ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চাচ্ছেন? তাহলে এই গাইডটি আপনাকে কিভাবে একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটার হতে কি কি লাগে ও জানতে হবে সেই বিষয়ে সাহায্য করবে।
বর্তমান সময়ে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে মার্কেটিং করা যেমনঃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, এসইও, ভিডিও কনটেন্ট, ইমেইল মার্কেটিং বা পেইড অ্যাড ইত্যাদি একটি ব্যবসার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। Digital Marketing ডিজিটাল পদ্ধতি বা ডিভাইস ব্যবহার করে করা যায় এমন সব ধরণের প্রচারমাধ্যমকে ব্যবহার করে করা যায়।
যদি আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান যেমন কিভাবে শুরু করবেন, কিভাবে কি শিখবেন জানতে পড়তে থাকুন।
ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি
ফ্রিল্যান্সিং একটি কাজের ধরন যেখানে একজন ব্যক্তি তার নিজের সময় এবং কাজের শর্তগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ রাখে। ডিজিটাল মার্কেটিং হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহার করে পণ্য বা পরিষেবাগুলির প্রচারের মাধ্যমে ব্যবসায়িক লক্ষ্যগুলি অর্জন করা হয়।
ফ্রিল্যান্স ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ কি?
সাধারণত, ফ্রিল্যান্স ডিজিটাল মার্কেটারদের নিয়োগ করা হয়: অর্থপ্রদানের বিজ্ঞাপন, যেমন গুগল বিজ্ঞাপন, ফেসবুক বিজ্ঞাপন, ইউটিউব বিজ্ঞাপন ইত্যাদি। আইডিয়াশন, স্ক্রিপ্ট রাইটিং, শুটিং, সম্পাদনা, প্রকাশনা এবং ভিডিও প্রচার সহ ভিডিও বিপণন। ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং।
ডিজিটাল মার্কেটিং কেন করবেন?
সবাই এখন অনলাইন প্লাটফর্মে কেনাকাটা করে থাকে। তাই, ব্যবসায় মালিকরা তাদের ব্যবসার জন্য ইন্টারনেট মার্কেটিং এর দিকে নজর দিচ্ছে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট হলে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে ও অন্যের হয়ে মার্কেটিং করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি যদি পণ্য বা সার্ভিস বিক্রয় করে থাকেন, তবে বাজারে টিকে থাকতে চাইলে আপনারও উচিত নিজের ব্যবসা বৃদ্ধি করার জন্য ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করা মার্কেটিং করা। ,
পূর্বের তুলনায় বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এখন অনেক বেশি জনপ্রিয়। প্রথাগত মার্কেটিং এর সাথে এর থেকে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সহজেই অনলাইনে ব্যবসার ভিজিবিলিটি বৃদ্ধি করা সহ নতুন গ্রাহকের নিকট সহজেই পৌঁছানোর মাধ্যমে বিক্রয় বৃদ্ধি করা যায়।
এছাড়াও ডিজিটাল প্লাটফর্মগুলোতে আপনি নির্দিষ্ট গ্রাহকেদের টার্গেট করে মার্কেটিং করতে পারবেন। ফলে আপনার মার্কেটিং এর খরচ কমে যাবে।
উদাহরণ - মনে করুন মিস্টার জামাল একটি নতুন ব্যবসায় দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে। তার সাথে তার বন্ধু মিস্টার আমিনও নতুন একটি ব্যবসায় তৈরি করেছে। মিস্টার আমিন তার ব্যবসায় বৃদ্ধি করার জন্য অনলাইনে ডিজিটাল বিপণন করে বিক্রয় বৃদ্ধি করে চলেছে। এভাবে করে মিস্টার আমিনের ব্যবসায় অল্প সময়ের মাঝেই বড় হয়ে গেছে।
অপরদিকে, মিস্টার জামাল অনলাইনে তার ব্যবসার ভিজিবিলিটি বৃদ্ধি করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল অবলম্বন না করার কারণে, তিনি আশানুরূপ ফলাফল পাচ্ছেন না। এখন যদি মিস্টার জামাল তার ব্যবসায় বৃদ্ধি করতে চান, তবে তাকে অবশ্যই নজর দিতে হবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর। এজন্য তিনি ফেসবুক মার্কেটিং, গুগল অ্যাডস, SEO, কনটেন্ট মার্কেটিং এর সহযোগিতা নিতে পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার কেমন হবে
পুরো পৃথিবী এখন অনলাইন ভিত্তিক হয়ে যাওয়ায় সবাই তাদের ব্যবসায় বৃদ্ধি করার জন্য অনলাইনে ব্যবসায় দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে। আপনার নিজের ব্যবসায় না থাকলেও ডিজিটাল মার্কেটার হতে পারবেন।=
