে যেকোনো ব্লগারকে ব্যবহারের সুবিধা দিতে শুরু করে . ওয়ার্ডপ্রেস দ্বারা কোনো প্রকার পিএইচপি, মাইএসকিউএল বা এইচটিএমএল জ্ঞান ছাড়াই একটি প্রোফেশনাল মানের ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব।


এক নজরে ওয়ার্ডপ্রেসের ইতিহাস -

  • ওয়ার্ডপ্রেস একটি ওপেন সোর্স প্লাটফরম

  • ২০০৩ সালে B2 নামের ব্লগিং প্লাটফরম থেকে যার জন্ম

  • ওয়ার্ডপ্রেসের উদ্ভবক Matt Mullenweg

  • প্লাগিং ফিচার আসে ২০০৪ সালে

  • ডায়নামিক পেজ এবং থিম সিস্টেম আসে ২০০৫ সালে।

  • পুরো ইন্টারনেটের ৩৪% ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি

  • প্রতি ১০০ টি ওয়েবসাইটের ১৪.৫% ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি হচ্ছে।

  • প্রতি প্রায় ঘণ্টায় ৩৮০ টা ওয়েবসাইট তৈরি হয়।


WordPress দিয়ে কী ধরনের ওয়েব সাইট তৈরি করা যায়?


ওয়ার্ডপ্রেস এর প্রাথমিক যাত্রা ব্লগ তৈরির সাধারণ টুল হিসাবে শুরু হলেও সময়ের সাথে সাথে বদলেছে ওয়ার্ডপ্রেস এর রুপ ও কার্যকারিতা। আর বর্তমানে ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইটই তৈরী করা সম্ভব। এই ব্যাপারটি সহজ হয়েছে ওয়ার্ডপ্রেস এর ডিরেক্টরিতে থাকা অসংখ্য থিম ও প্লাগিন এর মাধ্যমে।

বর্তমানে, ওয়ার্ডপ্রেস শুধুমাত্র বিজনেস ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগ তৈরীতেই নয়, বরং ই-কমার্স সাইট তৈরীরও অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম। ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে তৈরী করা সম্ভব এমন কিছু ধরনের সাইট নিম্নরূপঃ


  • পোর্টফোলিও

  • ই-কমার্স স্টোর

  • ব্লগ

  • বিজনেস ওয়েবসাইট

  • রেজ্যুমে

  • ফোরাম

  • সোশ্যাল নেটওয়ার্ক

  • মেম্বারশিপ সাইট, ইত্যাদি।


এছাড়াও একাধিক ক্যাটাগরি মিশিয়েও ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট বানানো যাবে৷ মোটামুটি ভাবে বলা যায়, ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইট ই বানানো সম্ভব।


ওয়ার্ডপ্রেস কি কেন শিখব: মূল ধারণা


ওয়ার্ডপ্রেস একটি Open-source content management system (CMS), যা দিয়ে আপনি সহজেই আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। এই platform টি এতটাই জনপ্রিয় যে, ইন্টারনেটে মোট ওয়েবসাইটের প্রায় ৪০% বর্তমানে ওয়ার্ডপ্রেস-এ তৈরি করা হয়েছে।


আরও পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা ও বেশি ইনকাম বেশি


ওয়ার্ডপ্রেস কি কেন শিখব? কারণ, এটি একটি ফ্রি এবং ব্যবহার-বান্ধব platform যা আপনাকে programming language জানার প্রয়োজন ছাড়াই ওয়েবসাইট তৈরি করার সুযোগ দেয়। আপনি যদি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা, বা freelancer হয়ে থাকেন, তাহলে ওয়ার্ডপ্রেস শেখা আপনার জন্য একটি অমূল্য সম্পদ হতে পারে।


ক্যারিয়ার হিসেবে WordPress কেন শিখবেন?


