এসইও স্কোর কিভাবে পাওয়া যায়?
এসইও স্কোর পাওয়ার জন্য কিছু প্রধান ফ্যাক্টর রয়েছে যা আপনার ওয়েবসাইটের অপটিমাইজেশন এবং পারফরমেন্সের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়। এসইও স্কোর সাধারণত ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিন র্যাংকিংয়ের পরিমাপ হতে পারে। এখানে কিছু মূল ধাপ রয়েছে যা অনুসরণ করলে আপনি এসইও স্কোর উন্নত করতে পারেন:
একটি SEO স্কোর নির্দেশ করে যে একটি ওয়েবসাইট অনুসন্ধান ফলাফলে কতটা ভালো পারফর্ম করতে পারে। আপনার স্কোর পেতে, SEO Checker এর মতো একটি SEO বিশ্লেষণ টুল ব্যবহার করুন , যা আপনার সাইট বিশ্লেষণ করবে এবং এর SEO কর্মক্ষমতা সম্পর্কে রিপোর্ট করবে। আপনার সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO) কৌশল আপনার ওয়েবসাইটকে অনুসন্ধান ফলাফলে ভালো র্যাঙ্ক করতে সাহায্য করার একটি মূল উপাদান।
অন-পেজ এসইও অপটিমাইজেশন:
কীওয়ার্ড রিসার্চ: আপনার কন্টেন্টের জন্য সঠিক কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
টাইটেল এবং মেটা ডিসক্রিপশন: প্রতিটি পেজের জন্য সঠিক এবং আকর্ষণীয় টাইটেল এবং মেটা ডিসক্রিপশন লিখুন।
ইউআরএল স্ট্রাকচার: পরিষ্কার, বোধগম্য এবং কীওয়ার্ড-সমৃদ্ধ ইউআরএল তৈরি করুন।
কন্টেন্ট অপটিমাইজেশন: দীর্ঘ কন্টেন্ট, ফরম্যাটিং, ছবি এবং লিঙ্কের মাধ্যমে আপনার কন্টেন্ট আরও বেশি তথ্যবহুল করুন।
টেকনিকাল এসইও:
ওয়েবসাইটের গতি: ওয়েবসাইটের লোড টাইম কমিয়ে দিন।
মোবাইল ফ্রেন্ডলি: ওয়েবসাইটটি মোবাইল ডিভাইসের জন্য অপটিমাইজড হওয়া উচিত।
এসএসএল সার্টিফিকেট: ওয়েবসাইটে HTTPS নিশ্চিত করুন।
XML সাইটম্যাপ: সার্চ ইঞ্জিনগুলোর জন্য সাইটম্যাপ তৈরি করুন।
বroken লিঙ্ক এবং রিডিরেক্ট সমস্যা: ভুল বা ব্রোকেন লিঙ্কগুলো ঠিক করুন।
ব্যাকলিঙ্ক:
গুণগত ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করুন: উচ্চমানের, প্রাসঙ্গিক ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিঙ্ক সংগ্রহ করুন।
ব্যাকলিঙ্ক প্রোফাইল বিশ্লেষণ: সঠিক ব্যাকলিঙ্ক প্রোফাইল বিশ্লেষণ এবং উন্নয়ন করুন।
অ্যানালিটিক্স এবং রিপোর্টিং:
গুগল অ্যানালিটিক্স এবং গুগল সার্চ কনসোল ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইটের পারফরমেন্স মনিটর করুন।
এসইও স্কোর নির্ধারণ করতে বিভিন্ন টুল যেমন Moz, Ahrefs, SEMrush, এবং Yoast SEO ব্যবহার করা যেতে পারে।
এসইও স্কোর উন্নত করার জন্য এসব পদক্ষেপে ধারাবাহিকভাবে কাজ করতে হবে এবং সময়ের সাথে সাথে স্কোর বৃদ্ধি পাবে।
ব্যাকলিঙ্ক
(Backlink) হল এমন লিঙ্ক যা একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেজ থেকে অন্য একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেজে রেফার করা হয়। সহজ ভাষায়, যখন অন্য কোনো ওয়েবসাইট আপনার ওয়েবসাইটে লিঙ্ক করে, তখন সেটি একটি ব্যাকলিঙ্ক হয়।
ব্যাকলিঙ্ক এসইও (Search Engine Optimization) এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি সার্চ ইঞ্জিনগুলোর কাছে আপনার ওয়েবসাইটের বিশ্বস্ততা, প্রাসঙ্গিকতা এবং গুণগত মান প্রমাণিত করে। গুগল এবং অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন ব্যাকলিঙ্কের মাধ্যমে বুঝতে পারে যে আপনার কন্টেন্ট কতটা জনপ্রিয় এবং প্রাসঙ্গিক, এবং এটির মাধ্যমে আপনার পেজের র্যাংকিং বাড়াতে সাহায্য করে।
ব্যাকলিঙ্কের কয়েকটি ধরন:
ডু-ফলো (DoFollow): এই ধরনের ব্যাকলিঙ্ক গুগল এবং অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে প্রভাব ফেলে এবং SEO র্যাংকিং বাড়ায়।
নো-ফলো (NoFollow): এই ধরনের লিঙ্ক গুগল বা অন্য সার্চ ইঞ্জিনের র্যাংকিং সিগন্যাল হিসেবে কাজ করে না, কিন্তু তা ট্রাফিক বাড়াতে সহায়তা করতে পারে।
গেস্ট পোস্ট ব্যাকলিঙ্ক: আপনি অন্য ব্লগে কন্টেন্ট লিখে সেখানে আপনার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক দিতে পারেন।
বroken লিঙ্ক রেপ্লেসমেন্ট: যখন আপনি একটি ওয়েবসাইটে ব্রোকেন লিঙ্ক খুঁজে পান এবং সে লিঙ্কটি আপনার পেজের লিঙ্ক দিয়ে প্রতিস্থাপন করার প্রস্তাব দেন।
ব্যাকলিঙ্ক যত গুণগত, প্রাসঙ্গিক এবং উচ্চমানের হবে, তত বেশি আপনার ওয়েবসাইটের এসইও স্কোর এবং সার্চ ইঞ্জিন র্যাংকিং বাড়বে।
seo ignore করার উপায়?