অন্যের ব্যবসায়ের বিক্রয় বৃদ্ধি করার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে গেলেই দেখতে পাবেন অনেকে ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা দিচ্ছে। তারা মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে এসব মার্কেটপ্লেসে ফেসবুক অ্যাড, গুগল অ্যাড, এসইও সহ বিভিন্ন ধরণের সার্ভিস দিচ্ছে।
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারলে যেকোনো একটি সেক্টর বেঁছে আপনিও এসব মার্কেটপ্লেসে সেবা দিয়ে ঘরে বসে Freelancing করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে তার ব্যবসায়ের পণ্য বা সেবা বিক্রয় করতে পারেন। পাশাপাশি তিনি ফেসবুকে অ্যাড ক্যাম্পেইন চালিয়ে অল্প সময়ের মাঝে প্রচুর পরিমাণে টার্গেট কাস্টমার পেয়ে যাবেন। এভাবে করে তিনিও মিস্টার আমিনের মতো করে অনলাইনে নিজের ব্যবসায় দাঁড় করানোর মাধ্যমে অতি দ্রুত ব্যবসায়ে অধিক মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।
আপনার নিজের যদি একটি ব্যবসায় থাকে, তবে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে নিজের ব্যবসায় নিজেই বৃদ্ধি করতে পারবেন। অথবা, ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে অন্যের ব্যবসায়ের বিক্রয় বৃদ্ধি করে দেয়ার মাধ্যমে ঘরে বসে অনলাইনে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। একারনেই, আপনিও ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিতে পারেন।
কিভাবে ফ্রি ডিজিটাল মার্কেটার হওয়া যায়?
হাবস্পট একাডেমি : হাবস্পট একাডেমি হল এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা বিনামূল্যে অনলাইন কোর্স এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন দিক যেমন ইনবাউন্ড মার্কেটিং, কন্টেন্ট মার্কেটিং, ইমেল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, এসইও এবং আরও অনেক কিছুর উপর সার্টিফিকেশন অফার করে।
কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়
Digital Marketing শেখা শুরু করার আগে প্রয়োজন হবে ইন্টারনেট সংযোগ সহ একটি কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট চালানোর বেসিক জ্ঞান। এছাড়াও কম্পিউটারে লেখালেখি করা, ছবি এবং ভিডিও এডিট করার সাধারণ জ্ঞান জানা থাকতে হবে। অতঃপর, যে বিষয়ে এক্সপার্ট হতে চান, সেটা সম্পর্কে কিছু ধারণা থাকতে হবে। যেমন ফেসবুক মার্কেটিং করতে হলে ফেসবুক সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে।=
ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করে একটি ব্যবসায়ের পণ্য বা সেবা বিক্রয় করার জন্য যা কিছু করা হয় সেগুলোই ডিজিটাল মার্কেটিং। নিচে উল্লিখিত কয়েকটি জনপ্রিয় মাধ্যমে শুরু করতে পারেন।
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (Google, Bing search ads)
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
কন্টেন্ট মার্কেটিং
ইমেল মার্কেটিং
এফিলিয়েট মার্কেটিং
টেলিভিশন মার্কেটিং
মোবাইল মার্কেটিং
উপরে উল্লিখিত তালিকায় যেসব পদ্ধতির নাম উল্লেখ করে দেয়া রয়েছে, এগুলো অনুসরণ করে আপনার ব্যবসায়ের কিংবা ক্লায়েন্ট এর ব্যবসায়ের ডিজিটাল মার্কেটিং করে ব্যবসায়ের পরিধি এবং বিক্রয় বৃদ্ধি করে দিতে পারবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেকগুলো সেক্টর থাকার কারণে, আপনি যেকোনো একটি পদ্ধতি বেঁছে নিয়ে সেটি যদি ভালোমতো করতে পারেন, তবে সহজেই ব্যবসায় বৃদ্ধি করতে পারবেন।
যেমন - আপনি যদি একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনার পণ্য বা সেবা বিক্রয় করা শুরু করেন, তবে আপনার ওয়েবসাইটে শুরুর দিকে তেমন ভিজিটর পাবেন না। অর্থাৎ, গ্রাহক পাবেন না। এজন্য আপনার ওয়েবসাইটটি এসইও করতে হবে। তবেই, গুগল সহ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন থেকে মানুষ আপনার ওয়েবসাইট আসবে পণ্য বা সেবা ক্রয় করার জন্য। এভাবে করে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং করে ব্যবসায় বৃদ্ধি করতে পারবেন।
এছাড়াও, সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, কন্টেন্ট মার্কেটিং এবং ই-মেইল মার্কেটিং রয়েছে। এগুলো করে অনেক দ্রত কাস্টোমার বৃদ্ধি করতে পারবেন এবং মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।