বর্তমান সময়ে সবচেয়ে আলোচিত প্রশ্ন হল যে ক্যারিয়ার হিসেবে WordPress শেখার ভূমিকা কতটুকু বা ওয়ার্ডপ্রেস কেন শিখবেন। যারা ওয়ার্ডপ্রেসে একেবারেই নতুন তাদের কাছে এই প্রশ্নের উত্তর জানা থাকা আবশ্যক। তাছাড়া যারয কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম থেকে ওয়েব ডিজাইনের ক্যারিয়ার গড়তে চান তাদের জন্যও আবশ্যিক ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে জানা।


কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল ওয়ার্ডপ্রেস। ব্লগিং প্লাটফর্মের মধ্যে ১৮ বছর ধরে একে অন্যের পরিপূরক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বর্তমানে প্রায় ৩৪% ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস দ্বরা তৈরি।

আপনি যদি যুগের চাহিদা অনুযায়ী কন্টেন্ট ম্যাজমেন্ট সম্পর্কে জানতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে ধাপে ধাপে এ সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারনা নিতে হবে।


ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট শেখার জন্য আপনাকে প্রথমে টেকনিক্যাল বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হবে। এছাড়াও ওয়ার্ডপ্রেস একই সাথে বিভিন্ন ধরণের ফিচার, মার্টিমিডিয়া সাপোর্ট, এসইও অপটিমাইজেশন করার ক্ষেত্রে সাহায্য করে।


ওয়ার্ডপ্রেস শেখার জন্য জানা কি কি দরকার -


১. WordPress হল ওপেন সোর্স মাধ্যম:

ওয়ার্ডপ্রেস শেখার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি সম্পূর্ণ ফ্রি ও ওপেন সোর্স মাধ্যম। অর্থাৎ আপনি চাইলে যখন তখন আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ফ্রিতে নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করতে পারবেন, সেই সাথে আপনার ব্যবহৃত বর্তমান ওয়েবসাইটকে আরও বেশি ইউজার ফ্রেন্ডলি করতে পারবেন। নতুন বা মিডিয়াম লেভেল ওয়েব প্রোগ্রামার হিসেবে এবং ক্যারিয়ার হিসেবে WordPress  শেখাটা এখন অনেক সহজ।

কারণ আপনি যদি প্রোগ্রামার হন তাহলে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরির পাশাপাশি নতুন নতুন আকর্ষনীয় ফিচার যুক্ত করতে পারবেন।

বর্তমানে কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্টের প্রায় ৬২% জায়গা দখল করে আছে ওয়ার্ডপ্রেস। তাই আপনি যদি সামান্য টেকনিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ডের হয়ে থাকেন, তাহলে খুব সহজে আপানার পিসিতে ওয়ার্ডপ্রেসের লোকাল ভার্সন ডাউনলোড করে কাজ শুরু করতে পারেন।


২. WordPress খুব সহজে মেইনটেইন করা যায়:

ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি খুবই সহজ একটি মাধ্যম। এর মূল সুবিধা হল আপনার যদি কোডিং সম্পর্কে বিন্দু মাত্র জ্ঞান না থাকে তবুও আপনি ওয়ার্ডপ্রেসে কাজ শুরু করতে পারবেন। ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট শিখে আপনি খুব সহজে ই-কমার্স ওয়েবসাইট কিংবা ডাইনামিক ব্লগিং সাইট তৈরি করতে পারবেন।


আরও পড়ুনঃ Upwork এ কি কি কাজ পাওয়া যায়?