এসইও (SEO) একে অপরকে অগ্রসর করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তবে যদি আপনি একেবারে এসইও উপেক্ষা করতে চান বা এসইও প্র্যাকটিসগুলো অনুসরণ না করতে চান, তাহলে কিছু বিষয় রয়েছে যা আপনি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখবেন, এসইও না করার ফলে আপনার ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিন র্যাংকিং কমে যেতে পারে এবং প্রাকৃতিক ট্রাফিক পাওয়া কঠিন হতে পারে। যদি আপনি এসইও উপেক্ষা করতে চান, তবে এর কিছু উপায় হতে পারে:
কন্টেন্ট অপটিমাইজেশন এড়ানো
কীওয়ার্ড ব্যবহার না করা: আপনি আপনার কন্টেন্টে কোন কীওয়ার্ড ইন্টিগ্রেট করবেন না, যার মাধ্যমে আপনার পেজ সার্চ ইঞ্জিনে সহজে খুঁজে পাওয়া যায়।
মেটা ট্যাগ এবং টাইটেল মিসিং: আপনার পেজের জন্য মেটা ট্যাগ, মেটা ডিসক্রিপশন, এবং কাস্টম টাইটেল সেট না করা।
ব্যাকলিঙ্ক তৈরি না করা
আপনি যদি ব্যাকলিঙ্ক গড়ে না তোলেন, তাহলে আপনার ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিনে অন্যান্য সাইট থেকে প্রাসঙ্গিকতা বা আস্থা প্রমাণ করতে পারবে না।
কোনো ব্যাকলিঙ্ক পাবলিশ করতে পারবেন না বা ভুল ধরনের ব্যাকলিঙ্ক এড়িয়ে চলবেন।
ওয়েবসাইট গতি এবং টেকনিকাল এসইও অপটিমাইজেশন এড়ানো
লোড টাইম কমানোর চেষ্টা না করা: ওয়েবসাইটের লোড টাইম উন্নত করার জন্য কিছু পদক্ষেপ না নেয়া, যা এসইও র্যাংকিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
মোবাইল অপটিমাইজেশন না করা: ওয়েবসাইটটি যদি মোবাইল ডিভাইসে সঠিকভাবে কাজ না করে, তবে এটি এসইও র্যাংকিংয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এসএসএল বা HTTPS ব্যবহার না করা: ওয়েবসাইটে নিরাপত্তা সার্টিফিকেট (SSL) না থাকা।
নতুন কন্টেন্ট পোস্ট না করা
নিয়মিত নতুন কন্টেন্ট পোস্ট না করলে আপনার ওয়েবসাইটের ফ্রেশনেস হারিয়ে যায় এবং সার্চ ইঞ্জিনে আপনার র্যাংকিং কমে যেতে পারে।
হিডেন কন্টেন্ট ব্যবহার করা
ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট হিডেন বা ক্লিভারলি ইনক্লুড করা এমনভাবে যাতে সার্চ ইঞ্জিন বুঝতে না পারে।
ডু-ফলো লিঙ্ক এড়ানো
আপনি যদি ডু-ফলো লিঙ্ক বা অন্য কিছুর মাধ্যমে আপনার পেজের আউটসাইড রেফারেন্স না তৈরি করেন, তবে এটি এসইও স্কোরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
এসইও উপেক্ষা করার ফলে ওয়েবসাইটের সার্চ র্যাংকিং কমে যাবে এবং আপনি অর্গানিক ট্রাফিক থেকে বেশি সুবিধা পাবেন না। তবে কিছু ক্ষেত্রে, আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া, বিজ্ঞাপন বা অন্যান্য মার্কেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করতে চান, তবে এসইও না করেও কিছু ফলাফল অর্জন করা সম্ভব।
যতটা সম্ভব, এসইও করতে থাকলে আপনার ওয়েবসাইট দীর্ঘমেয়াদে ভালো ফলাফল পাবে।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url