আপনার পছন্দের মাধ্যম অনুসরণ করে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে চাইলে প্রথমেই আপনাকে উক্ত মাধ্যমটি রপ্ত করতে হবে। এজন্য, বিভিন্ন রিসোর্স থেকে মার্কেটিং শিখতে পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখতে হয় তা নিয়ে নিচে আরও বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব
ব্যবসায় বৃদ্ধির জন্য অথবা ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চাচ্ছেন? তবে অবশ্যই আপনার কিছু বিষয় জানা থাকতে হবে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখার আগে। এমন কিছু বিষয় নিচে উল্লেখ করে দেয়া রয়েছে।
প্রযুক্তিগত দক্ষতা
ভাল ডিজিটাল মার্কেটারের প্রযুক্তিগত দক্ষতা থাকা জরুরি। এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং মূলত ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহার করে করা হয়ে থাকে। তাই এর মধ্যে রয়েছে কম্পিউটার ব্যবহারের দক্ষতা, ইন্টারনেট ব্যবহারের দক্ষতা, যেকোনো সমস্যা সমাধান করার দক্ষতা এবং বিভিন্ন ডিজিটাল মার্কেটিং টুল ও প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের দক্ষতা।
মার্কেটিং ও ব্যবসা সম্পর্কে জ্ঞান
যেহেতু ডিজিটাল মার্কেটিং হলো এক ধরনের মার্কেটিং। তাই আপনাকে ডিজিটাল শিখতে হলে মার্কেটিং বিষয়ে কিছুটা জ্ঞান থাকা জরুরি। যেমন মার্কেটিংয়ের মূলনীতি, মার্কেটিং কৌশল, এবং মার্কেটিং মিডিয়া ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
এছাড়াও আপনাকে বিভিন্ন ব্যবসার ধরন, কাস্টমার ও সুযোগ ও মার্কেট এনালাইসিস করতে জানতে হবে।
সৃজনশীলতা
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল সৃজনশীলতা। আকর্ষক এবং কার্যকর ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যাম্পেইন তৈরি করতে হলে সৃজনশীল হতে হবে। আপনি যত সৃজনশীল পদ্ধতিতে ব্যবসায়ের পণ্য বা সেবাকে মানুষের নিকট উন্মোচন করতে পারবেন, আপনার ব্যবসায়ের বিক্রয় তত বেশি বৃদ্ধি পাবে।
অনুশীলন
শুধুমাত্র তাত্ত্বিক জ্ঞান থাকলেই হবে না, বাস্তবে তা প্রয়োগ করতে জানতে হবে। তাই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ভাল করতে হলে প্রচুর অনুশীলন করতে হবে। একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট হতে হলে নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায়
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার দুইটি উপায় রয়েছে। একটি হচ্ছে নিজে থেকে বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেলে থাকা টিউটোরিয়াল দেখে এবং ডিজিটাল মার্কেটারদের ফলো করে শেখা এবং অপরটি হচ্ছে যেকোনো একটি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স এ এনরোল করে শেখা।
আপনার ইচ্ছের উপর নির্ভর করবে আপনি কোন পদ্ধতিতে মার্কেটিং শিখতে চাচ্ছেন। যদি কোনো কোর্সে এনরোল করেন, তবে একজন ভালো মেন্টর পাবেন যিনি আপনাকে সব ধরণের সমস্যায় সহযোগিতা করবেন।
এছাড়াও, এখন ইউটিউব এ অনেক ফ্রি টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়। যা দিয়ে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর বেসিক সম্পূর্ণ শিখতে পারবেন। এরপর চাইলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর যেকোনো একটি কোর্স করতে পারেন। এতে করে অ্যাডভান্স লেভেলে সকল কাজ জানতে এবং শিখতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং কোথায় শিখবেন
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার অনেক পদ্ধতি রয়েছে। আমি ইতোমধ্যে আলোচনা করেছি যে, আপনি চাইলে যেকোনো কোর্স করে কিংবা ফ্রি ইউটিউব টিউটোরিয়াল দেখে মার্কেটিং শিখতে পারেন। নিচে ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখব এমন কিছু উপায় নিয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং
মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাহায্যেে মার্কেটিং করলে যে কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান অল্প সময়ের মধ্যে টার্গেট কাস্টমারদের কাছে পৌঁছে যাই। যেহেতু এটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। তাই এটিকে অনলাইন মার্কেটিং ও বলা হয়। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মানে হল সঠিক সময়ে সঠিক কাস্টমারের কাছে প্রোডাক্ট পৌঁছে দেওয়া।
ফ্রিল্যান্স ডিজিটাল মার্কেটারদের আয় কত?