৩. SEO Optimization অনেক সহজ:

বর্তমান যুগে ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অন্যতম মাধ্যম হল SEO। তাছাড়া ই-কমার্স থেকে শুরু করে আপনি যদি অনলাইন ব্রান্ডিং এর মাধ্যমে সফলতা অর্জন করতে চান আপনাকে সবার আগে এসইও নিয়ে ভাবতে হবে। তাই আপনি যদি ক্যারিয়ার হিসেবে WordPress ডেভেলপমেন্ট শিখেন তাহলে আপনি সার্চ ইঞ্জিনে ভালো র‌্যাংকিং এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজে আপনার ক্যারিয়ারে দ্রুত এগিয়ে থাকবেন। টাইটেল, হেডিং, মেটা ডেসক্রিপশন অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে আপনি খুব সহজে ওয়ার্ডপ্রেস সাইট অপটিমাইজ করতে পারবেন। ফলে অধিক পরিমান ট্রাফিক আপনার সাইটে নিয়ে আসতে পারবেন।


৪. প্লাগিন (Plugin) এবং Widgets:

যদি কোডিং বিষয়ে আপনার কোন ধারনা না থাকে তবুও আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করে খুব সহজে নিজের জন্য একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলতে পারবেন। এর মধ্যে আপনি প্রয়োজনীয় সকল তথ্য যোগ করতে পারবেন ঝামেলা ছাড়াই। একই সাথে আপনি ই-কমার্স শপ, ডিজিটাল এনালিটিক্স, এসইও, সোশ্যাল শেয়ারিং সহ গ্রাহকদের জন্য নানা ধরনের ফিচার যুক্ত করতে পারবেন। তাই আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার হিসেবে কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে থিম এবং প্লাগিন সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারনা নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। তাহলে আপনি যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।


৫. কাস্টম ডিজাইন:

কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হিসাবে ওয়ার্ডপ্রেস শেখা যথেষ্ট সহজ বলে আপনি খুব সহজে ওয়েবসাইট কাস্টমাইজ করতে পারবেন এবং সেই সাথে আপনার পছন্দ অনুযায়ী যে কোনো ডিজাইনের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।

ওয়ার্ডপ্রেসের সহজ ইন্টারফেসকে কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজে নিজের আইডিয়া জেনারেট করে আপনার নিজস্ব ব্রান্ড তৈরি করতে পারবেন। তাই আপনি যদি আপনার কাস্টমারদের কিংবা আপনার ক্লায়েন্টদের ইউনিক ওয়েবসাইট উপহার দিতে চান সেক্ষেত্রে আপনি ক্যারিয়ার হিসেবে WordPress ডেভেলপমেন্ট শিখে ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারবেন।


৬. WordPress ইন্সটল করা বেশ সহজ:

ওয়ার্ডপ্রেসে খুব সহজে আপনি প্লাগিন ইনস্টলের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ফিচার যুক্ত করতে পারবেন। তাই আপনি যদি ক্যারিয়ার হিসেবে WordPress গড়তে চান সেক্ষেত্রে আপনি খুব সহজে ওয়ার্ডপ্রেস কোন হোস্টিং বা লোকাল হোস্টের মাধ্যমে আপনার পিসিতে ইনস্টল করে ওয়েবসাইট তৈরির কাজ শেখা শুরু করতে পারবেন।


৭. বিভিন্ন ধরণের মাল্টিমিডিয়া সাপোর্ট:

ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে আপনি বিভিন্ন ধরণের মাল্টিমিডিয়া যেমন ভিডিও, অডিও কিংবা ইমেজ যুক্ত করতে পারবেন। আপনি হাইপার-লিংক ডকুমেন্ট যুক্ত করতে পারবেন। ওয়ার্ডপ্রেস শুধুমাত্র আপনার ওয়েবসাইটে ডাটা স্টোর করতে সাহায্য করে তা শুধু নয় বরং সেই সাথে আপনার ওয়েবসাইটকে বেশ আকর্সণীয় এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি করে তুলতে সাহায্য করে। তাই নিজেকে একজন ক্যারিয়ার হিসেবে WordPress ডেভেলপার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট শিখতে হবে।


আরও পড়ুনঃ অনলাইন থেকে প্রতিদিন ৫০০ টাকা আয় করার উপায়


৮. হেল্প-ফুল লার্নিং কমিউনিটিতে শেখার সুযোগ:

ওয়ার্ডপ্রেস জটিল না হলেও অনেকেই শুরুতেই শিখতে গিয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু আপনি যদি অনলাইন বা অফলাইনে ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে চান সেক্ষেত্রে এর হেল্প-ফুল লার্নিং কমিউনিটি আপনাকে এই যাত্রায় আনন্দের সাথে শেখার অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠবে। তাছাড়া যত ধরণের জটিল সমস্যা আছে তা আপনি ওয়ার্ডপ্রেস সাপোর্ট সিস্টেমের সাথে যোগাযোগ করে তার উপযুক্ত সমাধান পেয়ে যাবেন। wordpress.org


৯. WordPress ১০০ এর অধিক ভাষা সাপোর্ট করে:

কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস ১০০ টির বেশি ভাষা সাপোর্ট করে। এতে করে আপনি সারাবিশ্বের যেকোনো ওয়েবসাইট আপনার ভাষায় অনবাদ করতে পারবেন খুব সহজে। সুতরাং আপনার লোকাল ভাষায় ওয়েবসাইট তৈরির ক্ষেত্রেও ওয়ার্ডপ্রেস খুবই কার্যকরী। পাশাপাশি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষকে সাপোর্ট দিতে পারবেন।


১০. সুন্দর ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ:

আপনি যদি এই নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান সেক্ষেত্রে ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট শিখে ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারেন বেশ সহজে। সুতরাং আপনি যদি অনলাইন ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চান সেক্ষেত্রে আপনি নিজেকে একজন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন। একজন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে আপনি যেমন ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারবেন।

তাছাড়া আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং টেকনিক্যাল সার্পোট প্রদানের মাধ্যমে নিজের কর্মক্ষেত্র গড়ে তুলতে পারেন। এ কাজ করে আপনি প্রতি মাসে ৫০ হাজারের বেশি টাকা আয় করতে পারবেন।


ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কতদিন লাগে

ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে সময়সীমা অনেকটাই নির্ভর করে আপনার পূর্বের অভিজ্ঞতা এবং শিখতে কেমন আগ্রহ আছে তার উপর। সাধারণত:

  • বেসিক শিখতে: ১-২ সপ্তাহ, যেখানে আপনি কিভাবে একটি সাইট তৈরি করবেন, থিম ইনস্টল করবেন এবং কিছু কনটেন্ট যোগ করবেন।

  • মধ্যম স্তরের জ্ঞান: ১-২ মাস, যেখানে আপনি প্লাগিন ব্যবহারের মাধ্যমে সাইটের কার্যকারিতা বাড়াতে পারবেন এবং কিছু কাস্টমাইজেশন করতে পারবেন।

  • অগ্রগামী স্তরের জ্ঞান: ৩-৬ মাস, যেখানে আপনি কোডিং, SEO, এবং উন্নত কাস্টমাইজেশন শিখবেন।

উপসংহার

আমার আজকে  আর্টিকেল ওয়ার্ডপ্রেসে কত দ্রুত ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়? ওয়ার্ডপ্রেস শেখা একটি মূল্যবান এবং উপকারী অভিজ্ঞতা হতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনি ওয়েবসাইট তৈরি ও পরিচালনার বিষয়ে আগ্রহী হন। এর ব্যবহার সহজ, কাস্টমাইজেশন সম্ভাবনা ব্যাপক, এবং একটি সমৃদ্ধ কমিউনিটি রয়েছে যা সহায়তা করতে প্রস্তুত। আপনার লক্ষ্য এবং আগ্রহের উপর ভিত্তি করে, বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারা এবং নতুন দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব। নিয়মিত অনুশীলন ও গবেষণার মাধ্যমে আপনি দ্রুত অগ্রগতি করতে পারবেন। সুতরাং, ওয়ার্ডপ্রেস শেখা আপনার ক্যারিয়ার এবং ব্যক্তিগত প্রকল্পের জন্য একটি চমৎকার বিনিয়োগ হতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url