ভারতে ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সার বেতন ₹ 1.8 লাখ থেকে ₹ 8.0 লাখের মধ্যে যার গড় বার্ষিক বেতন ₹ 3.4 লাখ। বেতন অনুমান ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সারদের কাছ থেকে প্রাপ্ত 72 সর্বশেষ বেতনের উপর ভিত্তি করে। 1 - 8 বছর মেয়াদ।
কোর্স করে শেখা
আমাদের দেশে সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অনেক প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল মার্কেটিং এর পেইড কোর্স করিয়ে থাকে। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান, তবে এসব ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠান থেকে অথবা আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারেন। কোর্স করেকোর্স এর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং একটি সুবিধা হচ্ছে একজন মেন্টর পাওয়া। যিনি সর্বদা আপনার বিভিন্ন সমস্যায় সহযোগিতা করবেন।
ইউটিউব ভিডিও দেখে শেখা
ইউটিউব এ এখন অনেক ফ্রি ডিজিটাল মার্কেটিং এর টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়। ফ্রিতে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চাইলে ইউটিউব থেকে এসব ডিজিটাল মার্কেটিং এর টিউটোরিয়াল দেখে শিখতে পারেন। তবে, ইউটিউব এ সবগুলো টিউটোরিয়াল একসাথে দেয়া থাকে না। অর্থাৎ, একটি চ্যানেলে বেসিক তথ্য পেতে পারেন, আবার অ্যাডভান্স জানার জন্য অন্য চ্যানেল খুঁজতে হবে। এভাবে করে খুঁজে খুঁজে বের করে নিয়ে শিখতে হবে। এছাড়া, এখানে আলাদা করে কোনো মেন্টর পাবেন না।
ব্লগ পড়ে শেখা
গুগল সার্চ করে অনেক ব্লগ খুঁজে পাবেন যেখানে ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে বিভিন্ন টিউটোরিয়াল পাবলিশ করা হয়ে থাকে। এসব টিউটোরিয়াল কন্টেন্ট পড়ে ভালোভাবে শিখতে ও অনেক বিষয় জানতে পারবেন। অনেক ডিজিটাল মার্কেটার রয়েছেন, যারা তাদের জ্ঞান ভাগ করার জন্য এমন ব্লগ তৈরি করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করে থাকেন। এসব ব্লগ অনুসরণ করে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে কোনটি ভালো?
অনলাইন ক্যারিয়ার এগ্রিগেটর ZipRecruiter-এর মতে, মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টে ইন্টারনেট এবং ওয়েবসাইট মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং এবং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এবং ব্যস্ততার বিশেষজ্ঞদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। আরও নির্দিষ্টভাবে, নিয়োগকর্তাদের নিম্নলিখিত ভূমিকাগুলির জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন: বিপণন বিশ্লেষণ বিশেষজ্ঞ ।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্ন করে
ডিজিটাল মার্কেটিং এর যেকোনো একটি সেক্টরে বেসিক জ্ঞান থাকলে, আপনি চাইলে যেকোনো একটি প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্ন করে আরও অ্যাডভান্স শিখতে পারবেন এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন। ইন্টার্ন করার মাধ্যমে আপনি শুধু শিখতেই পারবেন না, বরং এখানে হাতে কলমে মার্কেটিং শেখা হবে যা আপনাকে পরবর্তীতে বিভিন্ন কাজ পেতে সহযোগিতা করবে।
উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারবেন। মনে রাখতে হবে, ডিজিটাল মার্কেটিং এর খাত অনেক বড়। আপনাকে এই খাতের যেকোনো একটি বা আলাদা আলদা কিছু বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। একসাথে সবকিছু শিখতে গেলে শেষে দেখা যাবে কিছুই শেখা হবে না।
কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার শুরু করবেন
ডিজিটাল মার্কেটিং ছবি
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখেছেন বা যদি অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন, তবে আপনার ব্যবসায় বৃদ্ধি করার পাশাপাশি চাইলে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার শুরু করতে চাইলে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারেন। এসব মার্কেটপ্লেসে অনেক ক্লায়েন্ট পাবেন যারা তাদের ব্যবসায়ের বিক্রয় বৃদ্ধি করতে চায়। তাদের কাজ করে দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার শুরু করার জন্য আপনি কয়েকটি অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস বেঁছে নিতে পারেন। এগুলো হচ্ছে -
Fiverr
Upwork
Freelancer
Guru
এসব মার্কেটপ্লেসে অনেক বায়ার আসেন, যারা সার্ভিস নিতে চান। এমন অনেক বায়ার আপনার গিগ দেখে ম্যাসেজ করবেন। ম্যাসেজে কথা বলে আপনি তার কাজ করতে পারবেন এটি জানালে বায়ার আপনাকে উক্ত কাজের অর্ডার দিবেন। কাজ সম্পন্ন করার পর অর্ডার ডেলিভারি দেয়ার মাধ্যমে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এভাবে করেই ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।
উপরে উল্লিখিত এসব জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসে ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা দিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
মনে করুন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন দক্ষ। এখন আপনি চাইলে এই সেক্টর নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। এজন্য, উপরে উল্লিখিত যেকোনো একটি মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স কয়টি?
মাস্টার ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, এসইও, ইউটিউব, ইমেল, ফেসবুক মার্কেটিং, অ্যানালিটিক্স এবং আরও অনেক কিছু! রব পার্সিভাল, দারাগ ওয়ালশ, কোডস্টারস দ্বারা নির্মিত।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য কোন ব্যাচেলর ডিগ্রি ভালো?
একটি স্নাতক ডিগ্রী অনুসরণ করে ডিজিটাল মার্কেটিং শৃঙ্খলায় একটি কর্মজীবন শুরু করা সর্বোত্তম বিকল্প হতে পারে। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে, বিবিএ বা ব্যাচেলর অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন হল সবচেয়ে চাওয়া-পাওয়া ইউজি প্রোগ্রামগুলির মধ্যে একটি যা প্রচুর ক্যারিয়ারের সুযোগের দরজা খুলে দেয়।
2024 সালে ডিজিটাল মার্কেটিং নতুন কি?
2024 সালে আরেকটি উল্লেখযোগ্য প্রবণতা হল বিজ্ঞাপন প্রচারে UGC-এর একীকরণ । ইউজিসি, যার মধ্যে রয়েছে ফটো, ভিডিও, ব্লগ পোস্ট, মন্তব্য এবং গ্রাহকদের তৈরি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মতো বিষয়বস্তু, বিপণনকারীদের জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠছে।
শেষ কথা
আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে করা যায়, শেখার উপায় এবং সহজে ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার গড়ার পদ্ধতি সম্পর্কিত সকল বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।
আপনি চাইলে ইউটিউব এবং গুগল থেকে ফ্রি টিউটোরিয়াল দেখেও ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারেন। অথবা কোন কোর্স করতে পারেন। আর শেখা হলে বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে বা লোকাল ক্লায়েন্টের হয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং পারলে আপনি নিজের একটি ব্যবসায় দাঁড় করাতে পারেন সম্পূর্ণ অনলাইন ভিত্তিক। এজন্য, ফেসবুক সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া বেঁছে নিতে পারেন অথবা একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url